মৃন্ময় মান্না







পুনর্জন্ম 

কিছু কথা বলা বাকি ছিল ...
ধারালো অস্ত্র গুলোর সঙ্গে। সেগুলো ধরে থাকা রক্তাক্ত হাতের সঙ্গে।
শক্ত পাথরের বুকের মাংস ছিঁড়ে ছড়িয়ে দিতে দিতে থমকে যায় পৃথিবীর বনসৃজন প্রকল্প
ওই পাথরগুলোর দোষ ছিল, ওরা কারও চিবানো খাবার খেত না!
কালো আকাশের নিচে অক্সিজেনের ধোঁয়া উড়িয়ে খাবার রান্না করত ...
আকাশের কালো সরে বৃষ্টি নামলে
ওদের হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দেয়
আলমারির এক কোনে সযত্নে শায়িত কাপড়ে ঢাকা ছোট্ট পুস্তকখণ্ড ।।

প্রশ্ন হচ্ছে, কোনওদিন পুস্তকের কাগজেও মুছে যাবে লেখা
শক্ত পাথরকে ছিঁড়ে ফেললেও লুপ্ত করা কঠিন
খোদিত থাকে, হাজারও টুকরোর জন্মগত নেশা ।।



সাদা রক্তের ধারা ...

ওদের বুক চিরে বইয়ে দাও গঙ্গার বুকের সাদা রক্ত
সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে যে বিন্দু বিন্দু আলো আকাশের বুকে খেলা করছিল
ওদের দেহে সেই আলোর বিকিরন উত্তাপ দেয়নি!
ওদের দেহমধ্যস্থ রক্তে সদ্য অন্ধকার জন্ম নিয়েছে,
ওদের শ্বাসপ্রবাহের মধ্যেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সেই ফ্যাকাসে কালো দাগ!
ওদের আচার আচরণ, কথা বার্তা সব কিছুর সেই অন্ধকারের অস্তিত্ব।
সেই অন্ধকার সভ্যতা সমাপ্তির পর ঘনীভূত হওয়া অন্ধকারের থেকে এমন কিছু কম নয়,
ধর্ষণের মুহূর্তের আগে আলোকিত পরিবেশেও যে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে এই অন্ধকার কিন্তু তারই সমতুল!
ওরা এহেন অন্ধকারের জীবাণু বহন করছে রক্তে,
এই রোগ ওদের ঠিক-ভুল, উচিত-অনুচিত বাছার ক্ষমতাকেই গ্রাস করে নিয়েছে ...
ওরা কারা? ওরাই কি সমাজের নিয়ন্ত্রক?
যদি ওরাই হয় রাজনীতিবিদ, জননেতা অথবা ধর্মগুরু!
স্তাবকদের কাটা মুণ্ডুগুলো আজ ওদের ঘরের ডাস্টবিনে পড়ে থাকলেও তো চিরকাল থাকবে না।
ক্ষুব্ধ জনমুখে হয়ত কখনও শুনবো, ‘ওদের নির্বংশে বলির কাঠে ঝুলিয়ে দাও’
হয়ত সেই সুরে সুর মিলিয়ে গান তৈরি করবে তোমারও ...
কিন্তু কবির কলম বলবে, ‘ওদের বুকে কালো নদীর ধারা আর কত দিন? এবার গঙ্গাকে ওর বুকের মধ্যে পাঠাও না ভগীরথ।‘
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ