রক্তে ভেজা বর্ণমালা
এই বাংলায় আজও কাঁদে-
গৃহহীন সন্তান হারা কত নারী,
মা আমার আঁচলে চোখের জল মুছে সেদিন
বাংলার আকাশ বাতাস করেছিল ভারি।
এ ঘর হতে ও ঘর
বাড়ির উঠোন হতে রাস্তার অলি-গলি
খোকা কই ? তুই কোথায় গেলি ?
গুড়-চিড়া, খৈ-দৈ, নারু-মুড়ি-মুড়কি
মা রেখেছে আরও কত কি !
বাপ ধনেরে খাওয়াবে বলে
অতি যতনে মা রেখেছে গোপনে।
আজ যায় কাল যায়- তবু ফুরায় নাকো দিন
কবে আমার খোকা সোনা আসবে বাড়ি ?
বিশ্ববিদ্যালয় কি হবে নাকো ছুটি ?
কিন্তু দিন গেলো কতো
মাস গেলো কত শত
খোকা আর ফিরে আসেনি-
ভেবেছে মা আমার অভিমানী খোকা
বড্ড রাগ করেছে বুঝি ?
মা তখন নয়নের জলে ভাসায় সাগর তরী।
ঝাপসা চোখে তাকায় - হঠাৎ শুনতে পায়
গ্রাম-গঞ্জে, পথে-প্রান্তরে, মাঠে-ঘাটে
ছাত্র-শিক্ষক-জনতা, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা
মুখে মুখে একুশের বর্ণমালারই প্রতিধ্বনি
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”।
রঙে রঙে রঙিন পোস্টার-
রক্তে ভেজা বর্ণমালা আমার,
ওই তো আমার খোকা
ওই আসছে আমার সোনা খোকা, কিন্তু-
আমার খোকার গায়ে এতো রক্ত কেন ?
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন