তিনি প্রাক্তন রাজ্যপাল। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর মন্তব্যের দাম রয়েছে বইকি। সম্প্রতি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২১ এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এক একজন চিত্রাভিনেতা অভিনেত্রীকে দলীয় সদস্য করা হয়েছিল। তাঁর কথায় বোঝা যাচ্ছে তিনি জানেন কাকে কত কোটি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল। না, অভিনেতা অভিনেত্রীদের বিজেপিতে যোগদানের শুভ মুহুর্তে তিনি মুখ খোলেননি। মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন। হয়তো তাঁদের কথায় আসোল পরিবর্তনের আশু সম্ভাবনায় মশগুল থেকে রাজ্যের ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম দাবিদার হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার রিস্কটা নিতে চাননি বলেই। না, তিনি বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াননি, ঠিক। কিন্তু বিজেপির কোন ঘোষিত মুখ্যমন্ত্রী ক্যান্ডিডেট না থাকায় অনেকের পক্ষেই ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে নিজেকে কল্পনা করার সুযোগ ছিল বইকি। তাই নির্বাচনের প্রাক্কালে অভিনেতা অভিনেত্রীদের দলীয় সদস্য হওয়ার শুভমুহুর্তে তাঁর মুখ খোলার উপায়ও ছিল না। কিন্তু নির্বাচনী ফলাফলে ভরাডুবির পর, নৌকাডুবির যাত্রীদের মতো একে একে বিধায়ক নেতা নেত্রী অভিনেতা অভিনেত্রীর দলত্যাগের অশুভ মুহুর্তে তিনি মুখ খুলেছেন অবশেষে। অবশ্য নির্বাচনী ফল ঘোষণার সময় থেকেই তিনি সরব। কিন্তু এবারে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, কোন অভিনেতা অভিনেত্রীকে কত কোটি টাকা দিয়ে দলীয় সদস্য করা হয়েছিল। সেকথা তাঁর অজানা নয়। না, তাই বলে তিনি টাকার অংকটা ফাঁস করে দেননি। কিন্তু সেটি যে কোটির নীচে নয়। সেটা জানিয়ে দিয়েছেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। স্পষ্টবাক মানুষ তিনি। অবশ্য স্পষ্টবাক হলেই যে সত্যবাদী যুধিষ্ঠীর হতে হবে তার কোন মানে নাই যদিও। তবু তাঁর কথায় আপাতত কোন অভিনেতা অভিনেত্রীকে প্রতিবাদ জানাতেও শোনা যায়নি। অর্থাৎ ধরে নিলে অসুবিধা নাই, রাজ্যের অভিনেতা অভিনেত্রীরাও রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের মতোই ক্রয় বিক্রয় যোগ্য হয়ে উঠেছেন।
এখানে একটা কথা মনে হতেই পারে। সিনেমা শিল্পে মন্দা লেগেছে। তারপর করোনাকাল। হাতে যথেষ্ঠ কাজ নেই। পারিশ্রমিক বৃদ্ধির ও উপার্জন বৃদ্ধির পথও ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে আসছে। সেই অবস্থায় একজন অভিনেতা অভিনেত্রী যদি তাঁর জনপ্রিয়তা ভাঙিয়ে কোন রাজনৈতিক দলে নিজেকে বিক্রী করতে চান, বা পারেন। তবে সেটি তাঁর সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার নিশ্চয়। এখন কোটি কোটি টাকার মূল্যে রাজনৈতিক দলে নাম লেখানোর বিষয়টি ভারতীয় সংবিধান স্বীকৃত কিনা। সেটি সংবিধান বিশেষজ্ঞদের জানার কথা। আমরা দেখতে পাচ্ছি রাজনীতিতে যোগ দানের বিষয়টি আসলেই আর্থিক। বিশেষ করে জনপ্রিয় ব্যক্তি থেকে বুদ্ধিজীবিদের জন্য। আপন জনপ্রিয়তাকে লগ্নী করে কোটি কোটি টাকায় বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়টি এখন কিন্তু ওপেন সিক্রেট। নির্বাচনী জনসভা গরম করে সেই যে যিনি বলেছিলেন, এক ছোবলেই ছবি। সেই তিনিও হয়তো এমনই কোটি কোটি টাকায় নিজেকে বিক্রী করেই ময়দান কাঁপানো ডায়লোগ আউড়ে নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। তা তিনি নিতেই পারেন। তাঁর জয়প্রিয়তা। সেই জনপ্রিয়তা তিনি কবে কোথায় কিভাবে লগ্নী করবেন, আর ভাঙিয়ে খাবেন। সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। সেই বিষয়ে আমজনতা আঙুল তুলতে পারে না। বড়োজোর আঙুল নামিয়ে ইভেএমে প্রতিবাদ জানাতে পারে মাত্র।
এখন দেখার বিষয়, আমজনতা ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে। এই যে সব অভিনেতা অভিনেত্রী কোটি কোটি টাকায় নিজেদেরকে বিশেষ বিশেষ দলে বিক্রী করে আখের গোছাতে নেমে পড়েছেন। আমজনতার মানসপটে তাঁদের জনপ্রিয়তায় কি ভাঁটা পড়তে শুরু করেছে? মনে হয় না। আমজনতা হয়তো এত কিছু হিসেবের ভিতরে যায়ও না। তাদের হিসেবে যখন যেমন যে রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আনুগত্য। সেই দলের প্রতিই তাদের ভোটদান। তাতে কোন অভিনেতা অভিনেত্রী বিধায়ক সাংসদ হবেন আর হবেন না, সেটি নির্ভর করে মাত্র। অভিনেতা অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা হয়তো ততটা পরিমাণে ভোটের অংকের নির্ধারক নয়। যতটা মিডিয়ায় প্রচারিত হয়, হতে থাকে। ফলে অভিনেতা অভিনেত্রীদের ভোটের হাওয়া বুঝে ক্রেতা ঠিক করতে হয়। আর এইখানেই পরীক্ষা, কোন অভিনেতা অভিনেত্রী কত নির্ভুল ভাবে ভোটের হাওয়া অনুধাবন করতে পারছেন কি পারছেন না। এটা হয়তো অনেকটাই খোলা বাজারে অর্থলগ্নীর মতোই ঝুঁকিপূর্ণ। সব সময়েই যে সেনসেক্সের ওঠা পড়া দেখেই নিরাপদে অর্থলগ্নী সম্ভব হয়, তাও নয়। ফলে মিডিয়ার প্রচারে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীই বিভ্রান্ত হয়ে ভুল ক্রেতা নির্বাচন করে ফেলতেই পারেন। ২০২১ এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ঠিক তেমনটাই ঘটেছে অনেকের ভাগ্যেই। এখন তাঁদের অনেকেই দল ছাড়ছেন। দল ছাড়ছেন তার কারণ, যে দল রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় পৌঁছাতেই পারেন নি সেই দলে থেকে আর লাভ কি? লাভের গুড় তো শাসক দলের অন্দরেই। ফলে আগামী পাঁচ বছর সেই গুড় থেকে বঞ্চিত থাকতে অধিকাংশ জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীই যে রাজি থাকবে না, সেটাই স্বাভাবিক।
ফলে আপন জনপ্রিয়তা ভাঙিয়ে বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়া। আর সেই জনপ্রিয়তা ভাঙিয়ে বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে বিধায়ক সাংসদ হওয়া, এই দুইটি বিষয়ের সাথেই জড়িয়ে থাকে কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন। সংস্কৃতি জগতের জনপ্রিয় কুশীলবদের জন্যে এই এক পোয়াবারোর সময় উপস্থিত। ফলে তাঁদের অধিকাংশই রাজনীতির ঘোলাজলে খেলা করতে নেমে পড়েছেন। আর আজ এই দলে কাল ঐ দলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুঁজি তাঁদের একটাই। জনপ্রিয়তা। সেটি ভাঙিয়ে ভাঙিয়ে যতটা বেশি পরিমাণে আখের গুছিয়ে নেওয়া যায়। তার জন্য কোন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্নই ওঠে না। যখন যে দলে। তখন সেই দলের তৈরী করে দেওয়া স্ক্রিপ্ট অন ক্যামেরা পাবলিকের সামনে মাঠে ময়দানে প্রেসমিটে মুখস্থ আউড়ে গেলেই হলো। আর কে না জানে, তৈরী করে দেওয়া স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করে ডায়লোগ দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অভিনেতা অভিনেত্রীদের পারদর্শীতার কথা। যত শোনা যাবে। তত মনে হবে বক্তা যেন তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা উপলব্ধির কথাই শোনাচ্ছে। ফলে হাততালিও পড়তে থাকবে ঝটপট। আর চটপট সেটাই ভোটের অংকে ট্র্যান্সেল্ট হলে তো কথাই নাই। সেই রথ ভাবে আমি দেব পথ ভাবে আমি। যে যাই ভাবুক। লাভের লাভ দল ও প্রার্থী হিসেবে অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রী, সকলেরই হয়। যদি শাসন ক্ষমতায় গিয়ে পৌঁছানো যায় শেষমেশ। কিন্তু মুশকিল হয় তখনই। যখন বিধানসভায় বিরোধী বেঞ্চের কোণে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। খুঁটি ছিড়ে গরু পালানোর মতো গোয়ালঘর সামলানোই তখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সে বড় দুঃখের সময়।
দুঃখের সময় উপস্থিত হলে শোকে তাপে মানুষের মুখ দিয়ে অনেক সত্যিই বেড়িয়ে যায়। সুখের সময় যে কথা ফাঁস হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু বিষয় সেটিও নয়। কে কখন কোন শোকে কোন সত্য ফাঁস করে দিচ্ছেন। সেটি তত গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ শুধু সত্যটুকু। একটা জাতি। তার সংস্কৃতি জগতের কুশীলবেরা যখন মতাদর্শ, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, স্বদেশ ও স্বাজতি, নীতি আদর্শ বিবেক সবকিছুর উর্ধে উঠে নিজেকে রাজনীতির হাটে পণ্য করে তোলে। তখন সেই জাতির পক্ষে মেরুদণ্ড সোজা রেখে খাড়া হয়ে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সংস্কৃতির দিগন্তেই যদি মতাদর্শহীন, স্বদেশ ও স্বজাতির প্রতি দায়বদ্ধতাহীন, নীতি আদর্শ বিবেকহীন সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে যে কোন জাতির পক্ষেই সে বড় দুঃসময়। এই চিত্র যে শুধুই কাঁটাতারের পশ্চিম পারেই তাও নয়। একই রকম চিত্র কাঁটাতারের পূর্ব পারেও। ফলে কাঁটাতার যতই শক্তপোক্ত হোক না কেন। বাংলার দুই পারেই সময়ের চিত্র এখন একই রকম। দুই পারেই এক ভয়াবহ সাংস্কৃতিক অবক্ষয় চলছে। যে অবক্ষয় শুরু হয়েছে সংস্কৃতি জগতের জনপ্রিয় কুশীলবদের নৈতিক অধঃপতনের হাত ধরেই। আজকে তাঁরা জাতির সামনে যে আদর্শ যে সংস্কৃতি তুলে ধরছেন। আগামী দিনে জাতিকেই তার মূল্য দিতে হবে। তার একটা বড়ো কারণ, জাতির উপরে তার সংস্কৃতি জগতের কুশীলবদের অধঃপতনের একটা মারাত্মক প্রভাব পড়ে। পড়তে বাধ্য। কারণ তাদের জনপ্রিয়তা। সেই জনপ্রিয়তাই আজ বাংলার উভয় পারেই অভিশাপের ছায়াপাত ঘটিয়ে ফেলেছে। না, বাংলার রাজনীতির বর্তমান চিত্রে শাপমোচনের কোন পথরেখা দেখা যাচ্ছে না। উল্টে এই অভিশপ্ত সময় দিনে দিনে আরও বেশি সর্বাত্মক হয়ে উঠেছে জাতির জীবনে।
১৩ই নভেম্বর’ ২০২১
ফলে আপন জনপ্রিয়তা ভাঙিয়ে বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়া। আর সেই জনপ্রিয়তা ভাঙিয়ে বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে বিধায়ক সাংসদ হওয়া, এই দুইটি বিষয়ের সাথেই জড়িয়ে থাকে কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন। সংস্কৃতি জগতের জনপ্রিয় কুশীলবদের জন্যে এই এক পোয়াবারোর সময় উপস্থিত। ফলে তাঁদের অধিকাংশই রাজনীতির ঘোলাজলে খেলা করতে নেমে পড়েছেন। আর আজ এই দলে কাল ঐ দলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুঁজি তাঁদের একটাই। জনপ্রিয়তা। সেটি ভাঙিয়ে ভাঙিয়ে যতটা বেশি পরিমাণে আখের গুছিয়ে নেওয়া যায়। তার জন্য কোন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্নই ওঠে না। যখন যে দলে। তখন সেই দলের তৈরী করে দেওয়া স্ক্রিপ্ট অন ক্যামেরা পাবলিকের সামনে মাঠে ময়দানে প্রেসমিটে মুখস্থ আউড়ে গেলেই হলো। আর কে না জানে, তৈরী করে দেওয়া স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করে ডায়লোগ দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অভিনেতা অভিনেত্রীদের পারদর্শীতার কথা। যত শোনা যাবে। তত মনে হবে বক্তা যেন তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা উপলব্ধির কথাই শোনাচ্ছে। ফলে হাততালিও পড়তে থাকবে ঝটপট। আর চটপট সেটাই ভোটের অংকে ট্র্যান্সেল্ট হলে তো কথাই নাই। সেই রথ ভাবে আমি দেব পথ ভাবে আমি। যে যাই ভাবুক। লাভের লাভ দল ও প্রার্থী হিসেবে অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রী, সকলেরই হয়। যদি শাসন ক্ষমতায় গিয়ে পৌঁছানো যায় শেষমেশ। কিন্তু মুশকিল হয় তখনই। যখন বিধানসভায় বিরোধী বেঞ্চের কোণে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। খুঁটি ছিড়ে গরু পালানোর মতো গোয়ালঘর সামলানোই তখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সে বড় দুঃখের সময়।
দুঃখের সময় উপস্থিত হলে শোকে তাপে মানুষের মুখ দিয়ে অনেক সত্যিই বেড়িয়ে যায়। সুখের সময় যে কথা ফাঁস হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু বিষয় সেটিও নয়। কে কখন কোন শোকে কোন সত্য ফাঁস করে দিচ্ছেন। সেটি তত গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ শুধু সত্যটুকু। একটা জাতি। তার সংস্কৃতি জগতের কুশীলবেরা যখন মতাদর্শ, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, স্বদেশ ও স্বাজতি, নীতি আদর্শ বিবেক সবকিছুর উর্ধে উঠে নিজেকে রাজনীতির হাটে পণ্য করে তোলে। তখন সেই জাতির পক্ষে মেরুদণ্ড সোজা রেখে খাড়া হয়ে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সংস্কৃতির দিগন্তেই যদি মতাদর্শহীন, স্বদেশ ও স্বজাতির প্রতি দায়বদ্ধতাহীন, নীতি আদর্শ বিবেকহীন সাংস্কৃতিক কর্মীদের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে যে কোন জাতির পক্ষেই সে বড় দুঃসময়। এই চিত্র যে শুধুই কাঁটাতারের পশ্চিম পারেই তাও নয়। একই রকম চিত্র কাঁটাতারের পূর্ব পারেও। ফলে কাঁটাতার যতই শক্তপোক্ত হোক না কেন। বাংলার দুই পারেই সময়ের চিত্র এখন একই রকম। দুই পারেই এক ভয়াবহ সাংস্কৃতিক অবক্ষয় চলছে। যে অবক্ষয় শুরু হয়েছে সংস্কৃতি জগতের জনপ্রিয় কুশীলবদের নৈতিক অধঃপতনের হাত ধরেই। আজকে তাঁরা জাতির সামনে যে আদর্শ যে সংস্কৃতি তুলে ধরছেন। আগামী দিনে জাতিকেই তার মূল্য দিতে হবে। তার একটা বড়ো কারণ, জাতির উপরে তার সংস্কৃতি জগতের কুশীলবদের অধঃপতনের একটা মারাত্মক প্রভাব পড়ে। পড়তে বাধ্য। কারণ তাদের জনপ্রিয়তা। সেই জনপ্রিয়তাই আজ বাংলার উভয় পারেই অভিশাপের ছায়াপাত ঘটিয়ে ফেলেছে। না, বাংলার রাজনীতির বর্তমান চিত্রে শাপমোচনের কোন পথরেখা দেখা যাচ্ছে না। উল্টে এই অভিশপ্ত সময় দিনে দিনে আরও বেশি সর্বাত্মক হয়ে উঠেছে জাতির জীবনে।
১৩ই নভেম্বর’ ২০২১
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন