ফোন'টা রেখে কয়েক মুহূর্ত চুপ করে বসে রইল শুক্লা। চোখদুটো তার সানির উপর পাথরের মত স্থির তখন।সানি অবশ্য বেশ নির্বিকার।ততক্ষণে সে সোফার এক কোণে বসে একটা পা আরেকটা পা'য়ের উপর তুলে জুতোর লেশটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে শুরু করে দিয়েছে।শুক্লা তার দিকেই তাকিয়ে আছে বুঝতে পেরে শেষমেশ লেশ'টায় একটা টান দেয়।জুতোজোড়া খোলা হলে সেগুলোকে খুব স্বাভাবিক ছন্দে বারান্দার দিকে হেঁটে গিয়ে র্যাকে রেখে আসে। তারপর সোফা থেকে ব্যাগটা তুলে শান্ত পা'য়ে নিজের ঘরের দিকে এগোয়।
__"দাঁড়া, কথা আছে তোর সাথে"।
শুক্লার কানে তুহিনের কথাগুলো তখনও বাজছে। এমনিতেই সানির যেকোন ব্যাপারে পান থেকে চুন খসলেই বাড়ি মাথায় তুলে নেয় তুহিন, তার উপর এইরকম একটা কান্ড!.... তুহিন পুরো ক্ষেপে যাওয়ার জোগাড়। রাগে আগুন হয়ে ফোনে সে যা পারলো বলে গেল শুক্লাকে।বরাবরের মত এবারেও শুক্লা চুপচাপ সব শুনে গেল, কোন উত্তর করল না।যদিও শুক্লার দিক থেকে সানির ব্যাপারে কোন ত্রুটি থাকে না কিন্তু তবুও জবাবদিহির খাঁড়া তার মাথার উপর সবসময় ঝুলছে।আর আজকে সানির এই কীর্তি কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিল প্রায়।
__"সানি, আমার কিছু প্রশ্ন আছে, একদম সত্যি উত্তর চাই।কিচ্ছু লুকোবি না তুই"__
___"মা, আমি চেঞ্জ করে আসছি,খুব ক্ষিদে পেয়েছে"___
এই ফেব্রুয়ারিতে তেরো পূর্ণ করে চোদ্দতে পা দিল সানি, তুহিন আর শুক্লার একমাত্র সন্তান।পড়াশোনায় বেশ ভালোই।তুহিন - শুক্লা দুজনেই লেগে থাকে।শুক্লার উপর দায়িত্বটা বেশি, চব্বিশ ঘন্টা সানিকে প্রদক্ষিণ করেই যে তার জীবনযাপন।তুহিন সাতসকালে বেড়িয়ে রাত করে আসে,চন্দননগরে অফিস।তাই সেইভাবে ছেলের দিকে নজর দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না ওর পক্ষে, উইকেন্ড ছাড়া।কিন্তু শুক্লার উপর তুহিনের নজর থাকে পুরোদমে.... মানে শুক্লা কতটা এফর্ট দিচ্ছে সানির জন্য তার উপর।অনেকটা ঐ সরকারি অফিসগুলোতে ইয়ারলি অডিট হয় যেমন ঠিক সেরকমই শুক্লার ডিপার্টমেন্টের দৈনিক অডিট হয়,তুহিন করে।আর হিসেবপত্রে কোন গরমিল পেলেই শো-কজ।
সুজির বাটিটা সানির দিকে এগিয়ে দিয়ে শুক্লা ওর সামনে চেয়ারটা টেনে বসল।সানি তখনও বেশ নির্বিকার।মুখে কোথাও এতটুকু লজ্জা,ভয় বা অপরাধবোধের ছিঁটেফোঁটা নেই।আর শুক্লার এখানেই ভয় হচ্ছে,রাগও হচ্ছে বেশ।একে তো নম্বরের এরকম ছিরি তার উপর এইরকম গাছাড়া ভাব?
__"সানি, এবার তুই বলবি কেন এরকম হল? এক্সজ্যাম রুমে কি নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলি?.....ঘুম এসে গিয়েছিল তোর?....বল কিছু, আমাকে বল, বাবাকে না হয় আমি ম্যানেজ করে নেবো"__।
সানি চুপচাপ খেয়ে চলল।একটা প্রশ্নেরও উত্তর দিল না।কিরকম একটা ঔদ্ধত্য আছে মনে হচ্ছে সানির হাবেভাবে।খাওয়া হয়ে গেলে চেয়ার ঠেলে উঠে দাঁড়ালো__
___"বাবাকে নিয়ে ভাবতে হবে না মা, তোমাকে কিছু ম্যানেজ করতে হবে না....বাবাকে আমিই বলে দেবো, তুমিও জানবে সব তখন, সব বলব"___।
___"কি বলবি? সেটা এখন আমাকে বলা যাবে না?"
___"না, যাবে না। বাবা আসুক,তখনই বলব"।
সানি নিজের ঘরে চলে গেল।শুক্লা অবাক চোখে তাকিয়ে দেখলো শুধু।
সানি ছেলেটা এমনিতে খুব চুপচাপ স্বভাবের।ওর বয়সী অন্যান্য ছেলেরা যেখানে ঘরে-বাইরে দাপাদাপি করে বেড়াচ্ছে, সানি সেখানে হয় বারান্দায় বসে আঁকা-আঁকি করে কিংবা হয়তো অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আনানো ঝুড়ি ঝুড়ি সায়েন্স-ফিকশনের বইগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করে।অপ্রয়োজনীয় কথা নেই মুখে, অন্যায় আবদার নেই, নেই কোন বাজে কৌতূহল কিন্তু লক্ষ্য করে সব, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা তীব্র।এক কথায় বেশ বিজ্ঞ গোছের ছেলে।কিন্তু আজ একটু বেশিই গম্ভীর। শুক্লার চিন্তাটা ঠিক এই কারণেই।
___"ঠিক আছে বাবা এলেই না হয় সব বলিস, কিন্তু মা'কে শুধু এইটুকু বল তুই আমার সাবজেক্টসেও এইরকম করলি কি করে? আমি যতদূর দেখেছিলাম তুই বেশ ভালোই তৈরি ছিলিস। তাহলে? "____
শুক্লা সানির পিছুপিছু ওর ঘরে গিয়ে সানিকে সামনে দাঁড় করিয়ে ওর হাতদুটো নিজের হাতে নিয়ে প্রশ্নটা করল।সানি তবুও চুপ, শুধু চোখদুটোয় এবার জল চিকচিক করছে মনে হল।
__"কি হয়েছে বাবু? কষ্ট হচ্ছে?...বল আমাকে, যা মনে হচ্ছে বল....চুপ থাকিস না?"__
__" তোমার সাবজেক্টস মানে?"
শুক্লা এক সেকেন্ড চুপ থেকে __
__"কেন ইংলিশ আর সোশ্যাল সায়েন্স, যেগুলো আমি দেখে দিই তোকে?"___
সানি হাতদুটো ছাড়িয়ে নিল।কিচ্ছু বলল না।শুক্লা আরও এক-দুবার ওর কাছ থেকে জানার চেষ্টা করল কিন্তু কোন লাভ হল না।শুক্লা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না ঠিক কি হয়েছে সানির, কেন এমন হল।ওর কি পড়াশোনা নিয়ে ভীতি তৈরি হয়ে গেল? যদি তাই হয় তাহলে ইমিডিয়েট কাউন্সেলিং দরকার। আর প্রথম কাউন্সেলিং ঘর থেকেই হওয়া উচিৎ, খুব ভালো হয় তুহিন যদি এগিয়ে আসে।তুহিনের কথা মনে পড়তেই শুক্লার ভিতরটা কেঁপে উঠলো।প্রমাদ গোনা শুরু করে দিল।তুহিন এসেই না শুরু করে দেয়! শুক্লাকে তো ছাড়বে না,ছেলের উপরও চড়াও হবে। এইসব ভেবে শুক্লার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে কেমন যেন অসাড় হয়ে গেল।
খ)
রাতের খাওয়াদাওয়ার পর্ব শেষ। তুহিন খুব কষ্টে এতক্ষণ পর্যন্ত দাঁতে দাঁত চিপে শান্ত হয়ে ছিল।শুক্লাই আসলে পইপই করে তুহিনকে বলে রেখেছিল খাওয়ার আগে কোনরকম অশান্তি যেন সে না করে।ছেলেটা খেয়ে নিক তারপর না হয় যা বলার বলুক।তুহিন রাজি হয় তবে শুক্লাকে অতখানি খাতির করতে নারাজ সে।আর তাই শুক্লাকে বেডরুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে যা মনে হল বলে গেল।প্রতিবারের মত শুক্লা এবারেও চুপচাপ শুনলো। উত্তর দিল না।আসলে তুহিনের প্রশ্নগুলোই এমন হয় যে তার ঠিক কি উত্তর হতে পারে শুক্লা বুঝে উঠতে পারে না।কিছুক্ষণ পাথরের মত সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে শুক্লা যখন বেডরুম থেকে বেরিয়ে আসে, দু চোখ ভর্তি জল নিয়ে, তখন দেখে সানি পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে, সব শুনেছে সে কিন্তু একটাও শব্দ উচ্চারণ না করে নিজের ঘরে চলে যায়।
___"বাবা,তুমি বাড়ি এসেই মা'কে কি বলছিলে যে মা কাঁদছিল?"__
খাওয়াদাওয়ার শেষে সানির প্রশ্ন।
ঘরের মেঝেতে সূঁচ পড়লেও বোধহয় শব্দ হবে এমন নিস্তব্ধতা নেমে এলো।শুক্লা এঁটো থালাবাসন তুলছিল, অজানা এক আশঙ্কায় বুক তার কেঁপে উঠলো....ধীরেধীরে চেয়ারটায় আবার বসে পড়লো। তুহিন তখন পাথর কঠিন চোখে ছেলের দিকে চেয়ে।কোনরকম কোন আঁচ পায়নি সানির দিক থেকে এরকম কোন প্রশ্ন আসতে পারে বলে।একটা চোদ্দ বছরের ছেলে তার বাবার কাছ থেকে জানতে চাইছে যে সে তার মায়ের সাথে কি করেছে, কি বলেছে?...জবাবদিহি চাইছে?
___"এতটা সাহস হয় কি করে তোমার সানি? আমার আর মা'য়ের মাঝে কি কথা হয়েছে সেটা নিয়ে তুমি জিজ্ঞেস করতে পারো না!"__
চড়া গলায় বলল তুহিন।রাগে তার চোখমুখ লাল।
___"সরি বাবা, আর জিজ্ঞেস করব না....কিন্তু তুমি তো মা'কে প্রায় সময় আমার সামনেই বকাবকি কর, তখন? সবেতেই মা'য়ের দোষ দ্যাখো! আমি এক্সজ্যামে ভালো না করলে মায়ের দোষ, আবার এক্সজ্যামে ভালো করলেও তো মায়ের দোষ!___
___"হোয়াট রাবিশ! কি বোকার মত বলছ তুমি, ভালো মার্কস আনলেও আমি মা'কে দোষ দিই?"__
__"দাও তো?"
শুক্লার এবার মনে হচ্ছে গোটা পৃথিবীটা যেন প্রচন্ড গতিতে ঘুরছে, ভয়ানক প্রলয়ের মুহূর্ত আসন্ন। কোনরকমে একবার শুধু চেষ্টা করল সানিকে চুপ করতে বলার জন্য।কিন্তু শব্দগুলো প্রায় নিঃশব্দে উচ্চারিত হল,পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে শুক্লার দম বন্ধ হয়ে আসার মত অবস্থা প্রায়,গলা দিয়ে কোন স্বরই বেরোচ্ছে না।
__"সেদিনই তো দিলে...ঐ যেদিন আমার ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষার রিপোর্ট কার্ড এলো"।
সানির গলা কাঁপছে, চোখে জল কিন্তু বাবার সামনে এতটুকু ঘাবড়াবে না এই মনোভাব স্পষ্ট ওর শরীরের প্রতিটি ভাষায়, হাত-পা শক্ত করে চোখে চোখ রেখে বলে চলল___
___"ফার্স্ট টার্মে ম্যাথ আর সায়েন্সের মার্কস বেশি ছিল ইংলিশ এ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের চেয়ে....তোমার মনে নেই তুমি মা'কে কি বললে? আমার মনে আছে, তুমি বললে --পড়ানোর জন্য টেকনিক লাগে, তুমি সেটা জানো, মা জানে না আর তাই তোমার সাবজেক্টসে বেশি মার্কস এসেছে মায়ের সাবজেক্টেসে আসেনি।"__
তুহিন বিস্ফারিত চোখে সানির দিকে চেয়ে। সানি বলে চললো ___
____"আর লাস্ট ইয়ার ফাইনাল এক্সজ্যামে ইংলিশে যখন ম্যাথের চেয়েও বেশি মার্কস এসেছিল তখন মায়ের কি আনন্দ! আমার মনে আছে রিপোর্ট কার্ড হাতে পেয়েই মা বলেছিল__'আসুক তোর বাবা,এবার দেখি কি বলে!"__
___"কিসব বলে চলেছিস তুই এ্যাঁ? আমি এইসব বলেছি? আর তুই বাবার সাথে এইরকম তর্ক করছিস?
শুক্লা কোনরকমে বলে উঠলো__
___"মনে করে দ্যাখো মা তুমি এটাই বলেছিলে। আজও তো বললে 'আমার সাবজেক্টসেও বাজে মার্কস হল?'....মা, তুমি আর বাবা সাবজেক্টগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছ প্রথম থেকেই, আর এই সাবজেক্টগুলো নিয়েই তোমাদের মধ্যে কম্পিটিশন চলে।কিন্তু কেন?"__
শুক্লা এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে কথা ঘুরিয়ে দিয়ে তুহিনকে হাত ধুয়ে শোওয়ার ঘরে চলে যেতে একপ্রকার মিনতি করলো।কথাও দিল সময় করে সে ছেলেকে বুঝিয়ে বলবে, রেজাল্ট খারাপ করে এইভাবে অন্যদের উপর দোষ চাপানো যায় না, এগুলো চূড়ান্ত অসভ্যতামি।__
___"মা, আমার রেজাল্ট খারাপ হয়নি....হ্যাঁ বাবা, আমার রেজাল্ট খারাপ হয়নি"।
এইবার তুহিন আর থাকতে পারলো না__
___"রেজাল্ট খারাপ হয়নি মানে? ম্যাথে 'সি', সায়েন্সে 'বি-প্লাস', ইংলিশ - বেঙ্গলিতে 'বি', আর বলছ...."__
___"ওগুলো সব ইচ্ছাকৃত বাবা! "__
তুহিন আর শুক্লা দুজনেই বাকরুদ্ধ।ঠিক কে কোথা থেকে শুরু করবে বা ঠিক কোথায় সানিকে তারা থামাবে কিছুই বুঝতে পারছে না।আসলে তারা বুঝতে পারেনি কখন তাদের অজান্তে তাদের দুজনের পারস্পরিক সম্পর্কের হিসেব-নিকেশটা সানির কাছে ধরা পড়ে গেছে।বুঝতে পারেনি ছেলেটার অনুধাবন ক্ষমতা এততাই প্রবল যে তাদের মধ্যেকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ওর কাছে এইভাবে স্পষ্ট হয়ে যাবে।
___"প্রতিবার রিপোর্ট কার্ড এলে তুমি দ্যাখো তোমার না মা'য়ের কার সাবজেক্টসে আমি বেশি মার্কস পেয়েছি....এটা দ্যাখো না রিপোর্ট কার্ড কেমন এসেছে। আর সুযোগ পেলেই মা'য়ের টেকনিক নিয়ে মা'কে বকাবকি কর....কেন বাবা? অথচ মনে মনে খুশি হও তুমি জিতে গেছ বলে আর মা হেরে গেছে বলে। আবার উল্টোটা হলে মা আনন্দ পায়, তোমার মত হয়তো কিছু বলে না কিন্তু আমি জানি মা'র আনন্দ হয়।কিন্তু সবটাই কি টেকনিকের জন্য? আমার হার্ড ওয়ার্কের কোন দাম নেই? কখনো তো আমাকে বল না 'ইউ হ্যাভ ডান ওয়েল ইন ম্যাথ এ্যান্ড সায়েন্স বাট নেক্সট টাইম ট্রাই হার্ড ফর ইংলিশ এ্যান্ড বেঙ্গলি অলসো'?....মা, তুমিও তো এরকম কিছু বল না, উলটে বল --'দিলি তো তোর বাবার কাছে আমার নাক কেটে?'....তোমরা কেন বল এইসব?"__
একনাগাড়ে বলে গেল কথাগুলো সানি।গোটা শরীরটা রাগে, অভিমানে কাঁপছে।তুহিন চুপ, আত্মগ্লানির আঁচ পাওয়া যাচ্ছে ওর চোখেমুখে ।শুক্লার চোখের ফোঁটা ফোঁটা জল দু গাল বেয়ে গড়িয়ে ঘরের মেঝে ভিজিয়ে তুলছে।তুহিন আর শুক্লা দুজনেই এবার বুঝতে পারছে যে ইগোর বিশ্রী লড়াইয়ে তারা তাদের ছেলেকেই ক্ষতবিক্ষত করেছে ।আর শুধু তাই নয় এই সর্বনাশা লড়াইয়ের চূড়ান্ত ফলাফল হল দুজনেরই পরাজয়.....সবদিক থেকে সর্বোতভাবে পরাজয়।
__সরি বাবা, সরি মা তোমাদের কষ্ট দিলাম কিন্তু আই হ্যাড টু ডু দিস টু প্রুভ মাইসেল্ফ....এ্যান্ড প্লিজ ইউ বোথ স্টপ ফাইটিং রিগার্ডিং মি.....প্লিজ ডু আন্ডারস্ট্যান্ড"।
কয়েক মুহুর্ত সবাই চুপচাপ।তারপর তুহিনই নিস্তব্ধতা ভাঙে।হাত ধুয়ে সানির পাশের চেয়ারটায় এসে বসে।খুব আলতো করে সানির পিঠে হাত বুলিয়ে__
___"ওকে লেটস্ ফরগেট এভিরিথিং এ্যান্ড চল্ আমরা তিনজনেই আমাদের কামিং এক্সজ্যামের জন্য লেগে পড়ি"__
সানি কিছুটা অবাক।তুহিন বাঁ চোখটা টিপে মুচকি হেসে___
___"তুই তোর স্কুলের এ্যানুয়াল এক্সজ্যামের জন্য তৈরি হবি আর আমি আর তোর মা আমাদের ঘরের এক্সজ্যামের জন্য তৈরি হব....প্রমিস নো মোর কম্পিটিশন রিগার্ডিং ইউ.....ডান!!"__
সানির মুখে নিমেষে হাসির ঝিলিক খেলে গেল।আর শুক্লা এবার এঁটো বাসনগুলো নিয়ে উঠে দাঁড়ালো।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন