দেবজিত সাহা







জীবন যদি মনুষ হতে না চায়

রক্তাত্ত দুনিয়ায় যখন ঘ্রাণ নেই তাতে
সব সময় নিজেকে বাঘ বোধ হয়।
ক্ষতি কি? নিজেকে হরিন হিসেবে
বিলিয়ে দেওয়ার চেয়ে ..........।
নিজেকে মুরগি হিসাবে ছিঁড়তে
দেখে নিশ্চয়ই জিভে লাল আসে না,
তাই সেখানে খাদক হিসাবে দেখা
একটু বাঁচার অভিজ্ঞতা মাত্র।

নিজেকে বাঁচানোর যে লড়াই
তাতে বেশিটাই পরিবেশর সন্মান
বাকিটা আত্মার সন্মান। নিজের
আহত অবস্থার কৃতিত্ব তোমার নয়
আমার অভিলাশের ফল মাত্র। অনেক
চাহিদা যা মনের গর্ভে, তার পরিবারে
ইচ্ছাগুলির পুরক যারা আত্মীয়তা
আর হয় না সেই পরিবারের মাঝে, পায়
শুধু বিলাশের শিশিরউপহার মাত্র।

সেই শিশির উবে যায় সূর্যেরস্পর্শে ,
ইতিহাসে স্মৃতি ঠাই পায়।লজ্জা
পরনে, চোখের কনে যার জন্মে
স্মৃতি দোলে, তাতে ঝুলে যাওয়া চামড়া
সীমানার কথা বলে। মস্তিস্কের
অপূরক চাহিদার কথা মনে পড়ে
ইচ্ছার দিকে ঢলে পড়ে তখন শুরু
হয় ভদ্রতা আর অভদ্রতার মাঝের
দেয়াল ভাঙার লড়াই।

মৃত্যুর আগে নিজেকে বাঁচার লড়াইয়ে
ঢেলে দেওয়া, আর সারাটা জীবন এই
সমাজের হয়ে কাটান আর তাতে মেলা
ফল এই যুদ্ধের একমাত্র সম্বল।
মানুষের হৃদয় হত্যা শুধু এটাই যুদ্ধের
নিয়ম। এভাবে হয়ে চলা বন্য আর
পরনে মানুষের চামড়া, যদি জীবন
মানুষ হতে না চায় তাহলে জন্মের
কি দোষ?

তাই,অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় আর জোটে না হৃদয়
কম্পন, বাইরে যা আসে তা গ্লিসারিন আস্ফলন।
তফাৎ সমাজ গড়ে না গড়ে মন, বাকিটা
তকমার খাতিরে ভেজে নেওয়া সমাজে।
বাকিটা ইতিহাস... বিস্ময়ের পাতায়!!!।

শিলিগুড়ি । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন