রবি-সমুদ্র
তিনি রেখে গেছেন সমুদ্র, বিধি-নিষেধের উর্ধ্বে।
চাইলেই যে কেউ যখন তখন নামতে পারবে, এতে।
কাটতে পারবে সাঁতার স্বাচ্ছন্দ্যে, শিশুভাগে।
রাস্তা বের করে এর তলদেশে যেতেও সক্ষম, ধীরে ধীরে।
সেখানে সাক্ষাৎ হবে রঙিন মাছের, ছোট বড়।
দেখবে এরা, জলজ ঝোপে, কী সুন্দর, নীরব, ঘুমে।
টিলা-টিকর বা পাথরের খোপে-খাপে
ঝিম ধরে আছে, অনেকেই।
সারাক্ষণ ঘুরতে অক্লান্ত, সরব – সংখ্যাটাও বেশ।
অনুসন্ধিৎসুর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সন্মুখে এগিয়ে গেলে, দেখবে,
মাছ, মাছ থেকে কীভাবে নিজেকে করে রক্ষা, নিত্য।
কোনটা কখনো জল ছিঁড়ে ভেসে ওঠে,
সহসা উড়াল খেঁচে – শতো গজ দূরে গিয়ে
আছড়ে পড়ে, ঢেউয়ের ওপর।
গাংচিলের হানা থেকে বাঁচতে খায় উড়ন্ত ডিগবাজি।
ডুবুরি বিদ্যাকে হাত করে যে কোনো ডালেই যাবে,
হাতে হাতে পাবে এর ফল –
বুঝবে, নোনা জল, মিঠা জল দেয়াল ছাড়াই দ্বন্দ্বহীন।
ভেদের বিবিধ স্তর করে না বঞ্চিত;
বরং আনন্দে ডালি ভরে দেয় মণি-মুক্তা
যা কখনো ফুরাবার নয়,
রবিকর্ম – এমন বিশাল এক সমুদ্রের নাম।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন