সাঈদা মিমি

পরিচিতি  










কুমার পল্লীতে সূর্যোদয়




কুমার পল্লীতে সূর্যোদয়,
আমার শৈশবের বিস্ময় ঐ নকশাকাটা মাটির কলস।
দক্ষ আঙুলের বিমূর্ত ভালোবাসায় যেমন
বদলে যায় একতাল মাটি
তেমনি বিশ্বাসে একদিন
দাঁড়ালাম নগেন কুমোরের দাওয়ায়, বললাম
"আমাকেও বদলে দাও নগেন
এই পুরোনো শরীর আর ভালো লাগেনা,
কাজল পাউডার পারফিউমে ক্লেদাক্ত
শরীরের ছাঁচগঠন পাল্টে
দাও আটপৌড়ে অঙ্গশোভা.................."
নগেন হাসে না
তার বিস্মিত চোখ জিজ্ঞাসায় বদলে যায়, যেন
আমার যৌবনের শৈশবকে সে ঠাহর করে
উঠতে পারেনা।
জেদী চাওয়া থেকে নতজানু হই
আর্তিতে
ভিক্ষায়...............তখন
সে রহস্যময় হেসে প্রশ্ন করে,
"মন বদলাতে পারবি মা? যদি
মন তোর বশ হয়, আসিস সেইবেলা
আমি তোকে লক্ষীর বসন দেব।"

কুমার পল্লীতে সন্ধ্যা নেমেছে
শরীর ঢেকেছে মনের লজ্জা।



একদিন



একদিন আমি খুব মাতাল হবো, পৌষের 
অঘোর দিনে একা- 
খিড়কির জংধরা ছিটকিনি তুলে দিয়ে 
পান করবো অধরা শিশির 
কুচিন্তায় বদলে যায় ভাগ্যরেখার যত দাগ, 
পশুর স্বভাব মধ্যরাতে স্বদন্ত দেখায়....



চিত্রকল্প


হাওয়ার গোঙানী নেই, জনপদে ঝিমুনির 
রেশ, জ্বলে ওঠা বর্জ্য ঘিরে অনেকেই 
বসে ছিলো ঘোলাটে শরীরে, ঢেউয়ের 
ঘূর্ণিগুলো ছোট ছোট চরপথ আগলে এগোয় 
লন্ঠনের আলো আসে-
রাতের আশ্রয় পাওয়া যাবে? 
চেনা সব বাড়িঘর কুয়াশার কাফনে মোড়ানো ।



কয়েকটি


০১
অনেকদিন হাঁটিনি বুনোবৃষ্টিতে
একা কোন নিরুদ্দেশ পথ,
সজনে ডালের ফাঁকে সারাটা
দুপুর ডাকে পাগলী ঘুঘুটা।
০২
যতনে বাইন্ধা রাখি
বিনুনীর ফুল-
চোখের কাজলে বান্ধি
নওটংকী মন
০৩
জিপসী রাতের গায়ে
জমে আছে
অরণ্যের ঘ্রাণ. অগোচর
ভিজে যাই অসময়ের বৃষ্টিতে।
০৪
সত্যপ্রেম, থাকো।
মৌসুমী আভার পথ-
উড়ে গেলো গাঙচিল,
সমুদ্র সবাক
০৫
বাউল বাতাসের সাথে
পাল্লা দিয়ে দিন বদলায়-
ফসফরাসের বনে স্বর্ণঝুরি,
একে তুমি কি বলো?
আমি বলি ‘মাইডাস টাচ’







সাঈদা মিমি সাঈদা মিমি Reviewed by Pd on জানুয়ারি ২৬, ২০১৫ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.