না, লখিম্পুর খেরির সাংসদ তথা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র এখনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় বহাল তবিয়তে বিরাজমান। তিনি নিজেও পদত্যাগ করেননি। করার মতো সৎসাহস তাঁর থাকার কথাও নয়। মন্ত্রীসভা থেকে তাঁকে অপসারণও করা হয়নি। আপসারণ না করার একাধিক কারণ বর্তমান। বর্তমানে ৭৮ জনের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ৪২% মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে নানবিধ মামলা ঝুলে রয়েছে। যার ভিতরে ৩৩% মন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ সহ নানবিধ গুরুতর অভিযোগের মামলাও ঝুলে রয়েছে। ফলে একা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীকে অপসারণ করার মতো নৈতিক বল মন্ত্রীসভার না থাকারই কথা। খবরে প্রকাশ, নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা তথ্য অনুযায়ী এই ৭৮ জনের মন্ত্রীসভায় ৭০ জনই কোটিপতি। ফলে মন্ত্রীমণ্ডলীর সদস্যদের সরকারী ক্ষমতাসহ অর্থবলও প্রভুত। স্বভাবতই তাদের মাটিতে পা পড়ার কথাই নয়। পড়ছেও না। আর এই মাটিতে পা না পড়ার ঔদ্ধত্য থেকেই টেনি মহারাজের যাবতীয় হম্বিতম্বি। লখিমপুর খেরি থেকে শুরু করে যে ঔদ্ধত্য মন্ত্রীসভায় গিয়ে পৌঁছিয়ে গিয়েছে। ফলে টেনি মহারাজের চলাফেরা মুখের ভাষা স্বভাবদোষ সেই ঔদ্ধত্যেরই প্রকাশ মাত্র।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতবর্ষের জনগণ নানাবিধ গুরুতরে অপরাধে অভিযুক্ত খুনী ধর্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত ৪২% রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে লোকসভায় পাঠিয়ে ছিল। লখিমপুর খেরির টেনি মহারাজও সেই পথেই নির্বাচিত হয়ে সংসদ ভবনে পা রাখেন। মন্ত্রীসভায় ঢোকার ছাড়পত্রও পান। যার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড়ো অভিযোগ, রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে আদালতকে প্রভাবিত করে নিজের বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া মানুষ খুনের অভিযোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করে ফেলা। ফলে টেনি মহারাজের হাত যে কতখানি লম্বা, সে কথা বুঝতে দেরি লাগার কথাও নয়। লখিমপুর খেরি জুড়ে মানুষের ভিতরে টেনি আতঙ্ক এখনও যেভাবে বিরাজমান। তাতে তার রাজনৈতিক ক্ষমতা ও অর্থবলের দৌড় সম্বন্ধে কারুর মনে সন্দেহ থাকার কথাও নয়। আর সেই শক্তিমত্ততার বলেই কৃষক আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রেই তার গাড়ির চাকায় কৃষকদেরকে পিষে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। অন্তত সুপ্রীমকোর্টের নির্দেশে গড়া তদন্তকমিটির সেটাই রায়। হ্যাঁ কৃষকদেরকে পিষে মারা গাড়ির মালিক টেনি মহারাজ হলেও। গাড়িতে তার বদলে তার ছেলেই ছিল। ফলে কৃষক হত্যার অপরাধে অভিযুক্ত টেনিপুত্র বর্তমানে কারান্তরালে। আর পিতা দেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর চেয়ারে।
এটই ভারতবর্ষ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংসদ আলো করে বসে রয়েছে নানাবিধ গুরুতর অপরাধে অফিযুক্ত শতাধিক অপরাধী। সংখ্যার বিচারে ৪২%। আবার রাষ্ট্রের মন্ত্রীসভাতেও সেই ৪২% মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ঝুলছে একই রকম মামলা। এবং একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চলছে সংবিধান মেনেই।
এই রকম ঘটনা সারা বিশ্বেই অভুতপূর্ব না হোক। অন্তত কোন সভ্য দুনিয়ায় যে সম্ভব নয়। সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশের জনগণ স্বাধীনতার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে এই অবস্থায় অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছে। ফলে পাড়ার আজকের মস্তান কিংবা খুনি কিংবা ধর্ষক যে কাল মন্ত্রীমণ্ডলীর সভা আলোকিত করবে না, এমন কোন নিশ্চয়তা দেওয়ার অবস্থায় নেই ভারতীয় সংবিধান। এই দেশের নির্বাচন বিধিতে, গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেও নি্র্বাচনে দাঁড়ানো থেকে বিরত করার কোন আইন নেই। এই একটি আইনের অভাবেই গোটা ভারত জুড়েই আজ টেনি মহারাজদের রাজত্ব চলছে। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী সমাজও সম্পূর্ণ জেগে ঘুমাচ্ছে। নিজের বাড়িতে হাট করে দরজা খুলে রেখে দিবা নিদ্রা দেবো। আর ঘরে চোর ডাকাত ঢুকবে না। লুঠপাট চালাবে না। এমনটা তো আর সম্ভব নয়। না, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, দেশের জনগণ এবং সংবিধান এই সহজ সত্যটুকু আজও বুঝে উঠতে পারেনি। বা হয়তো মনে প্রাণে চায়নি। তাই দেশের সংবিধান অনুযায়ী আজ যে কোন নির্বাচনে যেকোন অপরাধে অভিযুক্ত অপরাধী দাঁড়িয়ে যেতে পারে। এবং পেশীবল ও অর্থবলে সেই নির্বাচন জিতে নিয়ে আইনসভার সদস্য থেকে শুরু করে মন্ত্রীসভার সদস্যও হয়ে উঠতে পারে। তারপর কৃষকদের উপরে গাড়িই চালিয়ে দিক। আর মানুষের উপরে এনআরসি নামিয়ে দিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণের লাইনে দাঁড় করিয়ে দিক। অভিযুক্ত অপরাধীদের জন্য বিধানসভা লোকসভা রাজ্যসভা। আর দেশের নাগরিকদের একাংশের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প। এটাই ভারতবর্ষের আসল ছবি। এটাই ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রকৃত চেহারা। এটাই ভারতবর্ষের সংবিধানের কেরামতি। কারণ যা কিছু ঘটছে সবটাই ঘটছে সংবিধানের ফাঁক ও ফোঁকরগুলি দিয়েই। আর যেখানে ফাঁক নেই, ফোঁকর নেই। সেখানে ৪২% অভিযুক্ত অপরাধীদের সমর্থনে নতুন করে সাংবিধানিক ফাঁক ও ফোঁকর তৈরী করা হচ্ছে সংবিধান সংশোধনের নামে।
অনেক দশক ধরেই দিনে দিনে, ভারতবর্ষের গণতন্ত্র অপরাধ জগতের লোকজনের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বিগত কয়েক দশকে সেই ভারতীয় গণতন্ত্রই অপরাধ জগতের লোকজনের প্রধান কার্যালয় হয়ে উঠেছে। মস্তান থেকে মাফিয়া। খুনি থেকে ধর্ষক। তোলাবাজ থেকে ডাকাত। ভণ্ড থেকে ধোঁকাবাজ। এদের কাজকর্মের প্রধান কার্যালয় বর্তমানে একটাই। ভারতবর্ষের গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রের চৌকাঠে পা রাখা শুরু হয় সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশের ভিতর দিয়েই। আর সেটি সম্ভব হয় সাধারণ জনগণের বদান্যতায়। জনগণ যদি সহযোগিতা না করে। তাহলে কিন্তু দাগী অপরাধী থেকে শুরু করে অভিযুক্ত অপরাধী, কেউই গণতন্ত্রের চৌকাঠে পা রাখতে পারে না। পৌঁছাতে পারে না বিধানসভা থেকে লোকসভায়। পৌঁছাতে পারে না গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পুরসভায়। দেশের জনগণের চৌকিদারিত্ব করার যে নাগরিক দায় ও দায়িত্ব, কর্ম ও কর্তব্য ছিল। জনগণ কোনদিনই সেই ভুমিকা পালন করতে পারেনি। বা সক্ষম হয়নি। ফলে সাংবিধানিক ফাঁক ও ফোঁকরগুলি দশকে দশকে বড়ো থেকে আরও আরও বড়ো হয়ে উঠেছে। এবং সেই পথ দিয়েই টেনি মহারাজদের রাজত্ব শুরু হয়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। ফলে টেনি বাছতে আজ মন্ত্রীসভা উজার হওয়ার দশা।
তাই সমস্যা অজয় মিশ্রকে নিয়ে নয়। সমস্যা টেনি মহারাজদের নিয়েই। সমস্যা জনমানসের চৈতন্য নিয়েই। একজন অজয় মিশ্র আজ আছে। কাল থাকবে না। হাজার হাজার টেনিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবে কে? এবং কিভাবে?। সংবিধানের কোন ফাঁক এবং ফোঁকরই ৪২% অভিযুক্ত অপরাধীদের নিয়ে কেউ বন্ধ করতে পারবে না। না, দুঃখের বিষয়। ভারতবর্ষের জনগণ এই বিষয়ে দিবানিদ্রা দিতেই অভ্যস্থ। এবং তাঁদের সেই দিবানিদ্রায় যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে। চারদিকেই সেই রকম বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছে। জনগণের দশা হয়েছে সেই কুনো ব্যাঙের মতোন। গায়ে যতই ছ্যাঁকা লাগুক না কেন কুনো ব্যাঙ সেই ছ্যাঁকার সাথে নিজেকে অভ্যস্থ করে নেওয়াকেই জীবন বাস্তবতা বলে মনে করে। ফলে ছ্যাঁকার তাপ যতই বাড়তে থাকে। সে তার সর্বশক্তি দিয়ে সেই তাপ হজম করতে করতে সহ্য করে নেয়। আর এইভাবে সে তার যাবতীয় শক্তি হারাতে থাকে। যে কারণে যেদিন আর ছ্যাঁকা সহ্য করার মতো কোন শক্তিই অবশিষ্ট থাকে না। সেদিন তার লাফ দিয়ে সরে যাওয়ার শক্তিটুকুও হারিয়ে যায়। ভারতবর্ষের আপামর জনসাধারণ আজ সেই কুনো ব্যাঙের মতোই টেনি মহারাজদের সকল অত্যাচার সহ্য করে চলেছে। জনগণ ধরেই নিয়েছে, রাজনীতিটা দুর্বৃত্তদের জায়গা। নির্বাচনে দাঁড়ানোটা কোন সৎ ব্যক্তির কাজ নয়। যত রকমের অসৎ এবং অসভ্য। যত রকমের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দুর্বৃত্তই রাজনীতির ময়দানে কুস্তি করতে নামবে। জনগণের সমস্ত চেতনায় এটাই স্বাভাবিক বলে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। যে কারণে টেনি মহারাজদেরকে গদি থেকে টেনে নামানোর বিষয়ে জনগণের বিশেষ কোন আগ্রহই দেখা যায় না। খুব বেশি হলে একটা টেনিকে টেনে নামাতে আর একটি টেনিকে তার জায়গায় পৌঁছিয়ে দেয়। ফলে টেনিদের রাজত্ব চলতেই থাকে। এবং রাজত্বের সীমানা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পেতেই থাকে। আর জনগণ ততই গুটিয়ে যেতে থাকে। তার সকল নাগরিক দায় ও দায়িত্ব, কর্ম ও কর্তব্য থেকে সরিয়ে নিতে থাকে নিজেকে। ফলে ভোট আসলেও টেনিরা বহাল তবিয়তেই রাজত্ব চালিয়ে যেতে থাকে। আর সংবিধান দাঁড়িয়ে থাকে নিরবে নিশ্চুপে।
১৮ই নভেম্বর
কপিরাইট সংরক্ষিত
অনেক দশক ধরেই দিনে দিনে, ভারতবর্ষের গণতন্ত্র অপরাধ জগতের লোকজনের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বিগত কয়েক দশকে সেই ভারতীয় গণতন্ত্রই অপরাধ জগতের লোকজনের প্রধান কার্যালয় হয়ে উঠেছে। মস্তান থেকে মাফিয়া। খুনি থেকে ধর্ষক। তোলাবাজ থেকে ডাকাত। ভণ্ড থেকে ধোঁকাবাজ। এদের কাজকর্মের প্রধান কার্যালয় বর্তমানে একটাই। ভারতবর্ষের গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রের চৌকাঠে পা রাখা শুরু হয় সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশের ভিতর দিয়েই। আর সেটি সম্ভব হয় সাধারণ জনগণের বদান্যতায়। জনগণ যদি সহযোগিতা না করে। তাহলে কিন্তু দাগী অপরাধী থেকে শুরু করে অভিযুক্ত অপরাধী, কেউই গণতন্ত্রের চৌকাঠে পা রাখতে পারে না। পৌঁছাতে পারে না বিধানসভা থেকে লোকসভায়। পৌঁছাতে পারে না গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পুরসভায়। দেশের জনগণের চৌকিদারিত্ব করার যে নাগরিক দায় ও দায়িত্ব, কর্ম ও কর্তব্য ছিল। জনগণ কোনদিনই সেই ভুমিকা পালন করতে পারেনি। বা সক্ষম হয়নি। ফলে সাংবিধানিক ফাঁক ও ফোঁকরগুলি দশকে দশকে বড়ো থেকে আরও আরও বড়ো হয়ে উঠেছে। এবং সেই পথ দিয়েই টেনি মহারাজদের রাজত্ব শুরু হয়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। ফলে টেনি বাছতে আজ মন্ত্রীসভা উজার হওয়ার দশা।
তাই সমস্যা অজয় মিশ্রকে নিয়ে নয়। সমস্যা টেনি মহারাজদের নিয়েই। সমস্যা জনমানসের চৈতন্য নিয়েই। একজন অজয় মিশ্র আজ আছে। কাল থাকবে না। হাজার হাজার টেনিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবে কে? এবং কিভাবে?। সংবিধানের কোন ফাঁক এবং ফোঁকরই ৪২% অভিযুক্ত অপরাধীদের নিয়ে কেউ বন্ধ করতে পারবে না। না, দুঃখের বিষয়। ভারতবর্ষের জনগণ এই বিষয়ে দিবানিদ্রা দিতেই অভ্যস্থ। এবং তাঁদের সেই দিবানিদ্রায় যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে। চারদিকেই সেই রকম বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছে। জনগণের দশা হয়েছে সেই কুনো ব্যাঙের মতোন। গায়ে যতই ছ্যাঁকা লাগুক না কেন কুনো ব্যাঙ সেই ছ্যাঁকার সাথে নিজেকে অভ্যস্থ করে নেওয়াকেই জীবন বাস্তবতা বলে মনে করে। ফলে ছ্যাঁকার তাপ যতই বাড়তে থাকে। সে তার সর্বশক্তি দিয়ে সেই তাপ হজম করতে করতে সহ্য করে নেয়। আর এইভাবে সে তার যাবতীয় শক্তি হারাতে থাকে। যে কারণে যেদিন আর ছ্যাঁকা সহ্য করার মতো কোন শক্তিই অবশিষ্ট থাকে না। সেদিন তার লাফ দিয়ে সরে যাওয়ার শক্তিটুকুও হারিয়ে যায়। ভারতবর্ষের আপামর জনসাধারণ আজ সেই কুনো ব্যাঙের মতোই টেনি মহারাজদের সকল অত্যাচার সহ্য করে চলেছে। জনগণ ধরেই নিয়েছে, রাজনীতিটা দুর্বৃত্তদের জায়গা। নির্বাচনে দাঁড়ানোটা কোন সৎ ব্যক্তির কাজ নয়। যত রকমের অসৎ এবং অসভ্য। যত রকমের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দুর্বৃত্তই রাজনীতির ময়দানে কুস্তি করতে নামবে। জনগণের সমস্ত চেতনায় এটাই স্বাভাবিক বলে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। যে কারণে টেনি মহারাজদেরকে গদি থেকে টেনে নামানোর বিষয়ে জনগণের বিশেষ কোন আগ্রহই দেখা যায় না। খুব বেশি হলে একটা টেনিকে টেনে নামাতে আর একটি টেনিকে তার জায়গায় পৌঁছিয়ে দেয়। ফলে টেনিদের রাজত্ব চলতেই থাকে। এবং রাজত্বের সীমানা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পেতেই থাকে। আর জনগণ ততই গুটিয়ে যেতে থাকে। তার সকল নাগরিক দায় ও দায়িত্ব, কর্ম ও কর্তব্য থেকে সরিয়ে নিতে থাকে নিজেকে। ফলে ভোট আসলেও টেনিরা বহাল তবিয়তেই রাজত্ব চালিয়ে যেতে থাকে। আর সংবিধান দাঁড়িয়ে থাকে নিরবে নিশ্চুপে।
১৮ই নভেম্বর
কপিরাইট সংরক্ষিত
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন