নীতুর অ্যাপার্টমেন্টে গেলেই দুজনেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। সবসময় যাওয়া হয় না। ওর স্টুয়ার্ড হাজবেন্ডের ফ্লাইট থাকলে খবর দেয়। নীতুর জন্য যতোটুকু টান তার চেয়ে অনেক বেশী লোভ ওর ফ্রিজে থরে থরে রাখা বোতলগুলোর প্রতি। অবশ্য নীতুর বিষয় আলাদা, কেন যেন মনে হয় আমার প্রতি নীতুর টান আগের চেয়ে অনেক বেশী বেড়ে গেছে।
নীতুর ফোন পেয়ে তাই ওকে না করতে পারলাম না। ব্রান্ডি, রেডওয়াইন আর ভদকা দিয়ে নীতু যে স্পেশাল ককটেলটি বানিয়ে দেয় তা কি আর উপেক্ষা করা যায়! বেশ কয়েক পেগ পেটে পড়লেই নীতুর হাতের খেলনা হয়ে যাই আমি। মন্দ কি! আজও ও আমাকে নিয়ে খেললো। হঠাৎ করেই দেওয়াল ঘড়িটায় চোখ পড়লো। ঘন্টার কাঁটা রাত এগারোটা ছুঁই ছুঁই করছে। জাতে মাতাল তালে ঠিক হয়ে লাফ দিয়ে উঠি। বলি, 'নীতু এবার যে আমায় উঠতে হয়।' নীতু বাধা দেয় না।
মোড়ের দোকান থেকে হাকিমপুরী জর্দা দিয়ে পান চিবুতে চিবুতে বাসার দিকে এগুলাম। কলিং বেল বাজাতেই বৌ দরজা খুলে দিলো। নাকে চাপা দিয়ে বলে উঠে, 'আজো তুমি ঐ সব ছাইপাশ গিলে এসেছো? আজকাল মাঝে-মধ্যেই ..মদখোর বন্ধুবাস্ধবও জুটিয়েছো বেশ!' বাংলার প্রভাষক ভদ্রমহিলা যে কি করে সবকিছু টের পেয়ে যায়। ভিতরে ঢুকতেই সার্টের গায়ে লেপ্টে থাকা কিছু একটা আলগোছে ধরে চোখের সামনে মেলে ধরে। 'বাহ, শুধু মদ নয়, আরেক ম-ও জুটিয়েছো তাহলে?' আমি দেখি পুলসিরাত, পা দুটো টলোমলো করতে করতে এগুতে লাগলো।
![]() |
| পরিচিতি |
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৫, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৫, ২০১৫
Rating:


কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন