নিবেদিতা ঘোষ মার্জিত / শাসক বদলায়… শাসন বদলায় না

নিবেদিতা ঘোষ মার্জিত / শাসক বদলায়… শাসন বদলায় না।

শাসক বদলায়… শাসন বদলায় না। একজন সাধারন,স্বাভাবিক, নাগরিকের অকারণ নৃশংস মৃত্যু কে তাই মেনে নিলে খুব অন্যায় হবে। বারে বারে ভ্রম হয়, এই যুদ্ধ কি তাহলে পুরুষ বনাম নারীর নাকি অন্য কিছু… কারন যে ছেলের মাকে অত্যাচার করা হয়, যে পিতার কন্যার দেহ মাঝামাঝি ছিঁড়ে যায়, যে ভাইয়ের সামনে বোনের সম্ভ্রম নষ্ট হয়, যে প্রেমিকের প্রিয়া কে ছিঁড়ে খুঁড়ে শেষ করে দেওয়া হয়… সে পুরুষের কষ্ট নিয়ে,জ্বালা নিয়ে খুব একটা তাকিয়ে দেখা হয় না…।যদিও হিন্দি সিনেমা আজ অব্ধি দেখাতে পারল না, রেপ হয়ে যাওয়া কন্যা কে সাদরে পুরুষ গ্রহন করছে। তবু আশা করি।সব এক দিন সুন্দর হবে।

আজকাল কবিতা লিখি না আমি। কবিতা লিখতে গেলে খুব লজ্জা হয়। কারন কবিতা লেখা খুব গভীর কাজ। তবু কবিতা এল। একটি মেয়ে যুদ্ধে গেলে সে ঠিক কি কি করবে।

“ আমি যখন যুদ্ধে যাব, মাথায় পরব স্বর্ণ চাঁপার মালা।
ঠোঁটে লাগাব ডালিম ফলের রঙ।
যদি পরাজিত করি তোমায়,
রক্ত মাংসের গন্ধ এড়িয়ে আমি চাঁপার গন্ধ নেবো,
আর যদি আমার মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দাও
… দেখবে মাটিতে পড়ে থাকবে চাঁপার মালা,
মৃত্যুর পূর্বেও আমি প্রেমের জন্যে কিংবা পূজার জন্যে প্রস্তুত।”

এই ধরনের একটা লিখলাম।আমার বহু দিনের জানার ইচ্ছে।আজকের সামরিক দক্ষতায় গড়ে ওঠা মেয়েরা যদি কোন ড্রেস কোড এর বন্ধন না পায় তাহলে কি করবে। যুদ্ধ করতে গেলেও মেয়েরা কি সেজে গুজে যাবে? এই সব হিজিবিজি ভাবনা। কে জানে?কেন কি জানি আমার কেবল মনে হয় একটু বয়স হয়েছে যাদের সেই মাসি, পিসি জেঠিমা রা যুদ্ধ অস্ত্রের পাশে চকলেট,ভুজিয়ার প্যাকেট সাথে নেবে,কারো যদি খিদে পায়।

ব্যাগের মধ্যে ভয়ংকর সব গুলিগোলার পাশে বোরলীন, নেল কাটার,ছুঁচ সুতো আর ঊনকোটি পঁয়ষট্টি জিনিস। এক দিদি কে চিনি সে বেড়াতে যাবার সময়,একটা ছোট্ট শিশিতে ফিনাইল নিত। পাবলিক টয়লেট পরিস্কার করে ব্যবহার করার জন্যে।যুদ্ধ বিরতি তে কোন আওয়াজ না করে উল কাঁটাও বুনতে পারে। লাল,হলুদ,সবুজ উল দিয়ে। কুরুশ দিয়ে দ্রুত হাতে বুনে নিতে পারে মাফলার। কিংবা খুকুর জন্যে পমপম দেওয়া টুপি। যাই হোক, যোদ্ধাদের সাথে এগুলো ঠিক যায় না।তাই তো! আমাদের দেশের লক্ষ্মীবাঈ নেহাত যোদ্ধা কি বলেন। আজকে তাই সেই সব যোদ্ধা আর যুদ্ধ গুলো কে দেখতে ইচ্ছা করছে।

ইতিহাসে এক মহিলা স্নাইপার এর নাম পেলাম লিউডমিলা মিখাইলোভনা পাভলিচেনকো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রেড
আর্মির একজন সোভিয়েত স্নাইপার ছিলেন। ৩০৯ জন শত্রু যোদ্ধাকে হত্যা করার জন্য তাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। আমাদের দেশে বেশ কিছু মহিলা বেশ দক্ষতার সাথে দুষ্কৃতী দমন করেন।যেমন, আসাম রাইফেলের সংযুক্তা পরাশর, জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীরে শাহেদা পারভীন গাঙ্গুলী প্রভৃতিরা। মোদ্দা কথা

‘রণচণ্ডী’ রুপে মেয়েদের দরকার আছে। ঠিক যেমন গায়ক পুরুষ, সেবাব্রত পুরুষ, অন্যের কষ্ট দেখে কেঁদে ফেলা পুরুষ –খুব প্রয়োজন। আসলে কি ব্যাপার বলুন তো, আমাদের এই যে আবেগ গুলো আছে, সে গুলো সব কটায়, প্রয়োগ কোথায় হচ্ছে, তার ওপরে ঠিক না ভুল নির্ভর করে। যুদ্ধ না হলে প্রবলের হাত থেকে সুন্দর কে, আর দুর্বল কে, রক্ষা করব কি করে? আর অন্যের কষ্ট না বুঝলে, অন্যের কষ্টে কষ্ট না পেলে বুদ্ধিমান হব কি করে? আমরা একটা প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই প্রতিবাদ ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে, সাধারণের স্বাভাবিক নিরাপত্তা হীনতার বিরুদ্ধে। শাসক বদলালেও, শাসনের অভ্যাস বদলায় না।এই সত্য বুঝে এক নিরন্তর প্রতিবাদের জন্যে প্রস্তুত হতেই হবে।

মনোরমার কথা মনে আছে? মণিপুরের মনোরমা! সর্বোচ্চ আদালত সরকারকে তাঁর পরিবার কে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছিল।মনোরমার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা। আদালতে মামলাটি শুনানির জন্য গৃহীত হয়। এটিকে আংশিক বিজয়ের একটি হিসাবে দেখা হয়েছিল, তবে সন্দেহটি অতীতের মতোই রয়ে গেছে, AFSPA এর শিকারদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু আদালত শাস্তি প্রদানের জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো রায় দিতে পারেনি। মনোরমার জন্যে মণিপুরের মায়েদের সেই প্রতিবাদ…

হাত পা শিরশির করে ভাবলে। মনোরমার যোনিতে বেশ কয়েক টা গুলি করা হয় যাতে অত্যাচারীর কোন প্রমান না থাকে।15 আগস্ট 2022-এ, বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত এগারো ব্যক্তিকে গুজরাট সরকার গোধরা জেল থেকে মুক্তি দেয়। ধর্ষকদের শাস্তি প্রদানকারী বিচারক বলেছেন যে দ্রুত মুক্তি গুজরাট সরকারের একটি খারাপ নজির স্থাপন করেছে এবং সতর্ক করে দিয়েছিল যে এই পদক্ষেপের ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

যে প্যানেলটি শাস্তি মকুব মঞ্জুর করেছিল তাতে বিজেপির দুইজন বিধায়ক অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেটি সেই সময়ে রাজ্য সরকার
ছিল, প্রাক্তন বিজেপি গোধরা পৌর কাউন্সিলর এবং একজন বিজেপি মহিলা শাখার সদস্য। একজন বিজেপি বিধায়ক,
প্যানেলিস্টদের একজন, বলেছেন যে দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে কিছু "ব্রাহ্মণ" ; ভাল "সংস্কার" বা মূল্যবোধের অধিকারী। যিনি গনধর্ষণে যুক্ত থাকেন আর স্বাভাবিক ভাবেন এই কাজ কে তিনি ভালো সংস্কার ধারণ করেন?জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাদের মিষ্টি দিয়ে বরণ করা হয় এবং তাদের পা ছুঁয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।শাস্তি মকুবের দুই দিন পর, বিলকিস বানো তার ধর্ষকদের মুক্তিতে তার দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি জারি করে, এই দোষীদের মুক্তি আমার থেকে আমার শান্তি কেড়ে নিয়েছে এবং ন্যায়বিচারের প্রতি আমার বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিয়েছে। শাসনের ক্ষমতা থাকলেই শাসক ধর্ষণ জাতীয় ঘটনা কে লঘু করে: দেয়। 18 আগস্ট 2022-এ, কর্মী, বিশিষ্ট লেখক, ইতিহাসবিদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সাংবাদিক এবং প্রাক্তন আমলা সহ প্রায় 6,000 স্বাক্ষরকারী, ধর্ষকদের দ্রুত মুক্তি প্রত্যাহার করার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছিলেন।কয়েকদিন পরে, সুপ্রিম কোর্ট 11 জন দোষীর মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের দিকে নজর দিতে সম্মত হয়। ভারতের প্রধান বিচারপতি এন.ভি. রামানা, বিচারপতি অজয় ​​রাস্তোগি এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ অবশ্য দোষীদের শাস্তি মকুবের বিষয়ে আইনি বাধার বিষয়ে একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল।8 জানুয়ারী 2024-এ, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে গুজরাট সরকার এই শাস্তি মকুব মঞ্জুর করতে সক্ষম নয় কারণ মকুবটি শুধুমাত্র সেই রাজ্যের সরকার দ্বারা মঞ্জুর করা যেতে পারে যেখানে বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেমন মহারাষ্ট্র। আদালত 2022 সালের আগস্টে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত 11 জনকে মঞ্জুর করা মকুব বাতিল করে। আদালত তাদের ১৫ দিনের মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।

২০২২ /২৩ শে ইরানে মাশা আমিনি প্রতিবাদ। বাধ্যতা মুলক হিজাব পরা নিয়ে বিরাট জনরোষ এটা কেবল মেয়েদের নয়, পুরো দেশটাকে বদলে দিল। সরকারি মানদণ্ড অনুযায়ী হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের সরকারের ধর্মীয় নৈতিকতা পুলিশ গাইডেন্স পেট্রোল মাহশা আমিনীকে গ্রেফতার করেছিল। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের আইন প্রয়োগকারী দের মতে যে একটি থানায় তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়, তিনি মেঝেতে পড়ে যান ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে কোমায় পড়েছিলেন। যাইহোক, প্রত্যক্ষদর্শীরা, যে সব মেয়েদের সাথে মাহশা আমিনীর আটক ছিল, তারা জানিয়েছিল যে তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছিল এবং;পুলিশের নৃশংসতা (পাতার অস্তিত্ব নেই) পুলিশের বর্বরতার ফলে তার মৃত্যু হয়েছিল, যা ইরানি কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছিল। পুলিশের বর্বরতার অভিযোগ, ফাঁস হওয়া মেডিকেল স্ক্যান ছাড়াও, কিছু পর্যবেক্ষক বিশ্বাস করেন যে গ্রেপ্তারের পর মাথায় আঘাত পাওয়ায় কারণে মাহশা আমিনীর ।ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণ সেরিব্রাল রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক হয়েছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সমগ্র দেশে জুড়ে ঘটেচলা বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৪৭৬ জন নিহত হয়েছিল।অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছিল যে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী কিছু ক্ষেত্রে কার্যকরী গোলাবারুদ দিয়ে দলে দলে বিভক্ত হয়ে গুলি চালিয়েছিল, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল।তারপর! দেশ ঘাড় ধরে শাসক বদলে ফেলেছে।

1911 সালে ভারতে তখন ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের দাপটে কলকাতা থেকে রাজধানী নিয়ে গেল দিল্লীতে। সেই বছর 25 মার্চ, নিউইয়র্কের গ্রিনউইচ ভিলেজে মহিলাদের পোশাক বানানোর ট্রায়াঙ্গেল শার্টওয়াইস্ট ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে যায়। শ্রমিকদের বিরতি নেওয়া বা চুরি করা থেকে বিরত রাখতে এটির মালিকদের সিঁড়ির দরজা এবং প্রস্থানের দরজা লক করার অভ্যাস ছিল, এবং এর অর্থ হল পালানোর পথের অভাবে 146 জন কর্মচারী মারা গিয়েছিল - তাদের মধ্যে 123 জন মহিলা।

অমানবিক কাজের পরিবেশের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ এবং প্রতিবাদের ফলে 100,000 লোক নিহতদের স্মরণে মিছিল করে।এর ফলে শেষ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল লেডিস গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্যপদ বৃদ্ধি পায়, যা মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়ন।

নাইজেরিয়া দেশে ১৯২৯ সালে একটা মেয়েদের আন্দোলন হয়।প্রায় ৫৫ জন সেই রায়টে মারা যায়। সে সময় ব্রিটিশ কলোনী ছিল নাইজেরিয়া। প্রায় ছয়টি আদিবাসী জাতি ছিল-Lgbo,Lbibio,Andoni,ogoni প্রভৃতি রা।আবা (aba) মেয়েরা ছিল lgbo দের স্বাধীন মহিলা। তাঁরা তাঁদের পুরনো উপজাতীয় প্রথা অনুযায়ী অর্থনৈতিক নানান সুবিধা ভোগ করত। 

1929 সালের আর্থিক বিপর্যয় নারীদের ব্যবসা ও উৎপাদনের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল তাই তারা ঔপনিবেশিক
সরকারের কাছে আশ্বাস চেয়েছিল যে তাদের কর দিতে হবে না। তাদের রাজনৈতিক দাবিতে স্থবিরতার সম্মুখীন হয়ে,
মহিলারা মীমাংসা করে যে তারা কর দেবে না এবং তাদের সম্পত্তির মূল্যায়নও করবে না।যেমন একটি ঘটনার বরণ পাওয়া যায়।18 নভেম্বর সকালে, এমেরিউওয়া নোয়ানেরেউয়ার বাড়িতে এক ব্রিটিশ কর্মচারী যান, যেহেতু তার স্বামী ওজিম ইতিমধ্যেই মারা গেছে। তিনি বিধবাকে বলেছিলেন তার ছাগল, ভেড়া এবং মানুষ গণনা করতে। যেহেতু নোয়ানেরেউয়ার এর অর্থ বুঝতে পেরেছিল, এগুলির মধ্যে কতগুলি জিনিস আপনার কাছে আছে তাই আমরা সেগুলির উপর ভিত্তি করে আপনাকে ট্যাক্স করতে পারি, সে রেগে গেল। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন আপনার বিধবা মাকে কি গণনা করা হয়েছিল?

যার অর্থ হল প্রথাগত ইগবো সমাজে মহিলারা ট্যাক্স দেয় না।নোয়ানেরেউয়ার শহরের স্কোয়ারে গিয়েছিলেন ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করার জন্য অন্যান্য মহিলাদের সাথে যারা মহিলাদের ট্যাক্সের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি সভা করছেন৷ নওয়ানেরুয়ার এই কথার উপর ভিত্তি করে তাদের উপর কর আরোপ করা হবে বলে বিশ্বাস করে, ওলোকো মহিলারা বেন্দে জেলার অন্যান্য অঞ্চলের পাশাপাশি উমুয়াহিয়া এবং এনগওয়া থেকে অন্যান্য মহিলাদের (পাম-অয়েল গাছের পাতা পাঠিয়ে)  মন্ত্রণ জানায়। তারা প্রায় 10,000 মহিলাকে জড়ো করেছিল। আমাদের যেমন ধর্না চলে তেমনি, ইগবো পদ্ধতিকে তাঁদের আন্দোলন চলে। এই ইগবো প্রথা আসলে, নাচ, গান এবং প্রতীকী ক্রিয়াকলাপ যেমন দেয়ালে আঘাত করা বা ছাদের খোসা অপসারণের মাধ্যমে অভিযোগ প্রকাশ করার জন্য। এই নিয়ে আন্দোলন প্রবল আকার ধারন করে। প্রায় ৫৫ জন মহিলা ব্রিটিশ বন্দুকের গুলিতে প্রান দেয়।

মহাকাব্যিক একটি প্রতিবাদ দেখতে পাই আমরা, স্বয়ং ঈশ্বর কে মা গান্ধারী , কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ সম্পাদন করার জন্যে দায়ী করছেন। এই যুদ্ধ ভগবান থামাতে পারতেন, তা তিনি করেন নি। বহু প্রতিবাদ আছে, বহু কষ্ট, বহু অন্যায়… তবুও মেয়েরা স্নেহ নিয়ে, সেবা নিয়ে,প্রেম নিয়ে সভ্যতা গড়ে তোলার জন্যে অপেক্ষা করে।

নিজে নারী বলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে, তাহলে কি প্রতিবাদটায় জীবন। মন ,বুদ্ধি বলে শান্তির কথা বলে। শান্তি হলে সৃষ্টি বাঁচে,মানুষ স্বস্তি পায়। সেই জন্যে এত প্রতিবাদের ঘটনা ইতিহাসে জ্বল জ্বল করলেও , শান্তি প্রবণতা কি করে গড়ে তোলা যায় তা খুঁজতে হয়।প্রতিবাদ শান্ত হোক, প্রচুর মানুষ এর পাশে আসুন। কথা হোক, কি করে আমরা ভালো থাকব, ভাল মানুষ, মানবিক মানুষ হয়ে থাকব।সেই কারনেই আমাদের বোধ হয় সময় এসেছে, ক্ষমতার স্তাবকতা করার চেয়ে, সুবিধা নিয়ে পাশ কাটিয়ে পালিয়ে যাবার চেয়ে, কিছু অসুবিধা ভোগ করা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. ভালো লেখা। শাসক বদলায়, শাসন বদলায় না। হক কথা।

    উত্তরমুছুন
  2. হুম সরকার পরিবর্তন হয়, ক্ষমতার বদল হয়, এক শাসক যায়, আরেক শাসক আসে। কিন্তু আমাদের শাসন আর স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয়না…

    উত্তরমুছুন

সুচিন্তিত মতামত দিন