কমল দাস

kamal


দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমায় ধলদিঘির পাশেই একটি সমাধি আছে।এখানে যে সমাধিটি আছে সেটা মহামান্য মৌলানা আতাশার। আর যে তিন টি শিলালেখ এই দরগার গায়ে দেখা যায় সেটির প্রথম টি সুলতান রুকন্উদ্দিন কাইকাউসের রাজত্বকালে বসানো হয় ৬৯৭ হিজরী বর্ষে অর্থাৎ ১২৯৭ খ্রীস্টব্দে। এই শিলালেখে একটি সুউচ্চ গম্বুজ যুক্ত মসজিদের কথা বলা আছে। কিন্তু মসজিদ টি ধ্বংস হবার পর এটি এখানে লাগানো হয়েছে বলেই মনে হয়। তখন এখানকার শাসনকর্তা ছিলেন জাফর খান।

হিজরীবর্ষে হুগলীর ত্রিবেনীতেও এইরকম একটি শিলালেখে উল্লেখ আছে দেওকোটে একটি মাদ্রাসা জাফরখান তৈরী করেছিলেন । ত্রিবেনীতেও মাদ্রাসা গড়েছিলেন জাফরখান নামের সেই প্রাদেশিক কর্তা। দ্বিতীয় শিলালেখে ৭৬৫ হিজরীবর্ষে সিকান্দার শাহর রাজত্বকালে বসানো হয়। ব্যবহার করা হয়েছে ফার্সী ও আরবী ভাষা। এখানে বলা হয়েছে যে গম্বুজের নির্মান মহামান্য আতাশাহ শুরু করেছিলেন তাহা ৭৬৫ হিজরীবর্ষে ১৩৬৩ খ্রীষ্টাব্দে দয়ার মুর্তি, জনগনের প্রতিভু, আল্লার প্রতিরুপ সিকান্দার শাহ এটি শেষ করেন আতাশাহ র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

ডান দিকের ঢোকার মুখে যে শিলালেখ টি আছে সেটি ৮৯৬ হিজরী বরষে শামসুদ্দিন মুজাফফর শাহ ১৪৯০ খ্রীষ্টব্দে বসান। সেখানে মহামান্য আতাশাহের আত্মার শান্তি হোক, আল্লাহ তার সমাধি সুবাসিত রাখুন লেখা আছে।

আতাশাহ কাইকাউসের সময় একটি মসজিদ তৈরী শুরু করে দেহ রাখেন । তার সমাধি স্থল তৈরী করে দেন সিকান্দার শাহ। এবং তারও পরে মুজাফফর শাহ আতাশার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। মহামান্য আতাশাহ খুব শ্রদ্ধাবান সাধক ছিলেন । সেজন্যই দুশ বছর ধরে তিনি দেওকোটের সবার মনে স্থান করে নিয়েছিলেন। আজও সব ধর্মের মানুষের কাছে তিনি শ্রদ্ধেয়।

kamal



(কৃতজ্ঞতা,আমার পরম শ্রদ্ধেয় মানুষ এবং শিক্ষক,প্রয়াত অধ্যাপক অচিন্ত্য কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয়। মধুপর্ণী পত্রিকা / প্রয়াত চিত্তরঞ্জন দত্ত মহাশয়।)



কমল দাস কমল দাস Reviewed by Pd on আগস্ট ১৫, ২০১৬ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.