ঐশী দত্ত



চেতনায় ভাষা


উদাসী সেতু পার হয়ে
যত দৃশ্যপট
পৃথিবীর ঘটনাপ্রবাহে চোখ রেখে
শুধু আদি দিগন্তে ছড়িয়ে দিয়েছিল
এক আলোময়ী গান

এক মঙ্গলময় ভোরের শান্তির অসীম সমুদ্রের
তৃষ্ণার্ত জলে যে দুপুরের রোদ হয়েছিল অস্তিত্ব রক্ষায় খোলা জানলা

শীতের গরম ভাত রেখে কাঁচা মরিচের বিশাল বুক পেরিয়ে যত বিক্ষুব্ধ সবুজ ঘাস রক্তাক্ত হয়ে ধ্বংস করেছিল শত্রুর গর্ভ ও হিংস্র সুযোগের নাভিটান;

বিরহী সুরের গোপন পালক জড়িয়ে মধ্যবিত্ত চামড়ায়  যে সন্ধ্যার গল্প  ছোট্ট এক চড়ুই পাখির বাসার খোঁজে  ঘাড় ঝুঁকিয়ে ঝুঁকিয়ে মাতাল করেছিল জোনাকির রাত  কেঁদেছিল অঝোরে বৃষ্টির মতন কয়েক পশলা

সংসারের পথ পাশকাটিয়ে বহ্মপুত্রের মনে পড়ে থাকা নৈঃশব্দগুলোকে দু'হাতে ধরে যে মেঘ হাসপাতালে মা কে রেখে রাওনা ইউনিয়নের খাল-বিল ভুলে শহরের রাজপথে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে দিয়ে  বুকে নিয়েছিল গুলি;

এইসব গল্প জানে কি সবাই?
প্রাণোচ্ছ্বল ঝরণা বা পৃথিবীর জলতল?
ফেসবুক টুইটার বা আমাজান জঙ্গল,
মানুষের চোখ নাক মুখ বা
মস্তিষ্কের সবুজ বনাঞ্চল?

ধ্যত না জানলে কেউ না জানুক!

বিশ্বের মানচিত্রে আছে এক গর্বের দেশ,
ভাষার জন্য যারা দিয়েছে প্রাণ
আছে তাঁর বোধ নিতে জানে শোধ
ঠিক জানে ঐসব পাক
বানচোদ।



কে তুমি


কে জ্বলে দূরের দেয়ালে
চোখ বুঝে যতদূর
কথার খেই কোন খেয়ালে
কই ভাসে চেনা সুর।

দেখ কোন পথ ভাসে জলে
কাদা পাঁকে বেশ ধার
জানি ঘর নেই তবু চলে
যার প্রেম দরকার।

বুক ভরতি শ্বাস নিয়ে
এত কার হাহাকার
ভোরের ডানায় আলো পেয়ে
কার গলায় চিত্কার।

যেই পথেই আজ আবার
সুর তাল লয় যায়
সেই পথই টের পায়
সবই তোমার তুমি কার?



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ