খেলা হবে খেলা হবে। না, খেলা হচ্ছে। খেলাই হয়ে চলেছে। এ এক অনবদ্য খেলা। যার কাছে কোন আর্জি নিয়ে পৌঁছাতে গেলে রীতিমত পাহারাদার চৌকিদার ডান হাত বাঁ হাত এই সোর্স ঐ সোর্স, সেজ দাদা মেজ দিদিদের অনুমতি পেলে তবেই পৌঁছানো যায়। স্বয়ং তিনিই আজ করজোড়ে নতমস্তকে আপনার দূয়ারে। ভোট প্রার্থীর অবতারে। মাত্র একটি ভোট। সেইটির জন্য কত মেহনত। দেশসেবার দায় কম বড়ো কথা নয়। দেশসেবার তাগিদে ঘরে ঘরে নেতা নেত্রীদের জন্ম হচ্ছে দুই বেলা। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে লোকসভা সাংসদ। একটা নির্বাচন। একটা টিকিট। একটা জয়। তাহলেই কেল্লাফতে। পরাজিত হলেও ক্ষতি নেই। নির্বাচনী খেলার শেষ নেই। আজ নয়তো কাল। এই আসনে নয়তো ঐ আসনে। একটা নির্বাচনে জিতে গেলেই পাঁচ বছর ধরে খেলে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। সাথে সকল রকমের সরকারী সুযোগ সুবিধে। রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি। অর্থনৈতিক বিত্ত বৈভব। এবং আইনকে নিজের পথে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনন্ত সম্ভাবনা। এমন ওজনদার খেলায় তাই খেলোয়ারের কোন অভাব নেই। রাজা প্রজার দেশ ভারতবর্ষ। শাসক ও শোষিতের দেশ ভারতবর্ষ। হাজার হাজার বছরের সংস্কৃতি। মাত্র দুইশো বছরের ব্রিটিশ শাসনে বিদেশী শাসকের পাঠশালায় গণতন্ত্রের পাঠ নিলে কি হবে। সেই গণতন্ত্রেই পঞ্চায়েত প্রধান থেকে লোকসভার সাংসদ অবতারে, সেই রাজা রাজাধিরাজদেরই সংস্কৃতি। একটা নির্বাচনী টিকিট। একটা আসন। একটা জয়। পাঁচ বছরের রাজত্ব। এই পাঁচ বছরের রাজত্বেরই গালভরা নাম ভারতীয় গণতন্ত্র। সেই রাজত্ব দখলের সরকারী সিলমোহর, নির্বাচনে জয়লাভ। সে যে ভাবেই হোক। ছাপ্পা, ধাপ্পা, বুথ দখল, ইভিএম হ্যাক যাই হোক না কেন। একবার সরকারী ঘোষণা হয়ে গেলেই হলো। খেলাটা এইখানেই। পাঁচ বছরের রাজত্বলাভ করতেই হবে। করলেই অর্থনৈতিক বিত্ত বৈভব, রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি এবং সরকারী সুযোগ সুবিধে লাভে সরকারী সিলমোহর।
খেলাটা তাই হচ্ছেই। খেলাটা তাই চলছেই। নতুন করে খেলা হওয়ার কোন কথা নয়। রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের খেলায় জনগণকেও হুলিয়ে নেওয়া গিয়েছে। খেলে চলেছে নেতা নেত্রীরা। জনগণের পিণ্ডিচটকেই। অথচ সেই জনগণই এখন খেলা হবে খেলা হবে বলে হাত পা ছুঁড়ে নৃত্য করছে্। জনগনকে দিয়েই জনগণের সর্বনাশের ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার নামই নির্বাচন। সেটাই সকল খেলার পিছনের খেলা। সেটাই ভারতীয় গণতন্ত্র। প্রাক ব্রিটিশ যুগে বাহুবলই ছিল রাজত্ব দখলের ছাড়পত্র। অস্ত্রসম্ভার ছিল সেই বাহুবল। বাহুবলই আজও রাজত্বদখলের শেষ কথা। কিন্তু অস্ত্রের বদলে নি্র্বাচনী টিকিটই আজ রাজত্ব দখলের চাবিকাঠি। অস্ত্রের জায়গায় নির্বাচনী গণতন্ত্রকে ঢাল করে জনগণকে দিয়েই জনগণের পিণ্ডিচটকানোর দলিলে সহমতের ছাপ দেওয়ানোর কাজ চলছে। খেলাটা এখানেই।
লক্ষ্য করার বিষয় হলো, দিনে দিনে নির্বাচিত বিধায়ক সাংসদদের বেতন, ভাতা, পেনশন, অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধে যত বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে, নির্বাচনী গণতন্ত্রের এই খেলায়
খেলোয়ারের সংখ্যাও তত হুহু করে বেড়ে চলেছে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই দেশে সাংসদদের সংখ্যা দ্বিগুন করার প্রস্তাব এসে গিয়েছে। এবং সেই লক্ষ্যেই নতুন সাংসদ ভবন তৈরীর পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। এর পরবর্তীতে দেখা যাবে রাজ্যে রাজ্যে বিধায়কের সংখ্যাও বিপুল ভাবে বৃদ্ধি করার জন্য পরিকাঠামো তৈরী করা শুরু হয়ে যাবে। জনগণের করের টাকায় ছড়ি ঘোরাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি স্বরূপ রাজা রাজাধিরাজদের সংখ্যা দিনে দিনে বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে চলেছে। তাই যত দিন যাবে নির্বাচনী খেলায় নতুন নতুন খেলোয়ারের ভিড় বাড়তেই থাকবে। আর জনগণকেও তাই নাচতে হবে খেলা হবে খেলা হবে বলে।
না, আগে দেশসেবার রীতি রেওয়াজ, নীতি আদর্শ ছিল ভিন্ন। আখের গুছিয়ে নিতে, রাজত্ব দখলের রাজনীতি করতে কেউ রাজনীতিতে ভিড়তো না। অত্যন্ত মেধাবী যাঁরা। দেশ ও দশের হিতের বিষয়ে ওয়াকিবহাল। তারাই ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে রাজনীতিতে হাতেখড়ি নিত। কিন্তু সেদিন আর নাই। রাজনীতি এখন শুধুই একটা অর্থকরী পেশা নয়। রাজনীতি এখন রাজত্ব দখল ও বিস্তারের হাতিয়ার। গণতন্ত্র সেই দখলদারিত্বের রক্ষাকবচ। জনগণ সেই রাজত্বে শোষণের ক্ষেত্র। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে লোকসভার সাংসদদের বেতন ও পেনশন বন্ধ করে দিয়ে দৈনিক ন্যূনতম ভাতা চালু করে দিলেই রাজনীতির এই খেলার মাঠে খেলোয়ার খুঁজে পাওয়া যাবে না। ধুধু মাঠে ঘুঘু চড়বে শুধু।
মাত্র একটা নির্বাচনী টিকিটের জন্যেই আজ তাই এত কাড়াকাড়ি। একটা টিকিট। পাওয়া আর না পাওয়া। কপাল খুলে যাওয়া আর না যাওয়া। আর নির্বাচন জিতে গেলে তো কথাই নেই। পাঁচ বছর ধরে ঘর গুছিয়ে তোলা। কেউ হিসাব নিতে আসবে না। বরং সম্পত্তি ও সম্পদ যত বাড়তে থাকবে। ভোটার তত বেশি করে সমীহ করতে শুরু করবে। যত বেশি ভোটারের সমীহ আদায় করা যাবে, তত বেশি নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে পরবর্তী নির্বাচন জেতার বিষয়ে। তাই ভোটারের সমীহ আদায় করার খেলাটাও চালিয়ে যেতে হবে প্রতিদিন। সেই খেলাটা চলছেই। সেই খেলাটা হতে থাকবেই।
এই খেলায়, যার যত বেশি প্রতাপ ও প্রতিপত্তি। বিত্ত ও বৈভব। সেই তত বড়ো খেলোয়ার। বিশাল মঞ্চ। শীততাপ নিয়ন্ত্রীত আরাম কক্ষ। শত শত গাড়ীর কনভয়। নেতা আসছেন। অজগর সাপের মতো গাঁদাফুলের মালা। নেতাকে বরণ করতে। মুহুর্মুহু জয়ধ্বনি। চেল্যাচামুণ্ডাদের বিশাল প্রাচীর। সরকারী সুরক্ষা বাহিনীর নিঃশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। নেতা হাত নাড়বেন। ভক্তদের উদ্দেশে ঢপ দেবেন। বিরোধীদের উদ্দেশে হুমকি দিয়ে যাবেন। জমে উঠবে খেলা। খেলা চলছে চলবে। হচ্ছে হবে। আজকাল আবার খেলা জমিয়ে গুলতে নতুন আয়োজন শুরু হয়েছে। নেতানেত্রীদের রোড শো। জনগণের সাথে পথ হাঁটার দিন শেষ। আজকাল পথহাঁটায় খেলা জমে না। যত বড়ো নেতা তত বড়ো রোডশো। চারচাকার মোটরচালিত রথে নেতা কিংবা নেত্রী। ডান হাত বাম হাত। সেজ নেতা মেজ নেত্রী পরিবেষ্টিত হয়ে। সাথে সরকারী নিঃশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়। জনগণের করের টাকায় বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সরকারী চাকুরিরত কমাণ্ডো বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি। রথে ভোট প্রার্থী নেতা। এগিয়ে চলছে রথ। সামনে পেছনে এগিয়ে চলেছে জনতার পাল। নেতার হাত মুঠো মুঠো ছেঁড়া পাপড়ি ছড়িয়ে দিচ্ছে সেই জনতার পালের মাথায়। খেলা চলছে। মুহুর্মুহু জয়ধ্বনি নেতানেত্রীর নামে। নির্বাচনে জিতিয়ে নিয়ে আসতে হবে। রাজত্ব দখলে সাহায্য করতে ভোট দিতে হবে নির্দিষ্ট চিহ্নে। নেতাদের সম্পত্তি সম্পদ আরও বেশি ফুলে ফেঁপে উঠবে পরবর্তী পাঁচ বছরে। তবেই না খেলা জমবে। আর জমিয়ে তোলার দায় সেই জনতার পালের।
না, এই খেলার কোন বিকল্প নেই। অন্তত ভারতীয় গণতন্ত্রে। ব্রিটিশের পত্তন করা এই গণতন্ত্র। সংবিধানের রক্ষাকবচ পাওয়া এই গণতন্ত্র। তার কোন বিকল্প পথ থাকার কথা নয়। নেইও। তাই একজনকে রাজত্ব থেকে উৎখাত করা মানে, আর একজনকে সেই একই রাজত্বে গদীয়ান করা। নাম ঠিকানা পাল্টিয়ে যাবে শুধু। দলীয় পতাকা ও প্রতীক পাল্টিয়ে যাবে শুধু। বাকি সব যেমন চলে, ঠিক তেমনই চলতে থাকবে। ব্যাংক ব্যালেন্স স্ফীত হতেই থাকবে। শুধু অন্যের একাউন্টে। জনতার পাল রোডশোয়ের সামনে পিছনে যেমন হাঁটে, তেমনই হাঁটতে থাকবে। এবং খেলা চলতেই থাকবে। যেমন চলে। চিরকাল।
এখন এই খেলা কবে কিভাবে বন্ধ করা সম্ভব হবে, আদৌ হবে কিনা। সেকথা বলবে আগামী প্রজন্ম। যতদিন এই খেলা চলতে থাকবে। ততদিনই টিকে থাকবে এই গণতন্ত্র। রাজা ও প্রজা, শোষক ও শোষিতের গনতন্ত্র। নির্বাচনী ভোট ভোট খেলার গণতন্ত্র। হয় এ, নয় ও। ভোট যে দিকেই যাক, খেলা চলতেই থাকবে। জনগণের করের টাকা কার কার ঘরে উঠবে। কতটা বিপুল পরিমাণে উঠবে। খেলাটা সেখানেই। শুকনো আঙ্গুল চুষতে চুষতে জনগণের আঙ্গুল ক্ষয়ে যাক। হেজে যাক। শুধু নির্বাচনের পবিত্র দিনে ভোটটা দিয়ে যেতে হবে। খেলোয়ার যেই হোক না কেন।
২৬শে মার্চ’ ২০২১
কপিরাইট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত
না, আগে দেশসেবার রীতি রেওয়াজ, নীতি আদর্শ ছিল ভিন্ন। আখের গুছিয়ে নিতে, রাজত্ব দখলের রাজনীতি করতে কেউ রাজনীতিতে ভিড়তো না। অত্যন্ত মেধাবী যাঁরা। দেশ ও দশের হিতের বিষয়ে ওয়াকিবহাল। তারাই ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে রাজনীতিতে হাতেখড়ি নিত। কিন্তু সেদিন আর নাই। রাজনীতি এখন শুধুই একটা অর্থকরী পেশা নয়। রাজনীতি এখন রাজত্ব দখল ও বিস্তারের হাতিয়ার। গণতন্ত্র সেই দখলদারিত্বের রক্ষাকবচ। জনগণ সেই রাজত্বে শোষণের ক্ষেত্র। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে লোকসভার সাংসদদের বেতন ও পেনশন বন্ধ করে দিয়ে দৈনিক ন্যূনতম ভাতা চালু করে দিলেই রাজনীতির এই খেলার মাঠে খেলোয়ার খুঁজে পাওয়া যাবে না। ধুধু মাঠে ঘুঘু চড়বে শুধু।
মাত্র একটা নির্বাচনী টিকিটের জন্যেই আজ তাই এত কাড়াকাড়ি। একটা টিকিট। পাওয়া আর না পাওয়া। কপাল খুলে যাওয়া আর না যাওয়া। আর নির্বাচন জিতে গেলে তো কথাই নেই। পাঁচ বছর ধরে ঘর গুছিয়ে তোলা। কেউ হিসাব নিতে আসবে না। বরং সম্পত্তি ও সম্পদ যত বাড়তে থাকবে। ভোটার তত বেশি করে সমীহ করতে শুরু করবে। যত বেশি ভোটারের সমীহ আদায় করা যাবে, তত বেশি নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে পরবর্তী নির্বাচন জেতার বিষয়ে। তাই ভোটারের সমীহ আদায় করার খেলাটাও চালিয়ে যেতে হবে প্রতিদিন। সেই খেলাটা চলছেই। সেই খেলাটা হতে থাকবেই।
এই খেলায়, যার যত বেশি প্রতাপ ও প্রতিপত্তি। বিত্ত ও বৈভব। সেই তত বড়ো খেলোয়ার। বিশাল মঞ্চ। শীততাপ নিয়ন্ত্রীত আরাম কক্ষ। শত শত গাড়ীর কনভয়। নেতা আসছেন। অজগর সাপের মতো গাঁদাফুলের মালা। নেতাকে বরণ করতে। মুহুর্মুহু জয়ধ্বনি। চেল্যাচামুণ্ডাদের বিশাল প্রাচীর। সরকারী সুরক্ষা বাহিনীর নিঃশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। নেতা হাত নাড়বেন। ভক্তদের উদ্দেশে ঢপ দেবেন। বিরোধীদের উদ্দেশে হুমকি দিয়ে যাবেন। জমে উঠবে খেলা। খেলা চলছে চলবে। হচ্ছে হবে। আজকাল আবার খেলা জমিয়ে গুলতে নতুন আয়োজন শুরু হয়েছে। নেতানেত্রীদের রোড শো। জনগণের সাথে পথ হাঁটার দিন শেষ। আজকাল পথহাঁটায় খেলা জমে না। যত বড়ো নেতা তত বড়ো রোডশো। চারচাকার মোটরচালিত রথে নেতা কিংবা নেত্রী। ডান হাত বাম হাত। সেজ নেতা মেজ নেত্রী পরিবেষ্টিত হয়ে। সাথে সরকারী নিঃশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়। জনগণের করের টাকায় বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সরকারী চাকুরিরত কমাণ্ডো বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি। রথে ভোট প্রার্থী নেতা। এগিয়ে চলছে রথ। সামনে পেছনে এগিয়ে চলেছে জনতার পাল। নেতার হাত মুঠো মুঠো ছেঁড়া পাপড়ি ছড়িয়ে দিচ্ছে সেই জনতার পালের মাথায়। খেলা চলছে। মুহুর্মুহু জয়ধ্বনি নেতানেত্রীর নামে। নির্বাচনে জিতিয়ে নিয়ে আসতে হবে। রাজত্ব দখলে সাহায্য করতে ভোট দিতে হবে নির্দিষ্ট চিহ্নে। নেতাদের সম্পত্তি সম্পদ আরও বেশি ফুলে ফেঁপে উঠবে পরবর্তী পাঁচ বছরে। তবেই না খেলা জমবে। আর জমিয়ে তোলার দায় সেই জনতার পালের।
না, এই খেলার কোন বিকল্প নেই। অন্তত ভারতীয় গণতন্ত্রে। ব্রিটিশের পত্তন করা এই গণতন্ত্র। সংবিধানের রক্ষাকবচ পাওয়া এই গণতন্ত্র। তার কোন বিকল্প পথ থাকার কথা নয়। নেইও। তাই একজনকে রাজত্ব থেকে উৎখাত করা মানে, আর একজনকে সেই একই রাজত্বে গদীয়ান করা। নাম ঠিকানা পাল্টিয়ে যাবে শুধু। দলীয় পতাকা ও প্রতীক পাল্টিয়ে যাবে শুধু। বাকি সব যেমন চলে, ঠিক তেমনই চলতে থাকবে। ব্যাংক ব্যালেন্স স্ফীত হতেই থাকবে। শুধু অন্যের একাউন্টে। জনতার পাল রোডশোয়ের সামনে পিছনে যেমন হাঁটে, তেমনই হাঁটতে থাকবে। এবং খেলা চলতেই থাকবে। যেমন চলে। চিরকাল।
এখন এই খেলা কবে কিভাবে বন্ধ করা সম্ভব হবে, আদৌ হবে কিনা। সেকথা বলবে আগামী প্রজন্ম। যতদিন এই খেলা চলতে থাকবে। ততদিনই টিকে থাকবে এই গণতন্ত্র। রাজা ও প্রজা, শোষক ও শোষিতের গনতন্ত্র। নির্বাচনী ভোট ভোট খেলার গণতন্ত্র। হয় এ, নয় ও। ভোট যে দিকেই যাক, খেলা চলতেই থাকবে। জনগণের করের টাকা কার কার ঘরে উঠবে। কতটা বিপুল পরিমাণে উঠবে। খেলাটা সেখানেই। শুকনো আঙ্গুল চুষতে চুষতে জনগণের আঙ্গুল ক্ষয়ে যাক। হেজে যাক। শুধু নির্বাচনের পবিত্র দিনে ভোটটা দিয়ে যেতে হবে। খেলোয়ার যেই হোক না কেন।
২৬শে মার্চ’ ২০২১
কপিরাইট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন