তাহলে দেখা গেল বিকেল পাঁচটায় পাঁচ মিনিট ধরে থালা বাজিয়ে হাততালি দিয়ে কিংবা রাত নয়টায় নয় মিনিট ধরে ঘর অন্ধকার করে রেখে প্রদীপ জ্বালিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে করোনা দূর হয় না। রাত আটটা’র বোকা বাক্সের বোকামো দেখেও করোনার আটকানো যায় না। দেখা গেল রামমন্দিরের শীলান্যাস করে কিংবা গোমূত্র পান করেও করোনার সাথে মোকাবিলা অসম্ভব। দেখা গেল কিছু অপদার্থ এবং অসৎ মানুষের হাতে রাষ্ট্রের ভার তুলে দিলে করোনার হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়াও অসম্ভব। দেখা গেল সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের চাষ করে করোনাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ষড়যন্ত্র বলে চালালেও সেই ঢপবাজি বেশিদিন টিকিয়ে রাখা যায় না। হ্যাঁ ঢপবাজির দৌলতে কিছু ভোট বেশি পাওয়া যায় অবশ্যই। আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সেই ভোট কুড়াতে ব্যস্ত থাকলে করোনা মোকাবিলায় দরকারী পদক্ষেপগুলি নেওয়াও যায় না। বিগত তিরিশ দিন ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা দখলের জন্যে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকার পর্বেই সারা ভারত ব্যাপী করনো সংক্রমণ ছড়িয়েছে দাবানলের মতো। লক্ষ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। আর হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্চেন প্রতিদিন। সরকার কি করেছে? মাস্ক না পড়লে মাথা পিছু হাজার টাকা জরিমানা চালু করেছে। এদিকে সংক্রমিত মানুষ হাসপাতালে একটা বেড পাচ্ছে না। বেড পেলেও অক্সিজেন পাচ্ছে না। অক্সিজেন পেলেও সেই অক্সিজেন আগেই ফুরিয়ে যাচ্ছে। সর্বত্র একটা বেডের জন্য হাহাকার। অন্য অসুখে ভর্তি থাকা রুগীদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে করোনা সংক্রমিতদের জন্য বেডের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। ফলে করোনায় আক্রান্ত নয় এমন মুমুর্ষু রুগীও হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বিনা চিকাৎসায় মারা পড়ছে। সারা ভারতে যখন এই অবস্থা, তখন ভারত শাসনের অধিকার পাওয়া রাজনৈতিক শিবির পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদেরকে সোনার বাংলা গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে। সকাল থেকে বিকেল। রাত্রি থেকে দিন। ভিন রাজ্য থেকে কারিগর এনে জনসভার পর জনসভায় কোটি কোটি টাকার প্যাণ্ডেল তৈরী করে মঞ্চ দাপিয়ে অবাঙালি নেতারা ভিন রাজ্যের মাতৃভাষায় বাংলার জনগণের জন্য কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করে চলেছেন। আর বাঙালি সেই অনৃতবাণী শ্রবণে মুগ্ধচিত্তে জীবনধন্য করে বাড়ী ফিরে আসছে নির্দিষ্ট বোতামে আঙুল টেপার প্রতিজ্ঞা নিয়ে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্লেন হেলিকপ্টার ভাড়া করে এসে প্রতিদিন বাঙালির মগজধোলাই করে যাচ্ছে দিল্লীবাসী নেতামন্ত্রীরা।
যে দল সাত বছরে ভারতবাসীর জীবনে নাভিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছে। যে দল সত্তর বছর দরে গড়ে তোলা ভারতের সম্পদ সম্পত্তি জলের দরে দুই একজন ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দিচ্ছে। যে দল দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিদিন। যে দল কোন একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও পূর্ণ না করে পরের পর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে। যে দল প্রকাশ্য জনসভায় বলছে, তোমরা আমাদের ভোট দাও। আমরা তোমাদরে নাগরিকত্ব অর্থাৎ ভোটাধিকার এবং ভারতীয়ত্বের স্বীকৃতি দেবো। যে দল করোনা মোকাবিলা করার বদলে একের পর এক রাজ্যের বিধানসভা দখলের দিকে বেশি মনোযোগী। সেই দলের হাতেই এবার নাকি পশ্চিমবঙ্গকে তুলে দিতে হবে ডবল ইঞ্জীন সরকার গরতে। যে ডবল ইঞ্জীন সরকার নাকি সোনার বাংলা গড়ে দেবে। যে ডবল ইঞ্জীনের দিল্লী ইঞ্জীন সাত বছর ধরে গোটা ভারতবর্ষের মানুষকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। তাদের হাতেই বাংলার ভাগ্যকে তুলে দিতে হবে। না দিলে বাঙালির নাকি দুর্গতির সীমা থাকবে না। আর দিলে কি হবে, কি হতে পারে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝছে হরিয়ানা উত্তরপ্রদেশ আসাম ত্রিপুরার জনগণ। বাঙালিও সম্ভবত সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে চাইছে বলেই ‘আসোল পরিবর্তনে’র টোপ গিলতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। বছরে দুই কোটি করে চাকরি দেওয়ার ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনী ঢপ মানুষ দিব্যি হজম করে নিয়েছে। তাই এবারে একুশের নির্বাচনে রাজ্য বিধানসভা দখলের জন্য প্রতি ঘরে একজনের চাকরি দেওয়ার নির্বাচনী ঢপেও মানুষ নতুন করে হজম করার আয়োজনে মশগুল হয়ে উঠেছে। কথায় বলে ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরও মনে হয় সেই দশা। চোখের সামনে আসাম আর ত্রিপুরায় বাঙালির হাল দেখেও এরাজ্যের বাঙালির দিবানিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটে নি কোন। আর বাঙালির সেই দিবানিদ্রার উপরেই ভরসা করে কেন্দ্রীয় সরকারের রথী মহারথীরা প্রচাররথে সারা বাংলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এইখানেই সারা ভারতের অন্যান্য জাতি বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে। দেশে যখন করোনা মহামারী প্রবল হয়ে আছড়ে পড়েছে। ভারত সরকার তখন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা দখলের লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারে প্রমত্ত। সকলে মনে করছে, এটা সরকারেরই অপদার্থতা।
একদিকে বারানসীর শ্মশান ঘাটে সারি সারি চিতার আগুন জ্বলছে দাউদাউ করে। আর অন্যদিকে সেই বারানসীরই নির্বাচিত সাংসদ পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। অনেকেই জলন্ত রোম নগরীর সম্রাট নীরোর মুখ দেখতে পাচ্ছেন দেশ প্রধানের ছবিতে। কিন্তু সত্যিই কি করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ ভারতসরকারের অপদার্থতা? না’কি এর পিছনের অংকটা অপদার্থতার নয়। অংকটা একটা সুগভীর পরিকল্পনার? বিষয়টা তো একশ চল্লিশ কোটির দেশে ভ্যাকসিন বাণিজ্যের স্ট্রাটেজিও হতে পারে। না, হাতে কোন প্রমাণ না থাকলেই যে স্বাভাবিক যোগবিয়োগ গুণভাগ করে একটা বাস্তব সম্মত অনুমান করাও সম্ভব নয়, তেমনটাও তো নয়। মৃত্যুভয় সেরকম সুতীব্র ও সংক্রমক না হলে ভ্যাকসিন বাণিজ্য যে জমে উঠবে না। এটা বুঝতে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না। তাই ভ্যকসিন তৈরীর মূল পাণ্ডারা, যাদের হাতে বিশ্ব অর্থনীতির চাবিকাঠি। তারা যে স্বভাবতই দেশে দেশে করোনার সংক্রমণ তীব্র থেকে তীব্র হয়ে ওঠার অপেক্ষায় থাকবে, এটা তো স্বাভাবিক। ভারতবর্ষের মতো প্রায় একশ চল্লিশ কোটির একটি দেশ, যে দেশের অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র্য। সেই দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করতে গেলে, করোনার সংক্রমণ যেমন তীব্র থেকে তীব্র হয়ে ওঠার দরকার। ঠিক তেমনই করোনায় মৃত্যুভয় তৈরী করারও তেমনই প্রয়োজন। আর সেই কাজে ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পর্যায়ের একটি দুটি ডোজ যদি করোনা সংক্রমণ তীব্র করে তুলতে পারে। তবে সেটি সরকারী অপদার্থতা না’কি ভ্যাকসিন বাণিজ্যের সাফল্য? ভাবা দরকার সেই বিষয়টিও। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই সাফল্যের পিছনের স্ট্র্যাটেজি এবং সাফল্যের খতিয়ান ভ্যকসিন প্রস্তুতকারকরা প্রমাণসহ দাখিল করবে না প্রকাশ্যে। ফলে সাধারণ মানুষের হাতে এর কোন প্রমাণও থাকতে পারে না। থাকবেও না। কিন্তু ভারতে করোনার বিস্তার ও ভ্যাকসিন প্রদানের ক্রনোলজি পর্যবেক্ষণ করলে কয়েকটা বিষয় স্পষ্ট ধরা পড়ে।
২০২০’র মার্চে লকডাউন ঘোষণার পর জুন মাস থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পেতে সেপটেম্বর নাগাদ সর্বোচ্চ হয়। যখন দিনে প্রায় সাতানব্বই হাজার মানুষের করোনা সংক্রমণ হচ্ছিল। এবং লক্ষ্মণীয় সেই সময়ে কোন ভ্যাকসিন আসে নি বাজারে। করোনার কোন ওষুধও আবিস্কৃত হয়নি। তথাপি অক্টোবর থেকে প্রতিমাসেই দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ কমতে থাকলো দ্রুত হারে। জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করলো। ওষুধ নেই ভ্যাকসিন দিতে হলো না, অথচ দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১৬ই সেপটেম্বর সর্বোচ্চ সাতানব্বই হাজার আটশো ঊনষাট থেকে কমতে কমতে ১৫ই ফেব্রুয়ারী নয় হাজার একশো ঊনচল্লিশে নেমে গেল। এবং দৈনিক মৃত্যু ১৫ই সেপটেম্বর এক হাজার দুইশো তিরাশি থেকে কমতে কমতে ৮ই ফেব্রুয়ারী একাশিতে নেমে গেল। এখন মানুষের হাতে পরিসংখ্যানের এই তথ্য থাকলে অধিকাংশ মানুষই ভ্যাকসিন নিতে গড়িমসি করবে। ভ্যাকসিন নিতে চাইবে না। এবং পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে গেলে, ভ্যাকসিনের বাজারই একদিন উঠে যাবে। তখন সরকারী নীতি প্রয়োগ করে বলপূর্বক ভ্যাকসিন দিতে গেলে সরকার বিরোধী গণআন্দলনে সরকারের পতন হয়ে যাওয়াও বিচিত্র নয়।
আবার এরই ভিতরে গত অক্টোবরে পশ্চিমবঙ্গে পুজোর কেনাকাটার সেই ভয়াবহ ভিড়ের চিত্র। একই সময়ে বিহার বিধানসভার নির্বাচনে দিনের পর দিন ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষের জনসভার পরেও করোনা সংক্রমণ বাড়লো না। উল্টে নিয়ম করে কমতে থাকলো। তারপর ডিসেম্বর থেকে একনাগাড়ে দিল্লীর সীমান্তে লক্ষ লক্ষ কৃষকের গণ অবস্থান। সেখানেও করোনা সংক্রমণের কোন চিত্র নেই। ফলে দেশব্যপী মানুষের ভিতর থেকে করোনা আতঙ্ক দিনে দিনে কেটে যেতে থাকলো। ভ্যাকসিন বাণিজ্যের পক্ষে সেটাই বিপদসংকেত। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট। ফলে করোনা আতঙ্কের বাড়বান্ত না ঘটলে, বা ঘটাতে না পারলে ভ্যাকসিন বাণিজ্য জমবে না। আর এই সোজা হিসেবেই প্রশ্ন একটা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছেই, দেবে। অর্থাৎ হিসেবটা যেখানে সোজা, করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ না হলে জনতাকে স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিনপন্থী করে তোলা যাবে না। সেখানে যেভবেই হোক ভ্যাকসিন বাণিজ্যের স্বার্থে করোনা সংক্রমণ বাড়াতেই হবে। এদিকে ভারতে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হতেই মার্চ থেকেই করোনা সংক্রমনের গ্রাফ উর্ধমুখী। ১লা মার্চ সংক্রমিত হন এগারো হাজার পাঁচশো তেষট্টি জন। ৩১শে মার্চ সেই সংখ্যা বাহাত্তর হাজার একশ বিরাশী। ফলে প্রতিদিনের সংক্রমণ বাড়তে থাকে হু হু করে। গতকাল অর্থাৎ ২২শে এপ্রিল সংক্রমিত হন তিন লক্ষ বত্রিশ হাজার পাঁচশো তিন জন। এবার মৃত্যুর পরিসংখ্যানের দিকে নজর দেওয়া যাক। ১লা মার্চ মৃত্যু হয় আশি জন করোনা সংক্রমিত রুগীর। ৩১শে মার্চ মারা যান চারশ আটান্ন জন করোনা সংক্রমিত রুগী। আর গতকাল ২২শে এপ্রিল মারা গেলেন দুই হাজার দুইশ ছাপ্পান্ন জন করোনা সংক্রমিত রুগী।
প্রতিদিনের সংক্রমণ ও মৃত্যুর এই ভয়াবহ হার এবারে ভ্যাকসিন বাণিজ্যের মুনাফার পালে জোর হাওয়া তুলবে। শ্মশানের চিতার আগুনের লেলিহান শিখা যত উঁচুতে উঠবে মানুষ একটা ডোজের জন্য ভ্যাকসিনের লাইনে তত বেশি করে ভীড় করবে। এটাই মানুষের ধর্ম। তখন মানুষ ভ্যাকসিনের মূল্য নিয়ে মাথা ঘামাবে না। যাঁরা মনে করছেন, সরকার তো অধিকাংশ মানুষকেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। তাঁরা খেয়াল করছেন না, সরকার ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলির কাছ থেকে চড়া মূল্যেই ভ্যাকসিন কিনে জনগণকে বিলাচ্ছে বিনামূল্যে। কিন্তু সেই ভর্তুকির অর্থ সরকার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কোষাগার থেকে কিংবা নেতামন্ত্রীর পকেট থেকে দিচ্ছে না। দেবে না। দিচ্ছে জনগণের দেওয়া করের টাকার ভাগ থেকেই। আর ভ্যাকসিনের পিছনে সরকার যত বেশি ভর্তুকি দেবে, অন্যান্য জনহিতকর প্রকল্পের বাজেট থেকে তত বেশি পরিমাণে সরকারী অনুদান কমিয়ে দেবে। যার সরাসরি প্রভাব সাধারণ মানুষের উপরেই পড়বে। সাধারণ মানুষের উপরে সরকার নানা ভাবে করের বোঝা চাপিয়েও এই ঘাটতি পুরুণ করতে পারে। ফলে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন বিলালেও ভ্যাকসিন বাণিজ্যের পোয়াবারো সাড়ে সতেরো আনা।
তাই প্রশ্ন এখন একটাই, ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হতেই এমন বিপুল ভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলো কেন? যার সরাসরি প্রভাবে দৈনিক মৃত্যুর হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিদিন। আর শ্মশানের পর শ্মশানে শত শত হাজার হাজার চিতার আগুন জ্বলছে সারাদিন ধরে। তবে কি ভ্যাকসিনের ভিতরেই করোনার প্রাণভোমরা লুকিয়ে রয়েছে? না, এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর পাওয়া যাবে না। গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই যখন ভ্যাকসিন বাণিজ্যের হাতের মুঠোয়। এখন শুধু মুনাফা তুলে নেওয়ার পালা। আর যার যার বখরা মিলিয়ে নেওয়ার পালাও। তাই ভারতে করোনার সেকেণ্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ কিনা সেটাই এখন প্রশ্নচিহ্নের সামনে। আর প্রায় দেড় মাস ব্যাপী পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে হত্যে দিয়ে পরে থাকাটা ভারত সরকারের এক ঢিলে দুই পাখি মারার প্রয়াসে কিনা, সেটা আগামী ইতিহাস হয়তো কোনদিন উদ্ধার করলেও করতে পারে। আপাতত আমাদেরকে ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ভ্যাকসিন বাণিজ্য। আর যারা লাইনে দাঁড়াতে পারলো না, তাদের জন্য শেষ আশ্রয় শ্মশান এবং গোরস্থান।
■ কপিরাইট লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন