সাঈদা মিমি

পরিচিতি  









মানুষের মানুষ গল্পটা



নীরব জলের গায়ে সুপুরী বাকল; বানরকুমারযান, এত ঘন জল?
অনেক বিমুগ্ধ দিন ডুবে গেছে,
সাগরের এমন নির্জন কোনদিন চোখেও পড়েনি! জ্যোতিষের টিয়েপাখি
তিনটে কথাই ভালো বলে, কোন বেখেয়ালে
 
 শিখে গেছে প্রজ্ঞালোভী খিস্তিখেউড়!
আমার ভবিষ্যত বলো দু’কালদর্শী! "কিছু পথে হৃদয়ের চাঁই পড়ে আছে,
আরও কয়েক বাঁকে আত্মঘাতি শূল—“
 
 নিরাময় বুঝে নেই, খসে যায় মূল্যবান মাসের খরচ-- হঠাৎ
বিজ্ঞ টিয়া বলে ওঠে, আ-মলো ভাতারখাগি, লাঙপোষা বেতোমাগি...
নিবিড় বনের গানে এরকম বাক্যগীত নেই?
হতে পারে জ্যোতিষবাবার ঘরে নিত্য কলহ
 
 নিত্যকলহ এক বেচাইন বিস্ময়, গরীবের
ঘরে আছে, লোক জমায়েত... মুখোমুখি ফ্ল্যাটবাড়ি, কিসসা টা কি?
শিক্ষিত মরদ টানে বউয়ের রিবণ্ডিং চুল
মাগিটাও ঘুসি মারে মরদাঙ্গী ঝোপে! কুলটা
চোখের সাথে উৎকর্ণ কান, ঘর ঘর নাটকের উৎসুক দর্শক
বাতি নিভিয়ে দেখে বিনামূল্য খেল
 
বিনামূল্যে দেখা দেয় আরেক পাগল, দো’তরার ফেরিওয়ালা
নিখুঁত বাজায়, আমি বাজাতে গেলে
সুরেরা উধাও! আগে তো শিখবি বাপ? বুড়ো নেড়ে লোকটাই
ঠিক বলে যায়, শেখার আগেই আমি মমিশিক্ষক
 
মমিতে সুগন্ধি নেশা, মগজটা খুলে রাখা
বয়ামে জারক, দূর্লভ লিনেন আর রত্নভাণ্ডার-
পুরোনো মদের সাথে নতুন পেয়ালা মোহর লিপ্সায়
ঢাকা চোখ, বেশ তো এলিটমথ
দেখা ও ভাবার যন্ত্র খুলে রেখে গেছো! শ্রবণে পূর্ণমাত্রা
বুঝতে গেলেই অন্ধ ছেদো পোড়া মনি………..
 
মদের আসরে ছিলে তুমিই সম্রাট, তোমার ঔরস আজ
মুকুটনন্দন.. তুমি তাই জেনেছিলে, প্রার্থনাকক্ষের
কথা, নীলতারা ঢেকে দিচ্ছে নতুন আভাস--
তোমার শয়নঘরে তর্জমা পাঠ করে
রাক্ষসকুল, গর্ভধারণবার্তা… যদিও তোমার বীর্যে মহামান্য নেই
 
মহলের সব খোজা ক্লীব হবে? ইতিহাসে আড়াল করে ইতিহাসকেই- 
আড়ালের সত্যরূপ ড্রাকুলার মত,
সূর্যস্নানে তার বেজায় অরুচি, মেলাঙ্কলিক রাত চাঁদেরা যৌবন
ফিরে পেলে আমারও ইচ্ছে জাগে, নিষিদ্ধ
 
সাধের দিকে চোর সেজে যাই এই মনের ডাকাত ঘ্রাণের উৎস
চিনে তোমার পাড়ায়, নাবালক গাছটিকে
কোন পাপে মারবো সারঙ্গী? একতারা তুমি নাও আমি পাশে মন্দিরা হাতে
 
সম্ভোগ জমে যাক, পানপাত্রে আয়ুরস; চুম্বনের সুর, মাটির দেহকে
ঘিরে পাললিক ঘ্রাণ, এবার বৃষ্টি হবে
জমিতে ফসল, অন্যবারের মত পঙ্গপাল আর আসবেনা
 
আকালের যে বছরে লঙরখানার পাশে দিন কেটে গেছে
উপোসী নদীর কাছে জলও ছিলো না--
হঠাৎ পাহাড়ি ঢল! কাঁটাতার বারণ শোনেনি, বিভেদের চালাঘর
ডুবে মরেছিলো, আবার এমন হোক
 
পূন্য নদীর ঢল নেমে এসো শ্মশান বিরানে, আবার মিলিত হবো
ত্রিমোহনী ঘাটে, সরল বাক্য দিয়ে-
রহস্যের ধূপ ছায়াপথ, ছড়ানো শিউলির মত তারা আমাদের
পথ করে দেবে, রঙধনু জলসায় ঘুঙুরের
 
মগ্ন বিলাপ, একই পাত্রে দুজনের আয়ুষ্মতী শরাবে চুম্বন,
এভাবে দেখতে থাকি, স্বপ্নেরা করমুক্ত, চুপিচুপি তোমাকে জানাই ভালোবাসা,
ইচ্ছে হলে তুমিও কিনতে পারো একটা বাগান---
 
মৌচোর পতঙ্গেরা সবখানেই থাকে, পরজীবি, শুদ্ধতার মুখোমুখি?
কখনই নয়, তারা খুব কপচায় শুদ্ধতর বাণী, সেসবে নজর নেই
ওই শোনো বাজছে সানাই, পাগল প্রেমিক এক
বাজিয়ে চলছে,
সন্ন্যাসে মন ছিলো তবুও ঘরের টান ফেরানো গেলো না
 
হায় ঘর!চাবিটা হারিয়ে গেছে সিডরের রাতে,
চক্ষুজল সেই কবে বালির ঘূর্ণনে...
নিত্যপ্রেম? সাপুড়ের বিচিত্র ঝাঁপিতে উগরায় বিষ—
 
প্রেম আছে? কোটিতে একটা—
ঝরোখায় সংযোগ,আয়ুরেখা, অপার্থিব ঘোরে, আমি তাকে চাই
তালুর প্রতিটি রেখায় নিঃশব্দ নিয়তির মত,
আত্মার কক্ষপথে কয়েক আলোকবর্ষ দুরে, অনুভবে
 
প্রেরণার কুমারী দর্পণবাগান
মনোহারী ঋতুর বাতাসে ভরে আছে,
প্রত্যেক ঘ্রাণের সাথে সত্য ও মানুষের মানুষ গল্পটা..




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ