বাংলাপাত
১।
ভাঙা শরীর, পলেস্তারা শিল্প সাজিয়ে
বসে আছে চোখফুল, আঙুল
আহা, বাড়ুক খিদের বয়স… বাড়ুক তীব্র দহন…
আমাদের ভাতের তরকারি ‘ভাতছানা’ তখন, অমৃত ।
২।
তসবী আঙুলে দরবেশ নামতাগাছ ।
ধ্যান থেকে যৌবন সোহাগের মারামারি
খাচ্ছে না,
ধর্মাভ্যাসে পেটমুক্তি । নামমাত্র…
অনিশ্চিত এই লাট্টুকে টপকে ওই মহাশূন্যই একদিন খাদ্যাগার
এই নিরুপায় মগ্নতায় ফতনা ডুবুক… জীভের হাড়হীন
হত্যাপ্রকল্পের কেলাস.. কেলাস..
মাটির হস্তরেখায় গজিয়ে তুলবে আসমানি কেল্লা । বাংলাপাত ।
৩।
সফেদ দাঁতগুলো ক্রমশ মিউজিয়াম হয়ে সাজছে ।
লুপ্তপ্রায় মুঠোয় ঢেঁকির আওয়াজ ওই
তিন.. দুই.. এক.. করে বরফ
চলো, বরং একটা রেঁস্তোরা খুলি;
বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা থাকবে ভোটভিখারীর পথ
বাকি সব ফড়িং থেকে ফুড়ুত… সবাই
মেনুকার্ডে খেয়ে যাবে তেত্রিশ কোটি মানুষের নাম
যারা দেবতা সেজেছিল একদিন ।
৪।
একদিন যোনির রোশনাই, মাল্লাচোখ হুমড়ি খাবে
‘খিদে’ আর ‘অন্ধের’ পৃথক বানান লেখা হয় কেন?
মেহেরবান হও…
কিছু খাতিরের পাতায় লেখা থাক, পেটবিচ্ছেদের ছবি
অথবা দুধের কলা, অথবা কলার দুধ
ফস্ফস্ শব্দ থেকে চুইয়ে পড়ুক জাপানিরঙের সাপ
‘দানাপানি’ বলে কোনো শব্দ মনে পড়ছে? না…
কিছু বিদেশি মেহেমান, বন্দক নিয়ে গ্যাছে…
বদলে লোকসভা, বিধানসভা গুদামে ভরে দিয়ে গ্যাছে কুমিরমাংস ।
কে, কাকে খাবে ঠিক করে নাও। পারছো না? পারলে না?
পোয়াতি বউ পাতে উঠছে…
এমন কান্নার ওষুধ দিতে নেই, চিকিৎসক!
সেখ সাদ্দাম হোসেন
Reviewed by Pd
on
অক্টোবর ০৬, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
অক্টোবর ০৬, ২০১৫
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন