ফারহানা খানম



সকাল ৮টায় ক্যাম্পাসে এসে রুমা অবাক হয়ে গেল সব বন্ধ বন্ধুরা কেউ নেই, মাঠে কড়ই গাছের নিচে কয়েকটা ছেলে মেয়ে আড্ডা দিচ্ছে মুখ চেনা কিন্তু নাম জানা নেই ওরা ল'2nd year এ ,রুমা ভাবলো ওদের গিয়ে জিজ্ঞেস করবে কলাপ্সিপেল গেটে তালা কেন এসময় শুনতে পেল তার পাশেই দুটো জুনিয়র মেয়ে রিতু আর শিউলি বলছে আপু আজ ছাত্রধর্মঘট ক্লাশ হবে না , কথাটা যে মিথ্যে নয় তা বোঝা গেল শহীদমিনার এর ওদিক থেকে একটা মিছিল যাচ্ছে, মাথার ওপর ঝকঝকে নীলাকাশ সোনালু ফুলগুলো বাতাসে দুলছে আজকের সকালটা খুব সুন্দর হয়ে ধরা দিল ওর চোখে। এখন বাসায় ফিরে যেতে মোটেও মন চাইছেনা কি করা যায় ? সোনালু ফুলের দিকে তাকিয়ে রইলো রুমা সিঁড়িতে বসে । 

এসময় অর্পা এসে দাঁড়ালো সামনে বলল ..  কি রে একা কেন ? 
----- দেখনা আজ যে ধর্মঘট জানিনাত এসে দেখি কেউ নেই। 
-----আরে তাই নাকি আমিও তো জানিনা তারমানে আজকের ইনকোর্স পরীক্ষাটা হচ্ছে না । 
-----কি করে হবে তালা বন্ধ দেখছিশ না ... 
----তাতো দেখতেই পাচ্ছি তবে কি না ভাল প্রিপারেশন ছিল দেখ কেউ একটু জানালো না আমাদের । 
----সেত আমার ছিল কে জানেবে রে? কেউ কি জানে আজ এই হবে ? 
----তুই কি রে রুমা ? ত্রপা ,শাহিন এরা হলে থাকে এরা রাতে জানাতে পারত না ? তাহলে আজ আর কষ্ট করে আসতাম না । 
----তা ঠিক তবে আমার কিন্তু বেশ লাগছে সকালটা কি সুন্দর আর ওই ফুলগুলো কি দারুন হলুদ বাতাসে দোল খাচ্ছে ! ----কিরে তুই কি কারো প্রেমে পড়েছিশ নাকি রে ? ক' দিন থেকে দেখছি কেমন উদাস উদাস 
----ধ্যাত! কি সব বলিশ তুই ! 

এসময় ত্রপা এসে পড়লো , এলো , শফিক ইশ্তিয়াক অনেকেই। ত্রপা কাছে আসতেই ওরা দুজন চেঁচিয়ে উঠলো ''এই তুই আমাদের জানালি না কেন আজ ছাত্র ধর্মঘট তাহলে এত পড়তাম না ।'' অর্পা বলল আমিতো আসতামই না । ত্রপা বলল ই জন্যেই ইচ্ছে করে বলিনি আজ সিনেমা দেখব আর আড্ডা দেব চল । ওরা তিন জন কার্জন হলের পুকুর ধারে গিয়ে বসে ঘাসে পা ডুবিয়ে গল্পে মেতে ওঠে । রুমার মনে পরে পাশের এই বিল্ডিঙটাই তো শহিদুল্লাহ হল এখানে শুভ্র থাকে , আর শুভ্রর রুম ঠিক সোজা ওপরেটা । রুমা ওদের দুজন কে বলল চল শুভ্রকে ডাকি । অর্পা জানতে চাইল কি করে ? রুমা বলল কেন ?এখানে দাঁড়িয়ে ওর নাম ধরে জোরে ডাকবো তাহলেই শুনতে পাবে ওত ওই রুমে থাকে বলেই সোজা জানালার দিকে আঙ্গুল তুলল । ত্রপা বেশ সাহসী আর স্মার্ট ও বলল ...

----চল তার চেয়ে রুমেই যাই ,রুমা বলল নারে আমি ছেলেদের হলে ঢুকবো না । 
---- অর্পা মিটিমিটি হাসছে ওর কোন কিছুতেই আপত্তি নেই আর ত্রপা হেসেই খুন বলল, ন্যাকামি করিশ নাতো কখনো যেন যাসনি না ?

 ----দুই একদিন তো গেছি তোদের সাথেই আজ ভালো লাগছে না ।ততক্ষনে ওরা এগিয়ে গেছে হলের দিকে জানালার ঠিক নিচে দাঁড়িয়ে জোরে ডাকল রুমা শুভ্রকে কয়েকবার ডেকেও কোন সাড়া না পেয়ে ভাবছে চলে যাবে না হলে যাবে ?এসময় একটি ছেলে গলা হেঁটে যেতে যেতে বলল সবাই ঘুমে কেউ শুনবে না ,তার চেয়ে আমি হলে যাচ্ছি নাম আর রুম নম্বর দিন ডেকে দিচ্ছি ।ওরা পড়লো বিপদে কারন রুম নম্বর জানা নেই । ত্রপা বলল ধুর! কি বোকা আমরা মোবাইলে রিং করলেই ত হয় । আরে তাইত এতক্ষন মনেই ছিল না মোবাইলের কথা । অর্পা ফোন দিল কয়েকবার চেষ্টার পর ঘুম কাতুরে গলায় শুভ্র কল রিসিভ করল । বলল কিরে এই সাত সকালে বিরক্ত করছিশ কেন ? অর্পা বলল তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিচে আয় আমরা নিচে অপেক্ষা করছি । শুভ্র এল তবে রেডি হয়ে নয় । এসেই বলল চল । অর্পা বলল কোথায় ? 

---কেন আমার রুমে এখানে কতক্ষন থাকবি তোরা ? ত্রপা বলল তুই আয় আমরা ততক্ষন আবীর আর সীমান্তকে ডাকি আজ সিনেমা দেখতে যাবো । 

----বেশ তবে চল রুমে গিয়েই ফোনে ডাকা যাবে ,এতক্ষন পর রুমা বলল আমি হলে যাবো না । 
----নে এখানে বসে থাক ! যতসব ঢং ! রেগে গেল অর্পা । অগত্যা রুমা রাজি হোল । শুভ্রর রুমটায় ওরা চার জন থাকে । এখন রুমে কেউ নেই , শুভ্র ওদের বসিয়ে রেখে ফ্রেশ হতে গেল ওরা শুভ্রর খাটে বসে ফোন দিচ্ছিল । এসময় তুহিন ভাই শুভ্রর রুমমেট নাস্তা সেরে রুমে এসে খুবই অবাক হলেন । ইনি ওদের ডিপার্টমেণ্ট এ পড়ে ওদের সিনিয়র ভাইয়া । 
----কি ব্যাপার সব জায়গায় বুঝি তিন বান্ধবী একসঙ্গেই যাও ? ত্রপা বলল ---হ্যাঁ সবাই আমাদের থ্রী মাস্কেটিআর্স বলে 
----আমি জানি বলল তুহিন । ওরা তিনজনও কম নয় বলল আমরাও জানি আপনি খুব ভাল গান করেন গান শুনবো এখন । 
----কি পাগল মেয়েগুলো এখন গান করবো ? এখানে সবার সমস্যা হবে যে ? রুমা বলল কিছু হবে ,কই শুরুকরুন ওই যে নবীন বরনে যে গানটা গাইলেন সেটা । কি সুন্দর যে গেয়েছিলেন সবাই চুপ করে গিয়েছিল একেবারে ! তুহিন বেশ উৎসাহ বোধ করলো একটু ভেবে নিয়ে গীটারটা বের করে আনলও তারপর শুরু করললো গান পাশের রুমের বাসিন্দারা যেন বিরক্ত না হয় এমন ধির লয়ের গান যদিও সুরটা চড়া '' নীল চাঁদোয়া ...আকাশটাকে আজ লাগছে যেন মাঝে মাঝে কিছু কিছু তারাগুলা বৃষ্টি ধোয়া ...এই গানটা শেষ হতেই হারমনিয়াম বাজিয়ে পুরনো দিনের আধুনিক গান শুরু করলো ''আমার হৃদয় নিয়ে আর কতকাল বল কাছে এসে দূরে দূরে থাকবে '' এই গানে বেশ সুন্দর গলা মেলাল রুমা । এরপর গাইল সোনার বরনী মেয়ে বল কার পথ চেয়ে ...এই গানটা শুনতে শুনতে রুমার মনে হল তুহিন যেন ওর উদ্দেশেই এই গানগুলো গাইছে ইসস ! এই দিনটা কি সুন্দর এত প্রাপ্তি অপেক্ষা করে ছিল ওর জন্যে ? তুহিন ভাবছে এই মেয়েটা কি সুন্দর সরল সহজ আর কি দারুন গায় এরকম একটা মুখের স্বপ্নই দেখে এসেছে সে এতকাল ! এসে পরেছে ওদের বন্ধুরা সীমান্ত বলল কিরে আজ নাকি সিনেমা দেখবি ? তো চল দেরী করলে ১২ টার শো মিস হবে 

... ওরা বেড়িয়ে পড়লো রুমার সিনেমা দেখার মুড ছিল না ও বাড়ি ফিরতে চাইল কিন্তু কেউ ছাড়ল না । বাড়ি এসেও ওর কেবলি তুহিনের কথা মনে পড়ছিল সারারাত একফোঁটাও ঘুম হয়নি ,কানে বাজছিল তুহিনের গানগুলো ...। সকালে ক্যাম্পাসে এসে প্রথমেই তুহিনকে খুঁজল । দেখল তুহিন সেমিনার রুমে বসে খাতায় কি যেন লিখছে আশে পাশে ওর বেশ কিছু বন্ধু বান্ধবী । রুমা কিছু না বলে বেড়িয়ে এলো একটু পর ক্লাস শুরু হবে ও বারান্দায় এসে দাঁড়ালো দেখল নিচে রিক্সা থেকে নামছে অর্পা । কখন যে তুহিন পাশে এসে দাঁড়িয়েছে খেয়াল করেনি সে তুহিন বলল আগামী ২ তারিখে টি এস সি তে একটা অনুষ্ঠান আছে ওখানে তুমি আমার সাথে ডুয়েট গাইবে ? 

--- ২ তারিখে কখন অনুষ্ঠান ?কি গান গাইবো ?
 ----বিকেলে, আর কি গান সেটা কাল সিলেকশন করে তোমাকে বলবো । 
----তাহলে ত সমস্যা আমার বাসা দূরে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হবে আমি একা কি করে যাব ? 
---ওসব ভেব না বড় হয়েছ একা যেতে পারনা ? 
----না আমি একা কখনই যাইনা হয় বাসা থেকে গাড়ি আসে নয় ইউনিভার্সিটি বাসে যাই । ওই দিন কোনটাই থাকবে না কারন ছুটির দিন । 
----বেশ আমি তোমাকে পৌঁছে দেব রাজী ? 
----কিন্তু ... বুঝেছি বাসায় সমস্যা হবে বেশ আমি একটু দূরে নামিয়ে দিয়ে চলে আসবো আর তুমি কিছু একটা বলে ম্যানেজ কোর । রুমা আর কিছু বলে না মাথা ঝাকিয়ে সায় দেয় ও আসবে । তুহিন বলল তোমার সেল নম্বরটা দাওত । রুমা ক্লাসে চলে গেল কিন্তু ওর মনটা অকারনেই খুব খারাপ হয়ে গেল । এতোটা নির্লিপ্ততা আশা করেনি তুহিনের কাছ থেকে , আবার ভাবল ও যেমন ভাবছে তুহিন এরকমতো নাও ভাবতে পারে ।এ নিয়ে কষ্ট পাচ্ছে কেন সে ? নিজেকে সামলে নেয়ার চেষ্টা করল রুমা তবুও মন যেন কিছুই মানতে চাইছেনা । বিকেলে বাড়ি ফিরতেই মা বললেন রুমা খেয়ে একটু ঘুমিয়ে নে বিকেলে কিছু গেস্ট আসবেন । রুমা অবাক হল খুব গেস্ট আসার সাথে তার আর ঘুমের সম্পর্ক টা কি ? ও জানতে চাইলো মা ঘুমাতে হবে কেন বলত ? মা বললেন মুখটা তোমার খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে ঘুমালে ফ্রেশ দেখাবে আর বিকেলে ওনারা আসবেন তোমাকে দেখতে , তোমার টেবিলে ছেলের ছবি আর বাইও -ডাটা রাখা আছে দেখে নিও । 

রুমা অবাক হয়ে বলল এখনই বিয়ে ? তোমরা কি জোর করে আমার বিয়ে দেবে মা ? মা হেসে বললেন বোকা মেয়ে জোর করবো কেন? দেখলেই কি বিয়ে হয় ? তুই রাজী না হলে কিছুই হবে না তবুও বড় হয়েছিশ বিয়ে দিতে হবে না ? যা খেয়ে ছবিটা দেখ গিয়ে । রুমা ঘরে চলে এল ,ওর আর কিছুই ভাল লাগছে না কি করবে সে ? মনে হচ্ছে এই ছেলেকে মা- বাবার খুবই পছন্দ মা এখন যাই বলুক পরে ঠিক জোর করবেন । কি করবে ও এখন ? ও তুহিনকে এত ভালবেসে ফেলেছে যে অন্য পাত্রের সামনে দাঁড়াতে পারবে না কিছুতেই । তবুও বাবা এসে যখন ডাকলেন রুমা গেল ওনাদের সামনে উত্তর দিল সব প্রশ্নের । মাঝরাতে ওর ঘুম ভেঙ্গে গেল উঠে বারান্দায় দাঁড়ালো সেল ফোনটা নিল সাথে গান শুনবে বলে ...সেলে একটা অজানা নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে রাত ১ টায় লেখা আছে তোমার মুখটা মনে পড়ছে ঘুম আসছে না ,তুমি ঘুমিয়েছ কি ? রুমার বুকের ভেতর তখন দামামা বাজছে কে হতে পারে ইনি ?

ও ভেবেই পেল না কে লিখেছে এই মেসেজ? তাই আর কোন উত্তরও দিল না বসে বসে গান শুনতে লাগলো '' ''...উদাসি পাখি কাঁদে শুন্যতায় এমন সময় হঠাৎ প্রশ্ন জাগে আর কতকাল খুঁজবো তোমায় ...।'' সকালে ক্যাম্পাসে গেল না রুমা শরীর খুব খারাপ লাগছিল ওর মনে পড়লো কাল দুই তারিখ তুহিনভাই কিছু জানান নি কোন গানটা গাইত হবে ...ওর সেল ফোনটা বেজে উঠলো শুভ্রর ফোন কিন্তু একি ! শুভ্র নয় বলিষ্ঠ কণ্ঠ বলে ঊঠলো রুমা কাল আমরা গাইবো যেটুকু সময় তুমি কাছে থাক '' এটা প্র্যাকটিস কোর । ২ তারিখ বিকেলে রুমা সাজগোজ করে যখন বের হচ্ছে মা বললেন

 ----কোথায় যাচ্ছিস ? জানিশ ওদের তোকে খুব পছন্দ হয়েছে ।
হবে না আমার মেয়ে কি ফেলনা ? রুমা ওই প্রসঙ্গে কিছু না বলে ,বলল মা আমার আজ একটা প্রোগ্রাম আছে ফিরতে সন্ধ্যা হবে । মা বললেন তুই কবে থেকে প্রোগ্রাম করিসরে ? আর যাবিই যদি বলিশ নি কেন ড্রাইভারকে ছাড়তাম না গাড়ি নিয়ে যেতে পারতি ।

রুমা বলল ---- প্রোগ্রাম মানে আমদের ডিপার্টমেন্ট এর অনুষ্ঠান আর গাড়ি দরকার নেই মা । আমি পাশে সীমান্ত থাকে ওর সাথে ফিরব । কিন্তু মালেকা বেগম শান্ত হলেন না বললেন যখন তখন যে সে ছেলেপেলের সাথে ঢলাঢলি আমি পছন্দ করিনা রুমা । কথাটা খুব কুৎসিত শোনালো যেন, রুমার অন্তত তাই মনে হল । এসময় বাবা এসে মাকে বললেন তুমি বাড়াবাড়ি করোনা ওকে যেতে দাও ওর দেরী হচ্ছে । প্রোগ্রাম যখন শেষ হোল তখন সন্ধ্যা উৎরে গেছে শুধু একটা ডুয়েট নয় ওকেও ২ টা একক গান গাইতে হয়েছে আজ ,সবাই খুব প্রসংসা করেছে ওর গান শুনে তাই মনটা খুবই ভাল ।কিন্তু যখনই মনে পড়ছে মার কথাগুলো তখনই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে । অনুষ্ঠানে শুভ্র আর ত্রপাও ছিল ওরা জানতে চাইল কি হয়েছে ? রুমা পরে বলবো বলে কাটিয়ে দিল । ওরা যখন রাস্তায় তখন রাত প্রায় ৮ টা বাজে , রিক্সায় ওরা দুজন তুহিন বলল তুমি মেসেজ এর উত্তর দিলে না যে ? রুমা সে কথার উত্তর না দিয়ে বলল জানেন মা আমার বিয়ে ঠিক করছে ছেলে পক্ষ দেখে গেছে সেদিন ওদের খুব পছন্দ হয়েছে আমাকে । স্ট্রিট লাইটের আলোয় রুমা দেখল তুহিনের মুখটা কেমন করুন দেখাচ্ছে কেউ যেন কালি ঢেলে দিয়েছে মুখে । 

-----আর তোমার? তুমি কি এই বিয়েতে রাজী ? রুমা চুপ করে রইল তুহিন মরিয়া হয়ে বলে উঠলো , 
---চুপ থেক না রুমা বল তোমার কথার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে । আস্তে করে রুমা বলল না আমি রাজী নই। হাসি ফুটল তুহিনের ঠোঁটে রুমার হাত ধরে বলল আমার আর কিছুতেই ভয় নেই ।তুমি ভয় পেও না আমি আছি ।

রাত সাড়ে আটটায় বাড়ি ফিরে রুমাকে পড়তে হল মায়ের সামনে কিন্তু ও আজ নির্ভিক , স্পষ্ট বলল মা আমি এখন বিয়ে করবো না বিয়েতে আমার মত নেই । ফুরফুরে মন্ নিয়ে তুহিন তখন ফিরে যাচ্ছে গন্তব্যের দিকে ...।


~ লেখক পরিচিতি ~ 

ফারহানা খানম ফারহানা খানম Reviewed by Pd on সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.