![]() |
| পরিচিতি |
অতিজীবিতের গান
১।
কে তুমি বাজাও ঐ নিপুণ একতারা!
শুনবে বলেই পাখিরা নীরব।
শিউলির কুঁড়িগুলি হেসে উঠতেই
খই-খই-শাদা।
আমি, তার বা তাদের---
ধনির ধ্বনিটি শুনি খিল...খিল...
টুং টাং বাজে ঐ একাকীর তার।
নক্ষত্র অবধি যায়।
তখনই তারারা দল বেধে নাইতে আসে জলে।
আকাশে তো একের পানে অন্যের
কেবলই চেয়ে থাকা:
এখানে অম্বুজাত নতোন্নত ঢেউয়ে
কত্ত ছেনাল! ঢলে পড়ে অন্যের গায়।
'উতল হাওয়া লাগল আমার গানের তরণীতে...'
'ছেনাল' কথাটি আমাদের গাঁ-ঘরের ঠাম্মাদিদানের
ঠোঁটে এত অমলিন ছিল! নাতনির দিকে তাই
ধেয়ে গেছে সোহাগশোভিত!
তারা আজ কে জানে কোথায়!
কে তুমি বাজাও ঐ নিবিড় একতারা?
বিল ব্যেপে আকাশের বেনারসী
ধোয়াপাখলার চিত্রভাষ...
চিত্রাভাসগুলি...
মিথ্যে ক'রে দাও?
তুমি পারো তাই---
এককের তানে
অযুতে জড়াও...
২।
মধুপুরে
অতিজীবিতের গান খড়কুটো হয়ে আসে
পাখিদের ঠোঁটে।
মধুপুরে
আমনের দুধে-ভরা-ধান আলে-বসা গ্রামীণবধূর
শিশুটিকে খোলামেলা স্তন্যদান দ্যাখে।
মধুপুরে
শাপলার ঋতু ভ্রমরেরা জানে।
মধুপুরে
মধুকীট
মাধুকরীকালে
পায়ে মাখে পরাগমিলন।
মধুপুরে
ডিম পাড়ে সাপ আর ফড়িঙের দল।
ব্যাপক জেনেছি:
শুধু আমাকেই
চলে যেতে হবে...
সুবোধ দাস
Reviewed by Pd
on
নভেম্বর ২১, ২০১৪
Rating:
Reviewed by Pd
on
নভেম্বর ২১, ২০১৪
Rating:


কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন