জয়া চৌধুরী | তিনটি কবিতা

জয়া চৌধুরী |  তিনটি কবিতা

■ দোজখে যাক



যে পেয়েছে ঠোঁটে ঠাট্টার হাসি অনিবার অবিরাম
যে চেয়েছে চোখে কৌতুক ব্যঙ্গ রসিকতা
যে নিয়েছে পিঠে চাবুক জর্জর জ্বালা
যে সয়েছে মনে পেরেক ক্রুশবিদ্ধ নিরমম
যে দেখেছে শরীরে আশরীরী ঘৃণা ছেঁড়া ছেঁড়া
ক্রমাগত ক্রমাগত ক্রমাগত...
তার ক্ষমা নেই
সেটা তো মূর্খ

​দোজখে যাক


■ মাথা


যে মরেই আছে তাকে মারবার কোন সুখ নেই
ওকে দেখো দুটো হাত পায়ের সংখ্যাও 
গোটাগুটি দুই দুই​
অথচ ও নড়ছে না

ওর মাথা বিশেষ ট্রেনিং পেয়ে থেমে গেছে 
জড় যেন স্টিল বর্ন বেবি​
হাত নড়ে এক একা পা দুটোও ব্যবহার হয় লাথি দিতে
ছুঁড়তে প্রতিপক্ষের বুকে জিভ নিয়োগ করা আছে
বিষ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য​
তীব্র সূচিভেদ্য অসাড় সে ঈর্ষা নিয়ে ও তো মরেই আছে


■ এখনই

এখনই বাঁচার মানে তীব্র জলস্রোতে হাঁড়ি​
মাথায় উরু ডোবা জলে পচতে থাকার গল্প

এখনই বাঁচার মানে তেলে চপচপে চুল​
রোজ বেঁধে সন্ধ্যের আরেক পর্বের খাটুনি​

এখনই বাঁচার অনেকরকম একরকম কাজের ক্লান্তিকর ফিরিস্তি হতে পারে​

এখনই বাঁচার মানে রোজ রোজ কথা ঘা দিতে
দিতে​ পেতে পেতে নিমতিতা আলজিভ​

এখনই বাঁচার মানে ইষ্টিকুটুম তদারক দেশের বিদেশের নানা ওলোটপালোটের প্রতিবাদ​

এখনই বাঁচার ভারে সমকাল ভারীতম শেরপা হড়কানো পাথরের খাঁজে​

এখনই-র বাড়া থালে মৃত্যুও ফ্যান্টাসি হাসি কুড়োয়
তবেই না পরেরও অপেক্ষা থাকে!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ