শীতের রাত। প্রসব যন্ত্রণায়ে কাতর এক মা। হাসপাতালের এক তলাটা অন্ধকার। ঝুল মাখা কোলাপসিবল টানা মেনগেট । রাতে এই গেট বন্ধ থাকে। তালা দেওয়া।
পাশে একটা ছোট ঘর আছে । তার ভেতর দিয়ে একতলার ওয়ার্ডে ঢোকা যায়ে । রাত্রে ঢুলু ঢুলু চোখে দারোয়ান এই ঘরের ছোট দরজা ফাঁক করে পেসেন্ট ঢোকায় ।
পাঁচ তলায়ে লেবার রুম। তিন তলায়ে ওটি। নাইট ডিউটি দেওয়া বাচ্ছা ডাক্তাররা ওপরের ছোট্ট ঘরে, লেবার রুমের পাশে রাত কাটায়। রুগি এলে নিচ থেকে বেল দেয় দারোয়ান । লিফট চড়ে রুগি দেখতে নিচে নামে ডাক্তারদের এক জন । পরীক্ষা করে ঠিক করে ভর্তি করবে কি না।
থার্ড ক্লাস স্টাফ সবাই ঘুমোয়ে । ফোরথ ক্লাস স্টাফেরা ও । খালি দারোয়ান জেগে থাকে।
অন্ধকার ফাঁকা সিঁড়ি দিয়ে নামতে ভাল লাগে না। বাচ্চা ডাক্তাররা তাই আগেই লিফট চালাতে শেখে। এমনকি চলন্ত লিফট থামাতেও শেখে। লিফটের ভেতরের দরজাটা হাত দিয়ে টেনে ফাঁক করে দিতে পারলেই সেটা থেমে যায় । মাঝ রাস্তায়ে উঠে পড়া যায়ে তাতে।
রাত্তিরে হাসপাতালটা এদের হাতেই। এই সব সদ্য হওয়া এমবিবিএস । ছেলে মানুষী নীতি বোধ ,আদর্শ, ডাক্তারি বিদ্যা ফলানোর আন্তরিক ইচ্ছা্ , মানুষকে বাঁচানোর ক্ষমতা অর্জন করার অহঙ্কার ,টগবগ করে ফুটতে থাকে। তালগোল পাকায়ে ভিতরে। এরা কাজ করে প্রাণপন । বিদ্যা, বুদ্ধি ,পরিশ্রমী চেষ্টার শেষ সীমায়ে না পৌঁছালে বড় ডাক্তারদের দ্বারস্থ হয় না। অবশ্য ফোনে বিরক্ত করতে চাইলেও সব সময়ে যোগাযোগ করা যায় না। তবু খুব বিপদে পড়লে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা এসে পৌঁছাতে তো কিছু সময় লেগে যাবে।ততক্ষন তো রুগি junior ডাক্তারের হাওয়ালেই ।
অতএব রাতের হাসপাতাল এদেরই রাজত্ব। এরা কাজ করে বুক ফুলিয়ে। কোন গণ্ডগোল হলে , মার খায় সবার আগে। তাও শরীর মনের শেষ বিন্দু শক্তি দিয়ে রুগিকে সারিয়ে তোলার লড়াই চালায়ে অ্যানগ্রি ইয়াং ডাক্তারের দল।শীতের রাত হাসপাতালে বড় বেশি কষ্টের । বারান্দায়ে কোনও কাঁচ নেই। হু হু হাওয়া ভিতরের ঘরগুলোকেও কাঁপিয়ে দেয়। দরজার শার্সি ভাঙ্গা। কাগজের তাপ্পি মারেন সিস্টার'রা । তাতে ঠাণ্ডা আটকায় না বিশেষ । রুগি দেখা মানেই , পচা ঠাণ্ডা কলের জলে হাত ধোয়া । কেউ উঠতে চায় না। সবাই সবাইকে ঠেলে । ঘুম চোখে কেবিনের খাট থেকে নামতে কারো ভাল লাগেনা ।
সে দিন বেল শুনে নিচে নেমেছে খুকি ডাক্তার । ব্যাথায়ে অস্থির মা। আগে পাঁচটা বাচ্ছা আছে । এটা ছ নম্বর। আগের বাচ্চাগুলো বাড়িতেই হয়েছে । কিন্তু, এবারের কষ্টটা বড় বেশি। ডাক্তার খাতায়ে নাম লিখতে লিখতে চোখ তোলে । “ পাঁচটা বাচ্চা ! এবার বন্ধ হওয়ার অপারেসান করবে তো? “মা যন্ত্রণায়ে কাতরাচছে ,জবাব নেই। সঙ্গের নোংরা জামা কাপড় পরা বাড়ির লোক কি জানি বিড়বিড় করে । ছোট ডাক্তার ঠিক করে ফ্যালে , লাইগেসান করিয়েই ছাড়বে। এখন তো শুধু মায়ের কন্সেন্ট-ই যথেষ্ট । টিপছাপ দিলেই চলে ।
মনেমনে ইংরিজিতে গালি দেয় । ডিসগাসটিং । এদের জন্যেই তো দেশের এই অবস্থা । ব্যাবস্থা আছে । আইন আছে। তবু এরা এগোয় না। গ্লাভস খুলে শ্যাওলা ধরা ভাঙ্গা বেসিনে হাত ধুয়ে ফেলে ডাক্তার ।
ওপরে লেবার রুমে যুদ্ধ চলে । হিন্দু মেয়েরা চেঁচায়ে ,”মা, কাকি। অ জেঠী গ...” মুসলমান রোগিণীর একমাত্র ভরসা আল্লাহ। তারা শিশু কাল থেকেই বোধ হয় মানুষের ওপর ভরসা রাখা ছেড়ে দিয়েছে । মাঝ রাতের মধ্যেই ডাক্তাররা বোঝে , এই ছ ' নম্বর বাচ্চাটা স্বাভাবিক ভাবে বেরোবে না। রাতে সিজারের অনেক হ্যাপা ।ওটি সিস্টারকে তোল। আয়া মাসির হাতে খাতা পাঠাও অ্যানাস্থেটিসট-এর কোয়ার্টারে । আবার সেই খাতায়ে ইনটিমেসান দাও বাচ্চার ডাক্তারকে । রুগিনিকে রেডি করে ওটিতে নিয়ে পৌঁছও ।
রাতের নিঝুম হাসপাতাল । কেউ নড়তে চায়ে না । ট্রলি ঠেলার লোকেদের ডাকলে চুল্লুর ঘোরে যে অপরূপ অকথ্য গালি বেরো'য় , সেটা খাবার থেকে নিজেরা ট্রলি ঠেলে নিয়ে যাওয়া , অনেক বেশি আরামের ।
সিনিয়ার সিসটাররা খেঁচানি দেন। “পারলেন না বের করতে? এই রাতে জালাচ্ছেন? এখন লাইট জ্বালিয়ে ইনস্ট্রুমেনট সাজাতে হবে? দাঁড়ান । জল গরম হয়েছে কিনা দেখি। “ হাউস সার্জেনরা ঠাণ্ডায়ে জামা ছেড়ে সবুজ গাউন চাপাতে চাপাতে ঘ্যান ঘ্যান করে। “ধুত। আমাদের ভাল লাগছে যেন , না? পারলে করুন না বের আপনারা । যত্তসব ... । খুকি ডাক্তার ঝগড়া মেটায়ে তাড়াতাড়ি ।
“ দাঁড়া না , এই তো হয়ে যাবে। কি করব সিসটার । দেখুন ফিটাল হার্ট বিট কমে যাচ্ছে। পাঁচটা হোম ডেলিভারির হিস্ট্রি , তাও ... । ওর তো হেঁটে হেঁটে রাস্তায়ে বেরিয়ে আসার কথা । কিচ্ছু কমপ্লিকেসান না থাকলে কি আর ......।
“অ্যাঁ !”ওটির ভেতরের একটা ছোট খুপ্রি থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসেন মেট্রন । মাঝ বয়েসী , শামলা রঙের ছোটোখাটো মানুষ। শক্তপোক্ত লাট্টুর মত চেহারা । অসম্ভব স্মার্ট । মাথার সাদা ক্যাপ থেকে শাড়ির ওপর কোমরের চওড়া বেল্ট ,সবই ঝকঝকে আর শক্ত । ওনার মুখের ভাব আর দাপটের মতই অনমনীয় । রাত হোক বা দিন, কখনই কোনখানে কিছু এলোমেলো বা শিথিল হয় না। নতুন ডাক্তারদের মানুষের মধ্যেই ধরেন না ।বড় ডাক্তারেরা ও ওনাকে সমঝে চলেন।
“অ্যাঁ !”ওটির ভেতরের একটা ছোট খুপ্রি থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসেন মেট্রন । মাঝ বয়েসী , শামলা রঙের ছোটোখাটো মানুষ। শক্তপোক্ত লাট্টুর মত চেহারা । অসম্ভব স্মার্ট । মাথার সাদা ক্যাপ থেকে শাড়ির ওপর কোমরের চওড়া বেল্ট ,সবই ঝকঝকে আর শক্ত । ওনার মুখের ভাব আর দাপটের মতই অনমনীয় । রাত হোক বা দিন, কখনই কোনখানে কিছু এলোমেলো বা শিথিল হয় না। নতুন ডাক্তারদের মানুষের মধ্যেই ধরেন না ।বড় ডাক্তারেরা ও ওনাকে সমঝে চলেন।
“পাঁচটা আছে আগে? শিগগির টেবিলে তুলুন। সিভিয়ার কিছু প্রবলেম আছে । সিস্টাররা , রেডি হয়েছে সবাই ? “ পাঁচ বার স্বাভাবিক জন্ম দেওয়ায়ে অভ্যস্ত শরীরের কাছে ছ নম্বরটা জল ভাত । সেটা আটকেছে যখন, তখন কেসটা খুবই সিরিয়াস । বাইরের কথা বার্তা কানে যেতেই ,এইটা বুঝে, মেট্রন ছটফট করে বেরিয়ে এসেছেন। পাছে অনভিজ্ঞ নতুন ডাক্তারদের ভুলে সময় নষ্ট হয়। পাছে থেমে যায়ে নতুন প্রানের ধুকপুকুনি টুকু ।
তাড়াহুড়ো করে সুরু হয় ওটি। ঘর্মাক্ত ডাক্তাররা টেনে বের করে বাচ্চাকে। ফুটফুটে সুন্দর মেয়ে । গলায়ে নিজের কর্ড টাই জড়িয়ে প্রায়ে দম বন্ধ হতে বসেছিল। বাইরে এসে “ওঁ অ্যাঁ “ বলতেই, সবাই হৈ হৈ করে উঠল । “ঠিক আছে , ঠিক আছে।।“ বেবি ট্রে নিয়ে এগিয়ে এলেন নার্স । পিডিইয়াট্রিসান ওজন টোজোন দেখতে নিয়ে চলে গেলেন।
হাঁফ ছেড়ে বাঁচল ছোট ডাক্তার দিদিমনি ।এই বাচ্চাটাকে তার নিজের সম্পত্তি মনে হচ্ছিল । মা তো অজ্ঞান হয়েছিলো । সে কি জানে? কত কষ্ট করে কি পরিশ্রমে বাঁচানো হয়েছে ওই খুদি সুন্দর মানুষটাকে ? ও তো এই ডাক্তারের ও বাচ্চা কিছুটা ?
মাথায়ে প্ল্যান ঘুরতে থাকে। কাল স্যালাইন চলতে চলতেই কনসেন্ট ফর্মে টিপছাপ দিয়ে নিতে হবে । একে বারে লাইগেসান করিয়ে তবে ছুটি । সিজার হয়েছে। সাত দিনের আগে তো ডিসচার্জ হবে না। এই একসঙ্গে যদি করে দেওয়া যায়ে , মা'টা বাঁচবে , আর বাচ্চাগুলো ও একটু বেটার লাইফ পাবে বলে আশা করা যায় । মহৎ সামাজিক কর্তব্য করার গর্বে টই টুম্বুর হয়ে ওঠে ভেতরটা । এই তো ,এমনি করেই পাল্টাবে সমাজ। নিজের পিঠটা নিজেই চাপড়ে ফেলে মনে মনে ।
রুগিনিকে বেডে পৌঁছনোর দায়িত্বটা পুচকি ,রোগা, ট্রেনি নার্সের হাতে দিয়ে নিজের কোয়ার্টারের রুমের দিকে পা বাড়ায়ে ডাক্তার । আপাদ মস্তক রক্ত,স্টুল, ইউরিন, লাইকার,আরও কত কি মাখা যে। তবু গাইনি বিল্ডিংটাই ভাল লাগে । ভোরের আবছা আলোটা কি ভীষণ ভাল লাগে সে মুহূর্তে ।“ ভাগ্যিস ডাক্তারি পড়েছিলাম ।
“ ঠাণ্ডা জলে ,চুনকাম করা সাদা দেওয়ালের ছোটো বাথরুমে হি হি করে কাঁপতে কাঁপতে চান। কোন রকমে ছাড়া জামা কাপড় গুলো ডেটল জলে ভরা বালতিতে চুবিয়ে দিয়েই দৌড় দৌড় –অয়ার্ডে। সকালে যারা ডিউটিতে আসবে সেই ডাক্তারদের হাতে হ্যান্ড ওভার দিয়ে আসতে হবে । রাতে এই দলের হাতে যত রুগি ছিল , সবাই কেমন আছে , দেখে রাউন্ড দিয়ে আসতে হবে।
“ ঠাণ্ডা জলে ,চুনকাম করা সাদা দেওয়ালের ছোটো বাথরুমে হি হি করে কাঁপতে কাঁপতে চান। কোন রকমে ছাড়া জামা কাপড় গুলো ডেটল জলে ভরা বালতিতে চুবিয়ে দিয়েই দৌড় দৌড় –অয়ার্ডে। সকালে যারা ডিউটিতে আসবে সেই ডাক্তারদের হাতে হ্যান্ড ওভার দিয়ে আসতে হবে । রাতে এই দলের হাতে যত রুগি ছিল , সবাই কেমন আছে , দেখে রাউন্ড দিয়ে আসতে হবে।
আর সেই ও অ্যাঁ বলা পুঁচকেটা? হাত-পা সিঁটে হয়ে যাওয়া ঠাণ্ডা। বালি –ভরা ঘুমহীন চোখ । ব্যাথা হওয়া পিঠের কষ্ট । সব ছাপিয়ে একটা উত্তাপের আরাম ছড়িয়ে যায়ে বুকের ভেতর। কি একটা ভাল লাগায় টল মল করে বাইশ বছরের ডাক্তার।
ভোরবেলার ওয়ার্ড । সাদা ছোট স্কার্ট , স্টকিং – পরা ছোট নার্স। খাতা নিয়ে টেবিলে বসে ওষুধের হিসেব মেলাচ্ছে ।চাদর,কম্বল চাপা দিয়ে শুয়ে রোগিণীরা । কারো কারো পাশে বেবি কটে ছোট্ট পুঁটলি । ওয়ার্ডের ছোট আর্চ দেওয়া দরজা দিয়ে তাড়াতাড়ি পা চালায়ে ডাক্তার । গিয়ে দ্যাখে কট খালি। তবে কি নার্সারিতে নিয়ে গেল?
-এ কি ? এখানের কট খালি কেন সিষ্টার ?
-বাচ্ছা তো মরে গেছে।“
-মানে? এত ভাল ওজোন –কি করেছেন আপনারা--!!
-চিৎকার করবেন না দিদি।“ বিরক্ত হয়ে চোখ তোলে নার্স ।
-আপনার পেসেন্ট'কেই জিগাসা করুন। আমাদের ওপর চেঁচালে হবে?”
পাশের বেড থেকে একটা মেয়ে ডাক দেয়। “অ দিদি, অ ডাক্তার দিদি, ও তো দুধ খাওয়াবে বলে সিস্টারের কাছ থেকে বাচ্চা চেয়ে নিল। তারপর বুক দে’ চেপে মেরে দিল গো । নিঃশ্বাস বন্ধ করে দিছে বাচ্চার ।
সিস্টার বিরস গলায়ে বলে, “হ্যাঁ ,বলছে অজ্ঞানের ঘোরে বুঝতে পারেনি, কিন্তু ইচ্ছে করেই... তবে ধরা তো আর যাবে না কোন ভাবে। পোস্ট –অপ পেসেন্ট -“ মুখ বেঁকিয়ে উঠে যায়ে সিস্টার ।
সিস্টার বিরস গলায়ে বলে, “হ্যাঁ ,বলছে অজ্ঞানের ঘোরে বুঝতে পারেনি, কিন্তু ইচ্ছে করেই... তবে ধরা তো আর যাবে না কোন ভাবে। পোস্ট –অপ পেসেন্ট -“ মুখ বেঁকিয়ে উঠে যায়ে সিস্টার ।
ঘেন্না, আতঙ্ক, আরও কি কি তোলপাড় করতে থাকে ডাক্তারের পেটের ভেতর । দৌড়ে গিয়ে দাঁড়ায়ে রোগিনির পাশে।“তুমি মানুষ ? তুমি মা ? জানয়ার। কি করেছ তুমি? তোমার বাচ্চা ? তুমি জন্ম দিয়েছিলে? জানও কি ভাবে বাঁচিয়ে ছিলাম বাচ্চাটাকে? অমানুষ কাঁহাক্কা...”চড় মারার জন্যে নিশপিশ করে ওঠা হাতটা জোর করে নামিয়ে নেয় ।মানবাধিকার । সদ্য অপারেসান হওয়া পেসেন্ট।
গলাটা ধরে আসে । চোখ জ্বালা করে।
বাচ্চাটা । এত পরিশ্রমে , এত চেষ্টায়ে বাঁচানো বাচ্চাটা । কি সুন্দর। জানোয়াররাও নিজেদের বাচ্চাকে বাঁচায় । জান? জানোয়ার মায়েরা ও তো তোমার থেকে ভালো –
নোংরা চুলভর্তি মাথাটা নড়ে ওঠে। চোখদুটো হিংস্র পশুর মতই জ্বলে ওঠে ।ছিটকে উঠে বসে কঙ্কালসার শরীর ।
-তু খিলাবি? পাঞ্চ বিটিয়া হায় ঘার মে। অ রাতকু বুলে গেছে, ইবার বিটি হুনেসে তালাক দিবে।
-তু খিলাবি? উ পাঞ্চটা বিটিকে ছেরে রিখে যাবে হাস্পাতালে। কুথা যাবে উরা, হাঁ ?
- খিলাবি তু ?”
সাপের মত হিশ হিসে গলার শীৎকার নিজের পায়ের ওপর নিশ্চল করে দেয় কসমোপলিটান উচ্চ শিক্ষিতাকে । রাত জাগার পরিশ্রম , সুন্দর বাচ্চাটার মন কেমন করা, সব কষ্ট ছাপিয়ে পেরেক ঠোকার আওয়াজে হিম হয়ে যায়ে আধুনিক ডাক্তার ।
বুলি কপচান আঁতলামি ,নারীবাদ ,জিনস,অধিকারের লেকচার,আদর্শ,ইত্যাদি,ইত্যাদিতে বানানো শিরদাঁড়া কেউ হাতুড়ি ঠুকে ঠুকে ভাঙ্গছে । ক্রুশের কাঠে পেরেক ঠোকার হাতুড়ি । চারপাশে চোরা কুঠুরির শীতল দেয়াল। চাবুক আর হাতুড়ির আওয়াজ কানে। তীক্ষ্ণ,তীব্র আওয়াজ। শিরদাঁড়ার হাড় গুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে যায়ে যন্ত্রণায়ে। ঠক, ঠক, ঠক।
নন্দন, ডিবেট, সুমন চাটুজ্জে। পার্ক স্ট্রিট, ডোভার লেন ,আর্চি ‘স গ্যালারি। অধিকার, সাহস,সম্মান। ভাঙ্গছে।
অর্থের হাতুড়ি ,জীবনের চাবুক ।
ঠক ,ঠক, ঠক ।
![]() |
| পরিচিতি |
সোনালী মুখার্জী
Reviewed by Pd
on
নভেম্বর ২১, ২০১৪
Rating:
Reviewed by Pd
on
নভেম্বর ২১, ২০১৪
Rating:



খুব আন্তরিক এবং অনেস্ট লেখা
উত্তরমুছুন