বিধ্বস্ত বাড়িতে
পৃথিবীর যাবতীয় সুখানুভূতি বিতরিত হয়ে
থাকে আমাদের বাড়ির কেন্দ্র বিন্দু থেকেই
মেঘ টুকরো টুকরো হয়ে ভাঙে আকাশের বুকে
বিন্দু বিন্দু জমা জল থেকে ঝরতো নিত্য আশিস্ ...
আমাদের বাড়ির চিলে কোঠায় দুটো প্যাঁচা
নিবিড় সংসার পাতে ফি-সনে গ্রীষ্মের দাবদাহে
আমার পোয়াতি মেয়েটিকে দেখে পড়শিনী
বলে : প্যাঁচার ডাক কুমঙ্গলের প্রতীক ...
তাড়িয়ে দিতে পারিনি কোনদিনই ওদের
ছানাপোনা বড় হচ্ছে আমার নাতির মতন
ছানারা প্রতি রাতে ডাকে মাকে খাবার তাগিদে
মঙ্গলাচরণে কোন আহুতির প্রয়োজন নেই
যেদিন আর এক মেয়ে চলে গেল আমাদের
সেদিন থেকেই প্যাঁচাগুলো আর চিৎকার করে ডাকে না
ওরাও জেনে গেছে, বুঝে গেছে , যে চলে যায়
সে আর ফিরে আসে না ,ফিরবে না কোনদিনও
জীবনের সুখানুভূতিও শুকিয়ে যাচ্ছে বিধ্বস্ত বাড়ির প্রতিদিনই ।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন