হাঁটুতে চোট পেয়েছেন বলে নাকের ডগায় লাট্টু ঝুলবে না অথবা চাঁদ উঠেছে বলে আপনার চোখে ছানি আসবে না এমন প্রসঙ্গে যাঁরা এতকাল দোষারোপ করে গেলেন তাঁদের প্রত্যেকের কপাল জুড়ে তিন আঙুলের হলুদ তিলক। সবই তো অমাবস্যাজনিত ভ্রম, এটুকু বুঝতে এতকাল লেগে গেল এটা ভাবলেই ঝনঝন শব্দে পড়ে যায় রান্নাঘরের বাসনপত্র। বোহেমিয়ান জীবন কাটিয়ে উঠে যাঁরা ফিরে গেছেন নিজস্ব বাড়িতে সকলেই ধ্যানী যোগী। ঈশ্বর হোক বা নিরাকার ব্রহ্ম, আপেলবাগানে এলে খুলে যাবেই প্রতিটি পরত। জল ছুঁই ছুঁই দুপুরে অগভীর ডোবায় খাবি খাবে পাঁকাল মাছ। রাধাচূড়ার নিচে বসে সূর্যকেও স্বামী মনে হতে পারে। পরস্পর বলতে যতটুকু বোঝায় তাতে স্পর্শ আছে। স্পষ্টভাবে না হলেও আড়চোখে কেউ যেন আপনাকে দেখে চলেছে সর্বক্ষণ।
সত্যি সবসময়ের জন্যই প্রদাহ বয়ে আনে। বাগানবিলাসের যেভাবে রোদ্দুর আর ছায়া উভয়ই লাগে, সত্যও তেমন। বিশ্বাস এবং জাদুর মধ্যবর্তী সাঁকোয় টাল খাওয়া মদ্যপ। চাঁদ ছেয়ে গেছে কপালের ভাঁজে।তথাপি খানিক অন্ধকার। এখন এই অবেলায় কাকে ডেকে তুলবেন আর কাকেই বা জুড়ে দেবেন সমাচারপত্রে সে তো কেবল আপনিই জানেন।
ধীরে ধীরে ছাড়িয়ে নিচ্ছি প্রাচীন গিঁট, খুবই সন্তর্পণে যাতে আঘাত না লাগে দড়ির গায়ে। We all are interconnected by soul to soul একথা আমার জাদুর মতো মনে হয় বরাবর। কথার মধ্যেই যে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর বসত করেন তাও বিশ্বাস করে ফেলেছি লুপ্তপ্রায় লোকগানের মতো। এখন শুধু প্রমাণ খোঁজা। প্রবালকীটে আমি ঘর বানাব না, অঘোরীর দিকে ছুঁড়ে দেব না বর্তিকা । বরং...
যে মেয়েটি হারিয়ে ফেলেছে ডাকবাক্সের নম্বর, তাঁর বুকের ঘোলাজল থিতিয়ে গেলে বলব, "নাও অজস্র অজুহাত এনেছি তোমার ফেরার। তার ভিতর চাঁদ, সামান্য একটি কারণ "
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন