কলঘর
অবয়ব ঢাকো ৷
আমারও এক নদী পাড় আছে!
অস্পৃশ্য এ হাত ছোঁয় যদি ! শ্লীলতাহানি
তুমিই শেখালে ৷
শরীর তুমি নিজেই যদি পোশাক ভুলে থাকো ! এ কল-ঘর হোক এক নদী !
শাওয়ার খোলার শব্দটুকুই কামুক হয়ে আসে ৷
ভিজতে ভিজতে চল
দুটি শরীর জুড়ে জোনাক হয়ে জ্বলি ৷
খেয়াঘাট

আমি কোথাও
যাইনা আর
খেয়া ঘাটে আছি বসে ৷
অহমিকা ভাসিয়েছি জলে ...
জল নয় ৷ আতলান্তিক অশ্রু ৷
না দেখার অভিনয় ছিল !
উপধারাটি গো ! বানপ্রস্ত শেষ হল ! এসো
আমার শরীর বেয়ে নেমেছে শৈবাল ৷
হে আমার গোপনতম ৷ তুমি সব
জানো ৷ শুধু আমার
নোঙর খানি তুলে ধোরো ৷
জলঘাই

নদী ও পথ সব ফুরিয়ে এলে
জলের ভিতর জন্ম নেয় পথিক...
যেখানে প্রবাল সব বেঁধেছে সংসার ,
যেখানে মৎস্য কন্যারা পাথরের ভাঁজে ভাঁজে
রেখে গেছে স্নেহশিঞ্জন....
তাহাদের ভাঁঙা আঁশ হতে মিশে গেছে
সুবাস জলজ পথিকের নিমগ্ন বুকে...
ওইখানে পান্থশালায় প্রবাল গতির মতো
সময়ও ঘুমায় নীল কাঁকরার মায়াবিনী
চোখে.....
ওই পথে শান্তিশ্বাস ....
যতটুকু আবছায়া যাযাবর মন
বিস্তৃত জলডুব চেয়ে নেয়
মায়াকন্যার প্রেমজল...
আর কিছু স্নেহচুম্বন বুজবুড়ি হয়ে
ভেসে ওঠে ভাঙা পাড়ে .....
এই তো আমি যে পথ চিনে
জলঘাই পেয়েছি বুকে .....
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন