সুবোধ দাস

পরিচিতি 








অতিজীবিতের গান



১।

কে তুমি বাজাও ঐ নিপুণ একতারা!
শুনবে বলেই পাখিরা নীরব।
শিউলির কুঁড়িগুলি হেসে উঠতেই
খই-খই-শাদা।
আমি, তার বা তাদের---
ধনির ধ্বনিটি শুনি খিল...খিল...

টুং টাং বাজে ঐ একাকীর তার।
নক্ষত্র অবধি যায়।
তখনই তারারা দল বেধে নাইতে আসে জলে।
আকাশে তো একের পানে অন্যের
কেবলই চেয়ে থাকা:
এখানে অম্বুজাত নতোন্নত ঢেউয়ে
কত্ত ছেনাল! ঢলে পড়ে অন্যের গায়।
'উতল হাওয়া লাগল আমার গানের তরণীতে...'
'ছেনাল' কথাটি আমাদের গাঁ-ঘরের ঠাম্মাদিদানের
ঠোঁটে এত অমলিন ছিল! নাতনির দিকে তাই
ধেয়ে গেছে সোহাগশোভিত!
তারা আজ কে জানে কোথায়!

কে তুমি বাজাও ঐ নিবিড় একতারা?
বিল ব্যেপে আকাশের বেনারসী
ধোয়াপাখলার চিত্রভাষ...
চিত্রাভাসগুলি...
মিথ্যে ক'রে দাও?

তুমি পারো তাই---
এককের তানে
অযুতে জড়াও...

২।

মধুপুরে
অতিজীবিতের গান খড়কুটো হয়ে আসে
পাখিদের ঠোঁটে।

মধুপুরে
আমনের দুধে-ভরা-ধান আলে-বসা গ্রামীণবধূর
শিশুটিকে খোলামেলা স্তন্যদান দ্যাখে।

মধুপুরে
শাপলার ঋতু ভ্রমরেরা জানে।

মধুপুরে
মধুকীট
মাধুকরীকালে
পায়ে মাখে পরাগমিলন।

মধুপুরে
ডিম পাড়ে সাপ আর ফড়িঙের দল।

ব্যাপক জেনেছি:
শুধু আমাকেই
চলে যেতে হবে...



সুবোধ দাস সুবোধ দাস Reviewed by Pd on নভেম্বর ২১, ২০১৪ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.