পড়ন্ত বিকালে নদীর উপর এই সেতুটায় এসে দাঁড়ালেই শরীরে কৈশোর ভর করে , শুধু উচ্ছলতাটুকু যে মেয়েটা সেতুর নীচ দিয়ে তিরতির করে বয়ে যাওয়া সুবর্ণরেখায় ভাসিয়েছে - সে কি আমি না আমার পূর্বজন্ম মনে করতে পারি না। নেমে নদীর পাড়ে এসে জলে ভেসে থাকা ছায়া ছুঁয়ে দেখি , সে আমি না আর কেউ ।
হঠাৎ করেই পটভূমি পাল্টে যায় । দৃষ্টিবিভ্রম ? নদীর পাড়ে জ্বলতে থাকা এক-আধটা চিতা আর কিছু শোকার্ত মানুষের ভিড় পেরিয়ে ভাঙা পাথুরে বাঁধটায় পৌঁছলেই দূরের ফুলডুংরি পাহাড়ের মাথায় আগের মতো সন্ধ্যা নামে। ও পাহাড় বেয়ে নদীর জলে নেমে এলেই আমি বাড়ি যাবো । বাঁধটার উপর পড়ে থাকা স্বপ্নগুলোকে কাগজের নৌকো করে রোজই ভাসাই নিরুদ্দেশে যাবে বলে ........ হাল নেই-পাল নেই নৌকো । ওরা ভয় পায় , বাঁধের গায়ে লেপ্টে থাকে ভিজে ।
আর এই সময়টাই আমার হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে । একটা ঘর ,বারান্দা , চেনামুখে অচেনা কিছু মানুষ আর আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা নিরর্থক কোনও সম্পর্ক জাল বিছায়। চেঁচিয়ে বলি, "চলে যাব।" শব্দগুলো প্রজাপতি হয়ে ব্যঙ্গ করে বলে , " যাও । রাজা ছাড়াও রাজ্য চলে ।তুমি তো কোন ছাড় !" কিছুতেই পারি না তবু । যত জাল কেটে বেরোতে চাই তত বেশি করে জড়িয়ে গিয়ে গুটিবদ্ধ স্থবিরতা ।
একদিন তো গুটি কাটবই। সেদিন একটা নৌকো হবো, হালহীন-পালহীন , হারিয়ে যাব এই সুবর্ণরেখার উজান বেয়ে কোনও পিছুটান না রেখে ।
![]() |
| ~ কবি পরিচিতি ~ |
সোনালী ব্যানার্জী
Reviewed by Pd
on
নভেম্বর ২১, ২০১৪
Rating:
Reviewed by Pd
on
নভেম্বর ২১, ২০১৪
Rating:



কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন