
পথ
রবিঠাকুরের আলপথ ধরে হাঁটছি ... প্রবেশ করেছি উশ্রির হাঁটুজলে । সামুদ্রিক ওম ... রাখাল বালকের ... বালকিয়া হাসি । সেই সুরের ডানগালে উঠছে সূর্য । বাঁ তরফে ছোট্ট একটি গ্রাম । অপূর্ব সবুজ তার নাম । একটি পুতুল পুতুল মেয়ে , গায়ে সহজপাঠ জড়িয়ে রান্নাবাটি খেলছে । আকাশ তখন শিশু ... শ্যাম্লাপাড়ার উথালপাতাল বাতাস । রবিঠাকুরের ঝরাপাতারা সব দস্যিদামাল । উড়ে উড়ে জুড়ে বসছে ... এই যে ঘরভর্তি পুকুর , পুকুরভর্তি চাঁদ ... গোলাপগন্ধের শঙ্খ সবাই নাকি এসেছে সরাসরি মংপুগ্রহ থেকে ...
এই আলো মানুষের মত সুশোভন
এই মানুষ এক্কাদোক্কার মত সরল
এই সরলতা সিন্দুকের মত দু হাত ভরা
রবিঠাকুর দেখছি সোজাসুজি । এত সাদা যে কাছে গেলে মনে হয় শুকতারার মত সুদীর্ঘ এই পথ । শেষই হচ্ছে না , দূরে গেলে বুঝি , মাটির একতারা , বাউলবাঁশির জন্মদিন ... খয়েরি রঙের খোয়াই , বৃষ্টির ঝোলা লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে একাকার ... মুগ্ধতায় গলে যাচ্ছে পৃথিবী ...
রবিঠাকুর ধরে হাঁটছি ... সাম্নেই গানভুবনের পাঠশালা । ডান হাতে কুমোরপাড়া ...
আরেকটু এগোলেই রাঙামাটির জ্যোৎস্না ... মন ভুলিয়ে দেবে বলে বছরের পর বছর
গৃহস্থের অপেক্ষা করে আছে ...
রত্নদীপা দে ঘোষ
Reviewed by Pd
on
মে ০৯, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
মে ০৯, ২০১৫
Rating:
কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন