
বিদেহী
গল্পটা ঠিক এভাবেই শেষ হওয়ার ছিলো,
এটা সবাই জানতো...
চরিত্রহীন, বেহদ্দ মাতাল, তায় স্বেচ্ছাচারী, স্বৈরাচারী,
আরো যা যা রী
সব গা রি রি করে রিক্ত হওয়ায় কোনো বাধা নেই,
এক্কেবারে আগমার্কা ছোটলোক!
তাই এটাই স্বাভাবিক...
এক এক সময় মনে হতো বলি
"হারামজাদা'কে সরকারি স্যালাইন না চড়িয়ে দু বোতল বাংলা ঢোকাও,
শিরা মারফৎ, কাজে দেবে...
নাঙ্গা চাঙ্গা হয়ে যাবে"
কিন্তু বিধি-বাম!
অতএব গুটিকয় বাম-ডানের পর ছত্তিরিশ হাজার ভোল্ট,
আর বেশ কিছু কাঁচা টাকা খরচা করিয়ে আপদ বিদেয় তো হলো,
শুনে-দেখে তাই লেগেওছিলো;
সন্ধেবেলা, ওরই পাশ দিয়ে যাবার সময়
গল্প তার নতুন অধ্যায়ের কটা ছেঁড়া পাতা উড়িয়ে দিলো,
ব্যঙ্গ করে, মুখের ওপর!
একেক পাতায়
গঙ্গা জল, ঠাণ্ডা হওয়া ঝলসানো কাঠ, সোনালী বিকেল।
বাঁশে টাঙানো দড়িতে উড়তে থাকা জামায়
অবশিষ্ট হারামজাদা
পোড়া কাঠে বিড়ির আগুন খুঁজছে!
বিঠোভেনের ফিফথ্ সিম্ফনি
ঝমঝম করে বাজছে...
পথের পাঁচালি
Reviewed by Pd
on
মে ০৯, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
মে ০৯, ২০১৫
Rating:
কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন