এই শূয়ার কা বাচ্চা
একবার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় গোপালের উপর কোন একটা কারণে খুব চটিয়া গিয়েছিলেন।তিনি রাগ সামলাইতে না পারিয়া বলিয়া উঠিলেন--এই শূয়ার কা বাচ্চা!
গোপাল কড়জোড়ে বলিল--হু্জুর মা-বাপ সব বলতেপারেন।
মহারাজ পালটা মূর্খের মতো গালি খাইয়া মুখ টিপিয়া হাসিলেন।
গোপালের স্বপ্ন দেখা
গোপালের গিন্নী রাতে গোপালের ধুম ভাঙ্গিয়ে বললো-ব্যাপার কী চশমা পরে ঘুমাচ্ছ কেন?
গোপাল নতুন চশমা নিয়েছে।খাপ্পা হয়ে বললো,চোখে ছানি পড়েছে,চশমা ছাড়া স্বপ্ন দেখবো কী করে?
গোপাল চাদর
গোপালের গিন্নী একটা শব্দ পেয়ে ছুটে গেছে গোপালের কাছে।
-কি হল? কিসের শব্দ?
গোপাল বলল,চাদরটা পড়ে গিয়েছিল।
-তাতেই এত শব্দ?
গোপাল বলল,আমিও যে চাদরের মধ্যে ছিলাম।
গোপালের রাম নাম
একদিন মহারাজ গোপালের সহিত বাগানে বেড়াইতে বেড়াইতে কৌতুকছলে গোপালকে জড়াইয়া ধরিয়া বলিলেন-আচ্ছা গোপাল,তুমি আমায় ছাড়িয়ে যাও দেখি।গোপাল কোন কথা না বলিয়া রাম নাম জপ করিতে লাগিল।
মহারাজ বলিলেন—ওকি গোপাল কি হচ্ছে?
গোপাল বলিল—রামনাম করছি।
মহারাজ বলিলেন—রামনাম করছ কেন?
গোপাল বলিল—মহারাজ দশার বাটার নাম শুনলে ভূত ছাড়ে আর আপনে ছাড়বেন না।
গোপালের সুসংবাদ
সুসংবাদ দিলে বকশিস পায় জেনে এক লোক গোপালকে হিয়ে বলল—তোমার জন্য খুব ভাল খবর আছে গোপাল।
--কী খবর?
--তোমার পাশের বাড়িতে পোলাও রান্না হচ্ছে।
--তাতে তোমার কী?
--তোমাকে সে পোলাও দেবে বলেছে।
--তাতে তোমার কী?
আলোটা জ্বেলেই দেখতে পার
একদিন মহারাজ গোপালকে বললেন—ওহে গোপাল! কাল খুব ভোরে দরবারে আসো একটা জরুরী পরামর্শ আছে,গোপাল সম্মতি জানিয়ে বাড়ি ফিরে এলো।
রাত্রে আহারাদির পর গোপাল স্ত্রীকে বলল—খুব ভোরে রাজ-বাড়ি যেতে হবে।সে যেনহ খুব ভোরে তাকে ডাকে দেয়।
দৈবক্রমে সেদিন খুব ভোরেই গোপালের ঘুম ভেঙ্গে গেল আপনা থেকেই।সে তখন স্ত্রীকে ধক্কা দিয়ে তুলে বলল—বাইরে বেরিয়ে দেখ তো সূর্য উঠলো কি না।
স্ত্রী চোখ ঘষতে ঘষতে বাইরে থেকে ঘুরে এশে বলল চারিদিকে অন্দ্বকার।কি করে সূর্য দেখব।
গোপাল বলল—অন্দ্বকারে যদি দেখতে না পাও,আলোটা জ্বেলে দেখলেই তো পার।
বিবি দিয়ে ধরে নিন
সেদিন রাজ-বাড়িতে কি একটা কাজ ছিল সেজন্য গোপাল খুব সেজে গুজে রাজসবায় গেল।তার পরণে শান্তিপুরী জরিদার ধুতি,গরদের জামা,গায়ে কাশ্মিরী শাল,পায়ে চকচকে পামসু,হাতে ছড়ি।
এই রকম পোষাক—পরিচ্ছেদে সেজে গোপাল রাজসবায় ঢুকতে যাবে হঠাৎ প্রধান প্রবেশ পথে একনজনের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল গোপালের । এই লোকটি গোপালকে দেখত পারতনা।সব সময় গোপালকে ঠকাবার চেষ্টা করত।সে গোপালকে এই রকম সেজে গুজে রাজসবায়
ঢুকতে দেখে বলল—কিরে গোপাল! তুই যে একবারে চিঁরে গোলাম সেজে এসেছিসরে!
গোপাল হাসতে হাসতে জবাব দিল—ঠিকই বলেছেন দাদা! তা চিঁড়ের গোলামকে আপনার বিবি দিয়ে ধরে নিন না।
মুখের মত জবাব পেয়ে লোকটি তাড়া তাড়ী সরে পড়ল।
সমগ্র গোপাল ভাঁড়
Reviewed by Pd
on
মার্চ ২৬, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
মার্চ ২৬, ২০১৫
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন