সায়ন্ন্যা দাশদত্ত

শীতকালীন গদ্য




হাসিমুখ ছবিগুলির নিচে ....হয়ত বামপাশে অথবা আরো দীর্ঘতম কোন সুড়ঙ্গের নিচে অন্তিম ফোন কল। অন্তিম হিসেব নিকেশ চলছে গোপন একটি দুপুরে। বাইরে প্রবল রোদ্দুর। আগুনের মতো হলুদ অথচ উত্তাপহীন ,আলগা।

- ভালো রইবে ?
- শীতকাল তো।
- কথা বাকি ছিল।
- আজকাল বড্ড ট্রাফিক ! গভীর নীল শাড়িটি বহুদিন আগেই হারিয়ে ফেলেছি। তোমাকে বলা হয়নি ....কেন কে জানে ? আজ বললাম  ....কেন কে জানে ?
- তবে কি ঐটুকুই ?
- আরো অনেকটা হাঁটতে হয়ত পারব না। আহা নলেন গুড়ের ঘ্রাণ। খেজুর গাছটির পেছনে সূর্য নেমে যাচ্ছে। এরপর রাত্রি এবং এরপর ঘুম ।
- এরপরও কথা ছিল ! শুনবেনা কখনো ?
- আমাদের একটি অন্ধ কুকুর ছিল জানো ? রাত বাড়লে আমায় ছুঁয়ে থাকত। একটি ময়লাটে চটের নিচেই ওর যতো সুখ। ভালবাসা কি অন্ধ নাকি গো ? আজকাল বুঝিনা ভালো !নিজেকে আর ভালবাসিনা ; জানো !
- আসলে তো তুমিই একমাত্র।
- আসলে হয়ত শীতই শুধু সত্যি। রোদ্দুর বলে কোথাও কিছু হয়না।
- এরপর ?
- আমার এখন অবসরে ভয়। আঙ্গুলে শীত জমা অশুভ লক্ষণ ; বলো ?
- আর আমাদের গল্প ?
- শীতকাল ছাড়া ইদানিং কিছু মনে নেই গো। রোদের দিন সবটাই কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসে !
- এতো নিষ্ঠুর তুমি ?

- কুঁচকে আসছে চামড়া। মেহগনি গাছটি আজ উন্মাদ হয়ে গেছে ! পাতা এবং বল্কলগুলি খুলে রেখে ও কেবল ফিরে আসতে চায়। অথচ কি অদ্ভুত দেখো ! এখন আমাদের একটিমাত্র ঋতু জীবন্ত।
- বিদায়। আমায় আজ ফিরতেই হবে ...দূরে ঘন রোদ্দুর এবং কমলালেবু গন্ধ।
- এসো। শুভ শীত। পৃথিবীর যাবতীয় কম্বল ও ফায়ারপ্লেসে বেঁচে থেকো তোমরা।






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ