হরিশঙ্কর রায়





ডেকো না আমায়




ডেকো না আমায়
অলস দুপুরে
অগ্নিপথ জুড়ে বিশাখা বসে আছে ।
প্রচণ্ড পিপাসায় একফোঁটা জল
কামনা করেছি কত চৈত্রের কাছে,
দেয়নি তো !
তবুও দেখো কিভাবে এ বুক থেকে
বেড়ে উঠছে নরম ধানের শীষ ।
ফাল্গুনে যে বকুল চারাটি লাগিয়েছি
তার থেকে কতটি নতুন পাতা এলো
হিসাব করে রাখছি প্রতি সন্ধ্যায় ।
ওদিকে পুকুরের জল কমে আসছে ব'লে
কতক সময় বসে বসে দেখছি মাছদের ছুটোছুটি ।
প্রতি রাতে গোধূলির স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে
তা তা থৈ থৈ ঘুঙুরের শব্দ শুনে শুনে চোখে ঘুম আসে ।

এত্তসব ছেড়ে কিভাবে আসি বলো ?
আমার আয়েশি যৌবন এখন কত্ত কী ভাবে !








সুচেতনা~




প্রিয় সুচেতনা হার্দিক ভালোবাসা নিও । কথা ছিলো আজ দু'জনের মধ্যে দেখা হ'বে ।
অভিমান করো না ।
কত রকমের পিছুটান থাকে, থাকে না ?
জানোই তো এখন প্রচণ্ড খরা চলছে । তার উপর
বোশেখ মাস কোথায় একটু বায়-বাতাসী ঝড় আসবে কিন্তু তার কোন পূর্বাভাস
পাওয়াই যাচ্ছে না ।
ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে ।
আমিও বা কম কিসে ?
তা যাক ওসব ।
একদিনের দেখার জন্য কি এত আকুলি-ব্যকুলি,
এত পিছুটান ?
কেন ?
এ দেখা চিরদিনের হয় না কেন ?
সুচেতনা, রাগ করে না লক্ষ্মীটি ।
তুমি এ বুক জুড়ে  সদা জগ্রত তবে দুঃখ কেন ?
ভয়'ই বা কিসের ?
যে বন্ধনে আজ তোমাকে কথাগুলো লিখছি তা আরও সুদৃঢ় হোক সে ব্যবস্থাই করছি ।
ভাল থেকো ।

ইতি
তোমার ...



৪ বৈশাখ ১৪২১ ॥
কৃষ্ণকুঞ্জ, রংপুর ॥

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ