তপন জানা



বিশ্বকবি


প্রনমী তোমায় রবীন্দ্রনাথ,তুমি বিশ্বকবি,
পাতায় পাতায় ফুটিয়ে তুলেছো এ বিশ্বের ছবি।
কবিতা,গল্প,নাটক,উপন্যাস সবেতেই তোমার জিৎ
তাতেও তুমি ক্ষান্ত নও,লিখেছো কত সংগীত।

বাতনা পুরস্কার,বাত সম্মান কুড়িয়েছো জগৎ সংসারে
“গীতাঞ্জলী” লিখে তুমি হয়েছো বিশ্বকবি, এ বিশ্বদরবারে।
রূপে,রসে,গন্ধে তুমি মাতিয়েছো সাহিত্য জগৎ
পত্রে পত্রে ছত্রে ছত্রে ফলিয়েছো সোনা,করেছো তারে মহৎ।

তোমার লেখনির সোনার ফসল “জনগণমন”
জাতীয় সংগীত করেছো দেশের, ভারতের গুনীজন।
আবাল বৃদ্ধ বনিতার কাছে, তুমিই রবীঠাকুর।
আসমুদ্র হিমাচল পূজে তোমায়, ভেবে প্রেমের ঠাকুর।

প্রচারিলে তুমি সারা বিশ্বের জীবনের জয়গান
স্বদেশ প্রেম জাগিয়ে তুমি রেখেছো দেশের মান।
লেখনি তোমার গর্জে উঠেছে সাম্রাজ্যবাদীর বিরুদ্ধে,
লিখতে তোমার হাত কাঁপেনি সমাজ কে শুদ্ধ করতে।

ইংরেজের দেওয়া “নাইট” উপাধি করেছো প্রত্যাখান,
সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ জাতির গর্ব অহংকার করেছো খানখান।
কতনা কষ্ট, কতনা দুঃখ পেয়েছো তোমার জীবনে
তবুও তুমি কলম রাখোনি, থেমেছে তোমার প্রয়াণে।

সাহিত্যের  আকাশে উদিত, তুমি উজ্জল রবীর মত
কাব্য বাগানে ফুটিয়েছো তুমি, পুষ্প শত শত
লক্ষ তারার মাঝে তুমি, ধ্রুবতারার সমান।
আঁধার রাতে আলোক জ্বালিয়ে গেয়েছো প্রভাতী গান।

একশোকোটিতর ভারতবর্ষে তুমি মধ্যমণি,
সাহিত্যের বালুচরে খুঁজেছো তুমি হাজার মুক্তোখনি।
পুস্পে পত্রে ফলে তুমি সাজিয়েছো কাব্যতরু
লেখনি ধারায় রসালো করেছো, তৃষ্ণার্ত আশাতরু।

প্রেমসুধা বরষণে তুমি এনেছ গানের প্রাণ।
মুখে মুখে শোনাযায় তাই তোমার জয়গান
প্রণমী তোমায় রবীন্দ্রনাথ শ্রদ্ধা ভক্তি দিয়ে,
চরণ তোমার পুজি,আমার নয়ন পদ্ম ঢেলে।

থাকলে তুমি বিশ্বমাঝারে ফুটতো কত কমল ,
শ্রদ্ধায় হয়তো মাথা নোয়াতো,কত না কাব্যকমল।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ