ভাবনাটি লিখিবার পশ্চাতে আপনমনে হাসিলাম মৃদু। তুমি ভিন্ন কেহইবা বহন করিবে সে সাক্ষর ? যাবতীয় ভাবনা, বিষাদ, বিজাতীয় ভাবাবেগ ; তোমার নিকট আশ্রয়। তুমি যত্সামান্য কোলটি পেতে দিলে আবিল শিশুবৎ হাসি ,কান্না , শোক খুলে শুই। অতঃপর শান্তি !
তোমাকে যাহারা স্পর্শ করিতে পারে নাই তাহারা বুঝিবে কি .....বসন্তের একটি নীরব নবপত্রিকা কিরূপ আলো ! গ্রীষ্মের অচিন দুপুরটি শুকনো পাতায় কিরূপ ধনী ! বর্ষার আগমন হেতু পুঞ্জীভূত মেঘরাশি কতখানি গাঢ় ! তোমায় উপমা দিবো ....শব্দভাণ্ড ক্ষুদ্র।
ঋণ ...সেও প্রত্যহই দীর্ঘ এবং দীর্ঘতর হয়।
স্বপনে দেখি তোমার নিকট একখান বাতি রাখিয়া আসিয়াছে কেহ। বাতাসের পরশে সে বাতিখানি মৃদু কম্পমান। কৃপণ আভায় তোমার শীর্ণ অঙ্গুলিগুলি দৃশ্যমান হয়। আমি আজীবন তোমার সুগন্ধি ছবিখানি দেখিবার বাসনা রাখি।
মৃত্যুও যদি গ্রহণ করে সেক্ষণে তোমার আঁচলখানি দিও। লেখা রইবে মাতৃভাষা । জানিব তুমিই রহিয়াছ ; ছায়াঘন !!
সায়ন্ন্যা দাশদত্ত
Reviewed by Pd
on
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
Rating:
Reviewed by Pd
on
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন