দে ব জি ৎ







প্রস্তুতি ছিল না আলোয় আসার, যত আবদার ছিল ওই জঠরেই। পেট ভারী করছিলাম, মুখটা অচেনা, কল্পনায় এঁকে নিয়েছিলাম তোর ছবি। চার হাত এক হয়ে আমায় করত আলিঙ্গন। আনন্দে দুই হাত পা ছুঁড়ে দিতাম, তুই ব্যেথা পেতিস। কষ্টটা আমি হয়ে যেত, গাল ছুঁয়ে বয়ে যেত অনুভুতি, অনুভব করতাম অসম্পূর্ণ আনন্দের প্রতীক। 

তুই আর পারলি না, উপড়ে ফেললি। অবাধ্য ছেলের মত সেদিন থেকে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করি, সময়ে বুঝে গেছি, জল শুকিয়ে গেছে, আবেদন নেই তোর জঠরে ফেরার, যুদ্ধের প্রস্তুতি টলমলে পায়ে। 

প্রতি যুদ্ধে হারতে থাকা, প্রথম জয় দাঁড়াতে শেখায়। তুই বুকে টেনে নিয়েছিলি। আর হামাগুড়ি দিতে দিস নি। চারহাত আর আলিঙ্গন জানায় নি, হাত পা ছুড়িনি, জয়ের অনুভুতি শুধু দেখেছিলাম তোর চোখে। 

সময় সমুদ্র, নৌকায় চেপে যাত্রা বুক ঠেলে। শিক্ষায় জাহাজের অধিকার নেওয়া, অট্টহাসি বড্ড ভয় পাই বলেছিলাম, মুখ বন্ধ করতে যত প্রয়াস, ভালবেসে ওই নৌকা আকড়ে ছিলাম, তুই আবারও পারলি না, জাহাজ ধরলি, একহাত দিয়ে চাইলাম... তোর জঠর আগলে রাখলি, হাতটা বুজে গেল ক্লান্ত পাতার মত। শুকনো নদীতে বান আসতেই ঝড়ে টলমলেো নৌকা সামলাতে হল, অনুভুতি হয়ে গেলি, দরজা আবজে দিলাম। 

লাঙ্গলের মত আঁকড়ে থাকা হাত, যুদ্ধ জাহাজের সাইরেন, তুই কোথায় যেন হারিয়ে গেলি, বাকি দুই হাতের স্পর্শ খুঁজতাম তোর হাতে। নেই কেউ নেই ভালবেসে মানুষগুলি অন্য জাহাজে, আমি বৈঠা হাতে নৌকায়। সময়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে, আমি যুদ্ধ করছি.. লাশ হয়ে, ক্ষয়ে যাওয়া হাতে। ভার্চুয়াল হাতের তীক্ষ্ণ আওয়াজ কানে বিঁধছে, বুঝে গেছি ডুবছে। 

আজ তুইও শত্রু হয়ে এসেছিস, নে কেটে নে অবশিষ্ট হাতটা। জানি এই হাতটা শুধু ভালবাসার অনুভুতি নিতে শিখেছে, তুই বলেছিলি যুদ্ধ কর...

ওই হাতটা তো তোর জঠরেই রেখে এসেছি।







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ