🇮🇳 বিদ্যুৎ ভৌমিক | কথা দর্পণে অন্য কেউ

কথা দর্পণে অন্য কেউ
বিদ্যুৎ ভৌমিক



পাঁচবার ডেকেছি প্রিয় নাম ধরে , বারবার মহান হতে চেয়ে মহাশূন্যে উড়িয়ে দিয়েছি একবুক চারমিনারের ধোওয়া ...... ভেতর থেকে গোপন বিরহে ছিঁড়েছি সব বয়সের শোক ; সেটা একবারও দেখেনি শহরতলীর কাকপক্ষী !

এভাবে নিয়ম করে
সুরক্ষিত হয় লবণ সমুদ্রে
কান্নার চিহ্ন , ..... ইচ্ছা হয় সর্বনাশ এবং জটিল অন্ধকার এই অস্বিত্বে প্রাণ পাক ৷ বীজমন্ত্রে প্রহরী হয়েছে পুড়ে যাওয়া স্মৃতি ; সেও কি আমার যাবজ্জীবনের ঘটে যাওয়া পাপ ! বহুতল উর্দ্ধে আকাশপথ ; চোখে দেখা চকিতে হারিয়ে যাওয়া লুকানো অন্তরীক্ষ শেষে , ..... শেষ একবার এই অপ্রমেয় পথে গত জন্মের আয়না ভাঙার শব্দ পেতেই শিশুকালের বাতাস শরীরে লুকিয়ে ছিল !

কথার সূক্ষ্ণতায় বিশেষ স্বপ্নগুলো বিদেহী ভাসমান ; বিবর্ণ এলোমেলো , ..... সেই থেকে অতলান্তিক আমিও অসহনীয় দীর্ঘ নির্ঘুমে গভীরে চোখ বুজে আছি !

সাদা পাতায় শব্দ ছড়িয়ে দিতেই ওপাড়ের অর্ধেক আকাশ ভ্রাম্যমান মেঘের কাছে অবিন্যস্ত পিছিয়ে পড়া ভুলগুলোকে মৃদুস্বরে বলেছে ; জন্ম নিলে দেখা করে যেও ! মন খারাপ নিয়ে ঘুম ভাঙলে সংখ্যাতীত প্রবাহে উড়ে যায় যাবতীয় অশরীর কথা , ..... সেই দর্পণে উলঙ্গ হয়ে জ্বলে ওঠে আমার কয়েকটা মৃত্যুর ছবি ! কবিতার মায়াজাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে আমার জামা - কাপড় হীন প্রেত ; সেও বুঝে গেছে প্রতিজন্মে এভাবেই মৃত্যু নিয়ে ঘুম ভাঙে আমার আমিটার !

শহরের সব রাস্তায় অনন্তকালের অসুখ , ..... অর্থাৎ নিষ্পলক দৃষ্টিহীন হয়ে থাকার কথা ব্যক্তিগত চোখে চেয়ে নিলাম !
রোজ কেউ না কেউ এই দর্পণে দিয়ে ফিরে যায় দরজা ডিঙিয়ে : রোজ ঘুমের পথে প্রিয় মুখগুলো নির্বোধ হয়ে ঘোরে নানান প্রবাহে ৷ বাকি একটু পথ ; ওখানে পৃথিবীর ছিন্নভিন্ন শ্মশান - আঁধার , .....

এই একান্ত বহুকালের নির্ঘুম জীবন ; এর মধ্যে পকেটভর্তি নিঃশ্বাস - প্রশ্বাস , এসব আমার কবিতার সঙ্গে অদল - বদল হয়ে থাকে !
শহরটা এখন চেনা যায় না ; প্রতিদিনের ভাসমান পরিতাপ কপালের বলিরেখা থেকে উঠে এলে কাঙালের মতো মধ্যরাতে নিভৃতে চোখ বুজে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিজের কাছে নিজেই ; নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে !!





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ