“প্রাচীন পালাগান যেন”
“কোন পালাগান?”
“ধর মাধব মালঞ্চী কইন্যা”
চুপ ।
“পছন্দ হল না ?”
এবারো চুপ ।
“তাহলে ধর মলুয়ার পালা”
এখনও উত্তর নেই ।
“ময়মনসিং গীতিকার কোনো একটা পালা ধরই না”
“না”
“কেন ?”
উত্তর নেই ।
“তাহলে নটী বিনোদিনী ? বা শাহজাহান ? বা পৃথ্বীরাজ চৌহান ? কোনো একটা জাঁকালো যাত্রাপালা?”
উত্তর নেই ।
“পথে হল দেরী ? হারানো সুর ? প্রথম কদম ফুল ? বসন্ত বিলাপ? এগুলো থেকে কিছু একটা ?”
“না” ।
কিছুক্ষণ থেমে আবার “তা লে তেরে ঘর কে সামনে , চলতি কা নাম গাড়ি , ববি , কেয়ামত সে কেয়ামত তক , দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে ?” মরীয়া হয়ে জিজ্ঞাসা । যেন মরে যাওয়ার আগে শেষ ইচ্ছে পূরণের প্রত্যাশায় ।
“উঁহু”
অপর পক্ষ একটু যেন আশার আলো খুঁজে পেল এই ‘উঁহু’ তে । ‘না’ এর থেকে ‘উঁহু’ ভালো ।
আকুল জিজ্ঞাসা ‘তাহলে?’
“ধুর”
এই ‘ধুর’ এর মানে টা ঠিক কি ধরবে অপর পক্ষ বুঝতে পারছে না । ‘ধুর’ এর থেকে ‘উঁহু’ ভালো ছিল ।
“ধুর অথবা উঁহু”
“মানে?”
“হ্যাঁ হ্যাঁ ‘মানে’ টা ও থাক”
অপর পক্ষের এবার চোখ ছল ছল । বেচারা ঘাবড়ে ঘুবড়ে একসা । মিনমিন করে বলে “মানে টা ও থাকবে মানে? কোথায় কিসের মানে থাকবে?”
“মানে ধুর অথবা উঁহু”
অপর পক্ষের কাছে এবার ব্যাপারটা ক্লীয়ার। শেষে এই নাম! ‘মানে ধুর অথবা উঁহু’ ? ওদের রোমান্সের গুষ্টির তুষ্টি আর কি। এপক্ষ ওপক্ষ মিলে গঙ্গার ধারে বসে ওদের এতদিনের সাধের রোমান্সের সাধের প্রেম কাহানির নাম ঠিক করছিল। ওপক্ষ ময়মনসিং গীতিকা থেকে এক্কেবারে শাহরুখ-কাজল পর্যন্ত নেমে এল । আর এপক্ষ শেষে নাম দিল কিনা ‘মানে ধুর অথবা উঁহু’। ওপক্ষ জাস্ট মেনে নিতে পারছে না ব্যাপারটা। ঠিক করল গঙ্গায় ঝাঁপ দেবে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের গঙ্গা শুকিয়ে চরা জেগে উঠছে। এই শুকিয়ে আসা গঙ্গা পুরো টা না শুকিয়ে যাওয়ার আগে ঝাঁপ দিলে যদি সত্যি সত্যি ডুবে যায়! এপক্ষ তো টেনেও তুলবে না। বেশ একটা রোমান্টিক হিরোর মত পাঁজাকোলা করে ওপক্ষকে জল থেকে তুলে আনত । আর ওপক্ষ কেমন ভয়ানক ভয় পাওয়া ভাব করে আরও গলা জড়িয়ে এপক্ষ’র বুকে লেপটে যেত । তা তো আর হবে না । যে কিনা ওদের এমন সাধে প্রেমের গল্পের নাম দিতে পারে ‘মানে ধুর অথবা উঁহু’ সে নিগঘাত বসে বসে তাড়িয়ে তাড়িয়ে ওপক্ষ’র ডুবে যাওয়া দেখবে । তারপর পকেট থেকে মোবাইল ফোন টা বের করে নেট খুলে শেয়ার বাজারের ওঠানামা দেখবে । অসহ্য । অপক্ষ গোমড়া মুখে বসে থাকে । কিছুতে মেনে নেবে না ও । ও একবার টেরিয়ে দ্যাখে এপক্ষ নির্লিপ্ত মুখে শুকিয়ে আসা গঙ্গার ঢেউ গুনছে ।
“গোনাচ্ছি” । ওপক্ষ মনে মনে বলে ।
“উঁ?”
রাগে গজ গজ করতে থাকে ওপক্ষ। শুধু ‘উঁ’ ? কোলের ওপর রাখা ব্যাগের চেন টা ফসস করে টেনে খোলে রাগ দেখিয়ে । যেন রেডিমেড ডিভোর্স পেপার সাথে করে নিয়েই এসেছিল। একটা মোবাইল বের করে। নেট অন করে। সবেধন নীলমনি এই মোবাইলটিতে ওপক্ষ সবে হোয়াটস অ্যাপ খুলেছে। মেসেজ করে এক ভাই কে “হ্যাঁ রে গঙ্গা পুরোটা শুকোতে কত দেরি রে ? যা গরম চারদিকে”। টুং টুং করে হোয়াট অ্যাপ এ মেসেজ সীন হয়। টাইপিং দ্যাখায়। টং করে মেসেজ ঢোকে “এই কিছুদিনের মধ্যেই পুরোটা শুকিয়ে যাবে আশা করা যায়” । বোঝা যায় ভাইটি এই ওপক্ষের কথাবার্তায় বেশ অভ্যস্থ । ওপক্ষ আবার লেখে “পুরোটা শুকিয়ে গেলে খবরটা দিস। আমি ডুব দেব”। এবারো মেসেজ সীন। আর টং করে রিপ্লাই “ওক্কে দিদি সিওর” । সাথে একটা বুড়ো আঙ্গুল দ্যাখানো লাইক । বেশ মন টা ফুরফুরে হতে থাকে ওপক্ষের । গঙ্গা শুকিয়ে যেতে বাকি । তারপর দেখে নেবে ও । ডুবেই মরবে । এপক্ষ কে দেখিয়ে দেখিয়ে ডুববে । হাঁস ফাঁস করে ডুববে । নিদারুণ কষ্ট পেয়ে পেয়ে ডুববে । এপক্ষ কে কষ্ট দিয়েই ছাড়বে । অপূর্ব একটা তৃপ্তি হয় ওপক্ষের ।
কিন্তু ওদিকে এপক্ষ একটু যেন বিচলিত । হলটা কি ! এতে হঠাৎ খুশির কি হল । এত সুন্দর করে রোমান্সে জল ঢালার পর প্রথমে ছল ছল চোখ , তারপর রাগ রাগ ভাব । তারপর বাংলার পাঁচের মত মুখ । ভারী ভালো লাগছিল এপক্ষ’র । নিজেকে প্রতিবারের মতো এবারো মনে মনে তারিফ করছিল আর কি । কিন্তু খুশি খুশি হাসি হাসি ভাব টা আবার উদয় হল কেন ওপক্ষ’র । এই ব্যাপারটাই ওর অসহ্য লাগে । এই এক হয়েছে মোবাইল । এর দৌলতে যখন তখন বাংলার পাঁচের মতো মুখটা কেমন প্রস্ফুটিত গোলাপ , নাহ পদ্ম , নাহ বেলি , নাহ টগর , নাহ পাশের ঝোপের কাঁটা গাছটার হলুদ ফুলের মতো হয়ে ওঠে । এটা ও মেনে নিতে পারে না । প্যাঁচা মুখ দেখে পছন্দ হয়েছিল , প্রেমে পড়েছিল কিনা বোঝার আগেই সেই প্যাঁচামুখ এপক্ষের ঘাড়ে লাফিয়ে উঠে জাঁকিয়ে বসেছিল । ঝেড়ে ফেলার শত চেষ্টা বৃথা গেছে । তারপর সব পুরুষের যেমন সয়ে যায় সেরকম এপক্ষেরও সয়ে গেছিল আর কি । খুব একটা পাত্তা না দেওয়া গোছের করে ফেলে রাখলেই চলবে বুঝে গেছে । কিন্তু তা’বলে একটাই শর্ত প্যাঁচা মুখ প্যাঁচাই থাকতে হবে । ওটাই বেশ মানানসই বলে মনে হয় এপক্ষের । “বাপ মা বেছে বেছে উপযুক্ত নাম রেখেছে কিন্তু । পঞ্চকলা” । মুখে বাঁকা হাসি এপক্ষের ।
কিন্তু ওদিকে এপক্ষ একটু যেন বিচলিত । হলটা কি ! এতে হঠাৎ খুশির কি হল । এত সুন্দর করে রোমান্সে জল ঢালার পর প্রথমে ছল ছল চোখ , তারপর রাগ রাগ ভাব । তারপর বাংলার পাঁচের মত মুখ । ভারী ভালো লাগছিল এপক্ষ’র । নিজেকে প্রতিবারের মতো এবারো মনে মনে তারিফ করছিল আর কি । কিন্তু খুশি খুশি হাসি হাসি ভাব টা আবার উদয় হল কেন ওপক্ষ’র । এই ব্যাপারটাই ওর অসহ্য লাগে । এই এক হয়েছে মোবাইল । এর দৌলতে যখন তখন বাংলার পাঁচের মতো মুখটা কেমন প্রস্ফুটিত গোলাপ , নাহ পদ্ম , নাহ বেলি , নাহ টগর , নাহ পাশের ঝোপের কাঁটা গাছটার হলুদ ফুলের মতো হয়ে ওঠে । এটা ও মেনে নিতে পারে না । প্যাঁচা মুখ দেখে পছন্দ হয়েছিল , প্রেমে পড়েছিল কিনা বোঝার আগেই সেই প্যাঁচামুখ এপক্ষের ঘাড়ে লাফিয়ে উঠে জাঁকিয়ে বসেছিল । ঝেড়ে ফেলার শত চেষ্টা বৃথা গেছে । তারপর সব পুরুষের যেমন সয়ে যায় সেরকম এপক্ষেরও সয়ে গেছিল আর কি । খুব একটা পাত্তা না দেওয়া গোছের করে ফেলে রাখলেই চলবে বুঝে গেছে । কিন্তু তা’বলে একটাই শর্ত প্যাঁচা মুখ প্যাঁচাই থাকতে হবে । ওটাই বেশ মানানসই বলে মনে হয় এপক্ষের । “বাপ মা বেছে বেছে উপযুক্ত নাম রেখেছে কিন্তু । পঞ্চকলা” । মুখে বাঁকা হাসি এপক্ষের ।
“বাপ মা মোটেও রাখেনি । রেখেছে দাদু” ।
“রসিক মানুষ” ।
আবার উজ্জ্বল মুখ টা পাঁচের মত হয়ে যায় ওপক্ষের । ‘সত্যি বাপু ওর দাদু আর নাম খুঁজে পাননি । পঞ্চকলা কারো নাম হয় !’ মনে মনে ভাবে ওপক্ষ । আবার কাঁদ কাঁদ মুখ ।
“কিন্তু কোন পাঁচকলা?” এপক্ষ জিজ্ঞেস করে ।
“জানিনা” ওপক্ষের সাফ জবাব । দাদু মরে যাওয়ার আগে বলে যাবেন বলেছিলেন । দিদাকে না কি বলে গেছেন । কিন্তু দিদা মারা যাওয়ার আগে অবধি ব্যাখ্যাটা বলেননি । পঞ্চকলা কতবার জিজ্ঞেস করেছে । একটা বড় কাঠের সিন্দুক দেখিয়ে দিদা বলেছেন “ওর মধ্যে আছে” । “মানে ? আমার নামের মানে ঐ সিন্দুকটার মধ্যে আছে ?” দিদা জবাব না দিয়ে আমসত্ত্ব শুকোনো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন । দিদা মারা যাওয়ার সময় সেই মস্ত সিন্দুকের এক ভারী পিতলের তালার এক মস্ত চাবি আঁচলের খুঁট থেকে খুলে পঞ্চকলার হাতে দিয়ে বলে যান “সময় এলে সিন্দুক খুলে নামের মানেটা দেখে নিও” । কিন্তু সময় কখন কিভাবে আসবে সেকথা জিজ্ঞেস করে পঞ্চকলা । দিদা বলেন “গঙ্গা জল মুখে দাও আমার দিদিভাই । আমি এবার যাওয়ার পথে । সময় এলে আপনি বুঝে যাবে, তখন নামের মানেখানা দেখে নিও” । গঙ্গা জল দেয় মুখে পঞ্চকলা । শান্তিতে চোখ বোজেন দিদিমা । সেই থেকে সিন্দুকের চাবি ওর কাছেই যে সিন্দুকে লুকিয়ে আছে ওর নামের মানে । কি জ্বালা । কখন সময় আসবে কে জানে । কি করেই বা ও তা বুঝবে । ততদিন ওকে এই নামের জ্বালা সহ্য করে যেতে হবে । ছোটতে ছেলেবন্ধুরা ওকে ‘পাঁচকলা কাঁচকলা’ বলে রাগানোর খুব চেষ্টা করলেও ও রাগ করত না । ও জানে খুব গভীর কোনো মানে আছে নিগঘাত । স্কুল পেরিয়ে কলেজ পেরিয়ে ইউনিভার্সিটি পেরিয়ে চাকরী অবধি জুটিয়ে ফেলল এই নাম নিয়েই । সবাই টেরিয়ে টেরিয়ে এঁকিয়ে বেঁকিয়ে কত কথাই না বলে ওকে । ও গ্রাহ্য করে না । খুব গম্ভীর ভাব করে নামের বিষয় টা এড়িয়ে যায় । কিন্তু সহ্য করতে পারেনা এপক্ষ’র ব্যঙ্গ বিদ্রূপটাই ।
“চৌষট্টি কলার পাঁচকলা ? না ষোলকলার পাঁচকলা?” আমুদে মুখে জিজ্ঞাসা এপক্ষের । এই ব্রহ্মাস্ত্রটাই ও শেষমেশ প্রয়োগ করে । ব্যস হাসি হাসি মুখ অমনি বাংলার বিখ্যাত পাঁচ । আহা এই পাঁচবদন খানার যেন তুলনা নেই । এপক্ষ’র ভারী পছন্দ এই বাংলার পাঁচ মার্কা মুখ খানা । বেশ রোমান্স জাগে ওর মনে । যদিও সেটা কিছুতেই বুঝতে দেয় না ওপক্ষকে । বুঝতে দিলে সব মাটি । আবার হাসি হাসি মুখ হয়ে যাবে । ওর সব রোমান্স উধাও আর কি । এদিকে ওপক্ষ অর্থাৎ পঞ্চকলার শুকনো গঙ্গায় ডুবে মরার রোমাঞ্চকর অনুভূতি উধাও । সবে ভাবতে শুরু করেছিল একটা সিনেমার মতো দৃশ্য । উজ্জ্বল হয়ে উঠছিল অপূর্ব কল্পনায় । কিন্তু সব মাটি করল ওর নাম ।
“জানিনা । সিন্দুকে রাখা আছে” ।
“হুঁ” ।
অসহ্য এই ‘হুঁ’ ‘উঁহু’ ‘ধুর’ । আর এগুলোই এপক্ষের সচরাচর সংলাপ ।
“তাহলে কি ঐ নামই ফাইনাল?” পাঁচের মতো মুখ করে জিজ্ঞেস করে ওপক্ষ । ওদের রোমান্সের নাম ।
“হুঁ । ‘মানে ধুর অথবা উঁহু’ ...”
কি আর করা । পঞ্চকলা গঙ্গা শুকোনোর আশা টা ছাড়তে রাজী নয় । কথায় বলে আশায় চাষা বাঁচে । গঙ্গা শুকোলে ও ডুবে মরবেই । এটাও ও ফাইনাল করে মনে মনে । ওদের রোমান্টিক প্রেমের এরকম বিদঘুটে নাম ও সারা জীবন বয়ে বেড়াবে না । একটা হেস্তনেস্ত করবেই। “নিজের নামের মানে টা না জেনেই ডুব দেওয়া টা কি ঠিক হবে?” এপক্ষের গলায় চাপা হাসি । থট রিডিং করার মতো বলে দেয় এপক্ষ । তাও তো ঠিক । সময় এলে সিন্দুক খুলে পঞ্চকলার মানে জেনে তবে শুকনো গঙ্গায় ডুবে মরতে হবে । কি ভয়ানক সংকট পঞ্চকলার আর কি । সিন্দুকে ওর নামের মানে রাখা । কবে সময় আসবে কে জানে । ততদিনে শুকনো গঙ্গা যদি আবার কানায় কানায় ভরে ওঠে তো মহা বিপদ । ডুব দিলে আর প্রাণে বাঁচবে না । এপক্ষ পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়েও আসবে না । নাহ পঞ্চকলার সাধ না মিটিল আশা না পুরিল ... তাহলে ঐ নামই মেনে নিতে হয় ওকে । ‘মানে ধুর অথবা উঁহু’ , ওদের রোমান্সের নাম । ফোঁসস করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে পঞ্চকলা । তারপর ধীরে ধীরে মেনে নিতে থাকে । তারপর মেনেও নেয় । তারপর ভাবতে থাকে এটাই দারুণ রোমান্টিক একটা নাম হল । সব রোমান্টিক গল্পের থেকে একেবারে আলাদা এক নাম । আহা কি রোমান্টিক প্রেম ওদের ‘মানে ধুর অথবা উঁহু’ । ধীরে ধীরে আবার প্রস্ফুটিত হয়ে উঠতে থাকে পঞ্চকলার মুখ , পাশের কাঁটা ঝোপের হলুদ ফুলের মতো । ব্যস সব শেষ। এপক্ষের সব রোমান্স মুহূর্তে খতম । এই প্রস্ফুটিত হাসি হাসি মুখ ওর মোটেই পছন্দের না । নতুন উপায় আবার ভাবতে হবে হাসি মুখ টা কে বাংলার পাঁচ কিভাবে বানানো যায় । আপাতত গঙ্গার ধার থেকে উঠে পড়ে পঞ্চকলা কে নিয়ে । সন্ধে হয়ে আসছে । এসময়টায় গঙ্গার ধার মোটেই ভালো লাগে না এপক্ষের । খটখটে দুপুর থাকতে এসেছিল । সেসময়টায় এপক্ষের বেশ রোমান্টিক লাগে । সবই ঠিকঠাক দান চালল । কিন্তু এ তো ওর শেয়ার মার্কেট নয় । শেয়ার মার্কেটের ওঠাপড়ার হিসেব এর থেকে ঢের ভালো । পঞ্চকলার হাসিমুখ পাঁচের মতো বানানোর চেষ্টা বৃথা । তবে সে চেষ্টা ছাড়লে তো আবার লাইফ থেকে রোমান্সটাই গায়েব হয়ে যাবে । এই সব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে হাঁটা লাগায় ওরা দুজন । ফেরার দিকে ।
গল্পের ওপক্ষের নাম তো পঞ্চকলা , জানাই হয়ে গেছে আমাদের এতক্ষণে । কিন্তু গল্পের এপক্ষের নামটা জানার আগেই গল্পটা শেষ হয়ে গেল । তা যায় যাক । শুরু হতে কতক্ষণ । তখন জেনে নেওয়া যাবেখন ।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন