শামীম পারভেজ






ফলাতে পারো ভালোবাসা




আমার হৃদয়তে
লাংগল বসিয়ে তুমি করো চাষ
শুধু ভালোবাসা নামক ফসল পেতে
ছড়িয়ে দাও ছন্দ নামক বিশুদ্ধ সার
আর অপেক্ষায় থাকো
কখন অংকুরিত হবে ভালোবাসার চারা
সীমাহীন সোনালী ভালোবাসা
কখনো কখনো আমার নীরবতা
তোমাকে কষ্ট দেয় জানি
আর তুমি
হৃদয় জমিতে মিশাও নয়নের নোনা জল
আমি যন্ত্রণায় কাটাই
বুঝি আমি তোমার মনের ব্যাথা বেদনার কথা
তাইতো দিয়েছি হৃদয় জমি ভালোবাসার ফসল ফলাতে
তাতে বানাতে পারো
ভালোবাসার রঙিন চাদর
সে চাদরে কাটাবো মোরা সুখে শান্তিতে
যুগ যুগ ধরে
আমার হৃদয় তোমারই জন্য
ফলাতে পারো আশা
ফলাতে পারো স্বপ্ন
ফলাতে পারো ভালোবাসা ।








ভালোবাসা কারনেই 




ভালোবাসার প্রলেপে জড়ালে রঙ্গিন চাদরে
ভালোবাসার প্রাচীরে আটকালে হৃদয়ের কারাগারে
ভালোবাসার আঙ্গিনায় সযত্নে রেখেছো আমায়
ভালোবাসার স্নেহে মুড়ালে মায়া মমতায়
ভালোবাসার স্বপ্ন দেখালে চলার পথে
ভালোবাসার টানে রাখছো কাছে সাথে
ভালোবাসার সুরে শুনাচ্ছো প্রাণের গান
ভালোবাসার কথায় বাড়ালে মান সম্মান
ভালোবাসার বন্ধনেই মিল হলো মনের
ভালোবাসার কারনেই দৃষ্টি নেই বয়সের ।








তুমি এলে 






 তুমি এলে তোমায় মোড়াবো
 রবির সোনালী আলো নিয়ে
তুমি এলে তোমায় করাবো স্নান
 জ্যোৎস্নার রূপালী আলো দিয়ে ।
 তুমি এলে তোমার চরণ দু'টো
 ভিজাবো ভোরের শিশির দিয়ে
 তুমি এলে তোমায় সাজাবো
 রঙ্গিন পুষ্প বাগে যেয়ে ।
 তুমি এলে তোমার নয়নে
 আঁকবো কালো কালো কাজলে
 তুমি এলে তোমার চুলে
 দিবো ঘোমটা শাড়ীর আঁচলে।
 তুমি এলে তোমার হস্তে
 রঙ্গিন মেহেদীতে আঁকবো আলপনা
 তুমি এলে তোমায় দিবো
 নরম নরম সবুজ বিচানা ।
 তুমি এলে তোমায় রাখবো
 ভালোবাসার চাদরে স্নিগদ্ধ ছায়ে
 তুমি এলে তোমায় দেখাবো
 কোথায় তুমি আমার হৃদয়ে।






তোমার ঋণ




 কত কষ্ট বেদনা সয়ে
 কত ধৈর্য্য ধরে
কত স্নেহ আদরে
 কত মায়া মমতায়
 রাখলে তোমার অন্ধকার প্রকোষ্ট জলে
 সেই দশ মাস দশ দিন ।
 কত ছুটা ছুটি
 কত নেচে লুটিপুটি
 কত ডিগবাজি
 তোমাকে দিয়েছে যন্ত্রনা
 আবার নীরবে হেসেছো তুমি 'দুষ্ট' বলে ।
 আর নয় অন্ধকার
 এবার আলো দেখা দরকার
 বেরিয়ে আসতে গেলে
 তুমি অনেক ব্যাথা পেলে
 তোমার ঐ শ্বাস কষ্টের চিৎকার শুনেও
 থামেনি সেই চলার পথে এগিয়ে যাওয়ায়
 তুমি জন্মদিলে সেই না দেখা প্রাণটাকে । ভাষাহীন কান্নায় চিৎকার করে
 আলো দেখলাম ।
 এ আলো সেই আলো না
 এটা এমন আলো যার স্পর্শে শান্ত হয়েছিলাম
 সেই আলোর নাম 'মা' ।
এখানেই শেষ নয়
 তোমার পানে টলটল করে চেয়ে থাকা
 কখনোবা মিটিমিটি
 কখনোও আবার ঠোঁট বাঁকা করে মৃদু হাসিতে
 বুঝাতে চাইতাম
'রাখো বড় হয়েনি , আর কষ্ট দিবনা তোমায় '
তুমিই শুধু বুঝতে আমার সাংকেতিক ভাষাগুলো ।
 দিন যায় মাস যায়
 বছরগুলো গড়িয়ে যায়
 তোমার নিদ্রাহীন নয়ন দু'টো ছিল আমারই পানে
 যাতে কোনো ক্ষতি না হয়ে যায়
 শাড়ীর আঁচলে ঢেকে
 রক্ষা করেছো শীত বর্ষা তাপ থেকে
 সুখ পেলে কোথায় !
সারা জীবন কাটালে কষ্টে কষ্টে
 বলো মা কিভাবে পরিশোধ করি
 তোমার ঋণ ।








গোপনে ছুঁয়ে যাও 









পলকহীন দৃষ্টিতে
তুমি আমায় দেখো
এমন কি আছে  !
শুধু নজরে রাখো ।
করোনা তুমি স্পর্শ
রাখোনা হাতে হাত
কেন আমার পানে
তোমার তীক্ষনো দৃষ্টিপাত।
পাশে থেকে থেকে
চুম্বকার্ষনে সুখ নাও
আর আমার মনটাকে
গোপনে ছুঁয়ে যাও ।


ঢাকা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ