মোহন
আশি ছুঁই ছুঁই মোহন বুড়ো হয়নি
মোহন অবসর নেয়নি
মোহন হাসিমুখে এখনও চায়ের গ্লাস ধুয়ে যাচ্ছে।
মোহন আর সব শিশুর মতনই ছিল
মায়ের কোলে বসতো হাসতো খেলতো ছুটতো
মোহন তো স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যেতে পারতো
হতে পারতো মাষ্টার অফিসবাবু ডাক্তার
বা অন্য কিছু
ওর নিজের মনের মতো।
দারিদ্র মোহনকে আর সবাইকার মত হতে দেয়নি
মোহন শৈশব পায়নি
ছাত্র জীবনের স্বাদ পায়নি
আটেই ঢুকেছিল চায়ের দোকানে
- জীবন সংগ্রামে
দুবেলা দুমুঠো খাবার বিনিময়ে
ধুয়েছিল চায়ের গ্লাস তার কচি হাত দিয়ে।
মোহন অফিসবাবু হতে পারেনি
হতে পারেনি ইঞ্জিনিয়ার মাষ্টার বা কেরানী
মোহন বুড়ো হয়েছে
কর্মজীবনের অবসর ওর মেলেনি
রাস্তার ধারে ঝুপড়ির চায়ের দোকানে
বসে আজও মোহন চা করে চলেছে।
মোহন অবসর নেয়নি
আশি ছুঁই ছুঁই মোহন বুড়ো হয়নি
মোহন আজও চা করে চলেছে
হাসিমুখে সবাইকে চা দিচ্ছে
মোহন তার শীর্ণ হাতে চায়ের গ্লাস ধুয়ে যাচ্ছে।
আশি ছুঁই ছুঁই মোহন বুড়ো হয়নি
মোহন অবসর নেয়নি
মোহন হাসিমুখে আজও চায়ের গ্লাস ধুয়ে যাচ্ছে।
স্বেচ্ছায়
অনেক কিছু দেখছি অনেক কিছু শুনছি
নিন্দুকেরা বলে আমরা নাকি বাধ্য হচ্ছি
আমি বলি বাধ্য হয়ে
আমি স্বেচ্ছায় সব দেখছি সব শুনছি মানছি।
আমি স্বেচ্ছায় আমার একমাত্র ভিটেটা প্রমোটারকে দিই
স্বেচ্ছায় বাড়ির উঠোনে ক্লাব ঘর করতে দিই
আমি স্বেচ্ছায় মোটা টাকা চাঁদা দিই
স্বেচ্ছায় ট্রাফিক মোড়ে মামার হাতে টাকা গুঁজে দিই।
আমার ছেলেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা চাকরির জন্য
আমি স্বেচ্ছায় ঠিক জায়গায় টাকার ব্যাগ পৌঁছে দিই
ছাঁটাই এর সময় আমি স্বেচ্ছায় অবসর নিই।
আমি স্বেচ্ছায় জেলে যাই
স্বেচ্ছায় নিজের ঘর নিজে পোড়াই
স্বেচ্ছায় ফুটপাথে পড়ে থাকি
রাস্তার ধারে পড়ে থাকা খাবার স্বেচ্ছায় কুড়িয়ে খাই।
দ্রৌপদীকেও তো পাঁচ স্বামীকে গ্রহণ করতে হয়েছিল স্বেচ্ছায়
কৌরব আসরে অপমানিত হতে হয়েছিল স্বেচ্ছায়
আমিও স্বেচ্ছায় করি সবই।
ওরা শপথ নিয়েছে ওরা মিথ্যা বলে না
মিথ্যা তো বলি আমরাই।
আশি ছুঁই ছুঁই মোহন বুড়ো হয়নি
মোহন অবসর নেয়নি
মোহন হাসিমুখে এখনও চায়ের গ্লাস ধুয়ে যাচ্ছে।
মোহন আর সব শিশুর মতনই ছিল
মায়ের কোলে বসতো হাসতো খেলতো ছুটতো
মোহন তো স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যেতে পারতো
হতে পারতো মাষ্টার অফিসবাবু ডাক্তার
বা অন্য কিছু
ওর নিজের মনের মতো।
দারিদ্র মোহনকে আর সবাইকার মত হতে দেয়নি
মোহন শৈশব পায়নি
ছাত্র জীবনের স্বাদ পায়নি
আটেই ঢুকেছিল চায়ের দোকানে
- জীবন সংগ্রামে
দুবেলা দুমুঠো খাবার বিনিময়ে
ধুয়েছিল চায়ের গ্লাস তার কচি হাত দিয়ে।
মোহন অফিসবাবু হতে পারেনি
হতে পারেনি ইঞ্জিনিয়ার মাষ্টার বা কেরানী
মোহন বুড়ো হয়েছে
কর্মজীবনের অবসর ওর মেলেনি
রাস্তার ধারে ঝুপড়ির চায়ের দোকানে
বসে আজও মোহন চা করে চলেছে।
মোহন অবসর নেয়নি
আশি ছুঁই ছুঁই মোহন বুড়ো হয়নি
মোহন আজও চা করে চলেছে
হাসিমুখে সবাইকে চা দিচ্ছে
মোহন তার শীর্ণ হাতে চায়ের গ্লাস ধুয়ে যাচ্ছে।
আশি ছুঁই ছুঁই মোহন বুড়ো হয়নি
মোহন অবসর নেয়নি
মোহন হাসিমুখে আজও চায়ের গ্লাস ধুয়ে যাচ্ছে।
স্বেচ্ছায়
অনেক কিছু দেখছি অনেক কিছু শুনছি
নিন্দুকেরা বলে আমরা নাকি বাধ্য হচ্ছি
আমি বলি বাধ্য হয়ে
আমি স্বেচ্ছায় সব দেখছি সব শুনছি মানছি।
আমি স্বেচ্ছায় আমার একমাত্র ভিটেটা প্রমোটারকে দিই
স্বেচ্ছায় বাড়ির উঠোনে ক্লাব ঘর করতে দিই
আমি স্বেচ্ছায় মোটা টাকা চাঁদা দিই
স্বেচ্ছায় ট্রাফিক মোড়ে মামার হাতে টাকা গুঁজে দিই।
আমার ছেলেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা চাকরির জন্য
আমি স্বেচ্ছায় ঠিক জায়গায় টাকার ব্যাগ পৌঁছে দিই
ছাঁটাই এর সময় আমি স্বেচ্ছায় অবসর নিই।
আমি স্বেচ্ছায় জেলে যাই
স্বেচ্ছায় নিজের ঘর নিজে পোড়াই
স্বেচ্ছায় ফুটপাথে পড়ে থাকি
রাস্তার ধারে পড়ে থাকা খাবার স্বেচ্ছায় কুড়িয়ে খাই।
দ্রৌপদীকেও তো পাঁচ স্বামীকে গ্রহণ করতে হয়েছিল স্বেচ্ছায়
কৌরব আসরে অপমানিত হতে হয়েছিল স্বেচ্ছায়
আমিও স্বেচ্ছায় করি সবই।
ওরা শপথ নিয়েছে ওরা মিথ্যা বলে না
মিথ্যা তো বলি আমরাই।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন