" টেন মিনিটস মোর। ... ডেস্টিনেশন সাউথ পোল অফ মুন!" বলে নীলুদা।
ঢাকের শব্দ শুনতে পেলাম আমি। ভীষণ জোরে ঢাক বাজাচ্ছে কারা যেনো। হয়তো উৎসব। হয়তো উল্লাস। ভীষণ যৌনতৃপ্তির চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হয়তো বা।হতেই পারে যেকোন একটি। দুটি। বা সব কয়টি।
" বুঝলি, এইবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে যাব। এই মহাবিশ্বে আমরাই প্রথম। উই দ্যা ইন্ডিয়ানস। রিয়ালি আই অ্যাম প্রাউড ফর দ্যাট!"
নীলুদার মতোই বললো নীলুদা। হাসির সহস্র অভ্র কুচি উড়ে বেড়াচ্ছে মুখে। আনন্দের প্রতিভাস। খানিক পরেই চাঁদের পথে পারি দেবে "চন্দ্রযান-তিন।" শুরু হবে কাউন্ট ডাউন। এমন একটা হিস্টরিকাল মোমেন্টের লাইভ টেলিকাস্ট হবে। " চলে আয়, একসঙ্গে ..." আমাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়েছে নীলুদা। অনিচ্ছা স্বত্বেও আসতে হয়েছে আমাকে। নীলুদাকে এড়িয়ে যাওয়া মুস্কিল।
মনটা ভালো নেই কয়দিন ধরে। কারণ দুই জন মহিলা। ভুল বললাম। দুই জন বিবস্ত্র মহিলা। সংযোজন সামান্য। সঙ্গে আর কয়েকজন পুরুষ। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সবাই দেখেছে সবটা। কাজেই সবটা বলা অর্থহীন।
ভীষন বিমর্ষ আমি। মনের সেই বিমর্ষতার বর্ণ ঘন হয়েছে আরো, গতকাল বিকেল থেকে। একটা যন্ত্রণার আবর্তে আটকা পড়েছি। আর মাঝে মধ্যে অনির্বাণের কণ্ঠ ভেসে আসে কানে, " মানুষ এমন ইতর, অসভ্য হতে পারে সৌভিক! নগ্ন মহিলার উপর পৈশাচিক ...।"
অনির্বাণের কথা ভাবতে থাকি সময়ে অসময়ে। আর মনতটে ফুটে ওঠে বড়ো ক্যানভাসে মেলে ধরা একটা ছবি, অনির্বাণের আঁকা।
অনির্বাণ কবি। অনির্বাণ শিল্পী। আমার বন্ধু অনির্বাণ।
গতকাল বিকালে গিয়েছিলাম ওর বাড়ি। ভীষণ যত্ন নিয়ে বড়ো ক্যানভাসে ছবি ফুটিয়ে তুলছে অনির্বাণ। বিজ্ঞান, বিস্ময়, সাফল্য, উচ্ছাস, উল্লাস, আলিঙ্গন, ঘৃণা, আদিম বর্বরতা আর তুমুল যন্ত্রণার অদৃশ্যপূর্ব সহবস্থান আমি দেখেছি সেই ছবির ক্যানভাসে। গর্ব আর নির্লজ্জতায় সম্পৃক্ত এমন ছবি আগে দেখিনি আমি। মধ্যযুগ আর অতি-আধুনিকযুগ দাঁড়িয়ে রয়েছে গায়ে গা দিয়ে, অনির্বাণের ক্যানভাসে।
আমি দাঁড়িয়েছিলাম একপাশে। ক্যানভাসে মগ্ন অনির্বাণ। ঘাড় ঘুরিয়ে আমাকে দেখলো একবার। বলে, " আয়। সামান্য একটু কাজ বাকি আছে। শেষ করে নিয়ে কথা বলবো।"
মন প্রাণ এক করে ছবিতে ডুবে যায় আবার।বিস্ময়াভিভূত দৃষ্টি আমার মন্থর ডানায় চেপে ঘুরে ফেরে ক্যানভাসের গায়ে। একদল কাম - মত্ত পুরুষ। নাকি পশু! না না পুরুষ। ঠিকই দেখছি আমি। উলঙ্গ মহিলা দুজন। বর্ণ তুলির ছোঁয়ায় লজ্জা, আর্তি, আগুন, নির্মম উল্লাস, ঢাক আর চন্দ্রযান ফুটে উঠেছে ক্যানভাসে।আর ভীষন ভীষণ উজ্জ্বল একটা চাঁদ ঝুলছে একপাশে।
ব্যতিক্রমী চিত্র। জানিনা কতক্ষণ চেয়েছিলাম ক্যানভাসের দিকে । আমার মনের অসহনীয় ব্যথা জীবন্ত হয়ে উঠেছে আমার বন্ধুর তুলির আঁচড়ে। তারপর থেকে নীরব থেকেছি আমি।
এই মুহূর্তে নীলুদার সঙ্গে বসে রয়েছি। চন্দ্রায়ন- তিন এর উৎক্ষেপণ দেখবো তাই।
" কিছু বলবি তো!" বলে নীলুদা।
চেষ্টা করছি নীলুদার কথায় কথা দিতে। পারছি না মোটেই। ভাবনা আমার নানান বর্ণে ছিন্ন হয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনির্বাণের ক্যানভাসে। ঢাকের শব্দ মাঝে মধ্যেই বধির করে তোলে আমাকে।
নীলুদার উচ্ছাস হিড়হিড় করে নিয়ে এলো আলোচনার মধ্যে।
" কি যে ভাবছিস কে জানে! চায়ে চুমুক দে। ঘোর কাটবে" কয়েক সেকেন্ড বিরতি নিয়ে আবার মুখ খুলেছে নীলুদা,
" শোন, ওনলি সিক্স হান্ড্রেড অ্যান্ড ফিফটি ক্রোর! ক্যান ইউ ইমাজিন?" আমার চোখে গেঁথে রয়েছে নীলুদার জিজ্ঞাসু দৃষ্টি।
ভাবনাচ্ছন্ন আমি, বুঝে উঠতে পারিনি ঠিক কি ইমাজিন করতে হবে আমাকে এই মুহূর্তে। বাজারে বিদেশি বা দক্ষিণী সিনেমা এলে অনেক সময় এমন করেই সেই ফিল্মি আলোচনার মাদুর বিছায় নীলুদা। ভাবলাম তেমনই কিছু বলতে চাইছে এই মুহূর্তে।
কয়দিন আগেই নতুন সিনেমা এসেছে বাজারে। হলিউড থেকে। জিজ্ঞাসা করলাম, " দেখেছো নাকি?"
" কি?" প্রশ্নের পিঠে নীলুদার প্রশ্ন।
" ওপেনহাইমার।"
" সেটা কি?"
" সিনেমা। নতুন। হলিউড। অ্যাটম বোম। জাপান। দারুন।"
" মুভি?"
" হ্যাঁ।"
" ওপেনহাইমার! মানে সেই প্রফেসর ওপেনহাইমার? ম্যানহাটান? আটম বোম বানিয়ে সারা পৃথিবীর স্বাস্থ্য ঝলসে দিয়েছে!"
" হ্যাঁ, ঠিকই বলেছো। সেই বিষয়ের উপরই মুভিটা।"
আমার কথা শুনে নীলুদা থ। চোখ মুখ গম্ভীর। বলে,
" তুই হঠাৎ সিনেমার কথা বললি কেন?"
" ওই যে তুমি সাড়ে ছয়শ কোটি টাকার কথা বললে, সেজন্য ভাবলাম ...।"
একপ্রস্ত হেসে নিল নীলুদা। বুঝলাম ভুল রাস্তায় হেঁটেছি আমি। নীলুদা বলে," ডিয়ার ব্রাদার থিঙ্ক লাইক এ ইয়াং ল্যাড। হোয়াট রাবিশ টকিং ইউ আর!"
সত্যি, ভেবে কথা বলা উচিত ছিল আমার। পারিনি আমি। অনির্বাণের কথা গুলো তাড়িয়ে নিয়ে চলেছে আমাকে। ভাবনা যেনো আটকা পড়েছে ক্যানভাসে। এই মুহূর্তে অনির্বাণের গলা শুনতে পাচ্ছি আমি, " ভাবতে পারিস সৌভিক এমন ঘটনা আমার দেশে ঘটে! একদল উন্মত্ত পুরুষ কাম-তাড়িত হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে নিজেদের ... ।" গলা ধরে এসেছে আমার বন্ধুর।
" সৌভিক, দুটো ঘটনা সমকালীন অথচ মনে হয় যেনো কয়েক যুগের ব্যবধানে ঘটেছে। একই ক্যানভাসে বেমানান বড়। আমরা মধ্যযুগে আছি নাকি অতি-আধুনিক যুগে?"
এক অমীমাংসিত প্রশ্নের সামনে আমাকে দাঁড় করায় অনির্বাণ।
" শোন, শোন"
নীলুদার কথা আমার ভাবনার পায়ে শিকল বেঁধে দেয়। ইচ্ছে মতন ফিরিয়ে আনে আমাকে তার নিজের কথার স্রোতে। বলে, " আর কয়টা দিন অপেক্ষা মাত্র। তেইশ কি চব্বিশ আগস্ট পৌঁছে যাবো আমরা। ভাব কি উত্তেজনা!"
" কিসের উত্তেজনা? " জিজ্ঞাসা করি আমি।
" ওহ্। আরে চন্দ্র অভিযান! আমরা চাঁদে যাচ্ছি। আর মাত্র সাত মিনিট। উই উইল সেট আউট আওয়ার হিস্টরিকাল জার্নি।" বলে টিভির সুইচ অন করে। একটা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকবে নীলুদা।
এই সময় ঠিক কোন কথা বললে নীলুদার আলোচ্য বিষয়ের কাঁধে হাত রাখতে পারবো ভাবছি।
" সারা পৃথিবী দাঁড়িয়ে স্যালুট করছে আমাদের। জাস্ট স্যালুট করছে। ভাবতে পারিস! দক্ষিণ ভারতে এক একটা ফিল্ম বানাতে এর চেয়ে বেশি খরচ হয়। আর এই সামান্য টাকায় আমরা চাঁদে পৌঁছে যাব!" নীলুদার গলায় বিস্ময়ের সুর । আর আমার কানের পাশে ঢাকের শব্দ । চেতনায় ভেসে আসে দুইজন নগ্ন মহিলা। হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে। লজ্জা বাঁচাতে চেয়ে আকুতি প্রবল। পৌরুষের তাণ্ডবে রক্তাক্ত হয়েছে ওদের শরীর। মনও।
" কি হলো? দেখ!" বলে নীলুদা। আমার দৃষ্টি ফিরে যায় টিভি স্ক্রীনে।
" তবে কি জানিস, অন্য বারের চেয়ে এইবার আমাদের চাঁদে যাবার উদ্দেশ্য আলাদা। আর প্রাণের সন্ধানে প্রাণপাত নয়। দেশের সংকট মোচনও আমাদের উদ্দেশ্য। "
" সংকট মোচন! মানে?" আমার জিজ্ঞাসা।
মুখের হাসি চওড়া হয়েছে। নীলুদা বলে " ফুয়েল, ফুয়েল। জ্বালানি। তেলের জন্য আমরা আর আরবের দুয়ারে পা রাখবো না। রাশিয়াকে বুড়ো আঙুল দেখাব। এইবার চাঁদে যাব আর ফুয়েল আনবো। কত ফুয়েল পোড়াবি পোড়া!" টিভির স্ক্রীনের দিকে চেয়ে কথা গুলো বললো নীলুদা।
চাঁদের মাটিতে হিলিয়াম- থ্রি আছে। নিশ্চিত বিজ্ঞানী মহল। আমি শুনেছি সেই কথা। তবে সেই প্রসঙ্গে পা ফেলতে ইচ্ছে গেলো না আমার।
" আসলে কি জানিস, চাঁদের দক্ষিণ মেরু অন্ধকারাচ্ছন্ন। খানাখন্দ। পাহাড়। সেখানে নামবে আমাদের চন্দ্রযান। এটা একটা চ্যালেঞ্জ। যা কেউ করেনি, আমরা করে দেখাবো।"
নিশ্চয় চ্যালেঞ্জ। কুর্নিশ জানাই সে মহান প্রচেষ্টাকে। বিজ্ঞানের এই সাফল্য অভাবনীয়। দেশবাসী হিসাবে গর্বিত হতেই হয়।
বুঝলি, " এইবার আমাদের টেকনোলজি আরো সফিস্টিকেটেড। ক্যামেরা, রোভার, সফট ল্যান্ডিং সব কিছুতেই নতুন প্রযুক্তি। আগের বার সামান্য ত্রুটির কাছে হার মেনে ছিলাম আমরা। এইবার ভীষণ সতর্ক।" বলে নিজের ফোনে মনোযোগী হয়েছে নীলুদা। হয়তো গুগল করে দেখে নিতে চাইছে টেকনোলজির কোনো দিক আমার কাছে তুলে ধরতে ভুলে গেছে কিনা। আমি চেয়ে রয়েছি টিভি স্ক্রীনের দিকে। চন্দ্রযান পারি দেবে চাঁদের উদ্দেশ্যে।
" সৌভিক!" অনির্বাণের কন্ঠস্বর। বলে, "গুহাবাসী অরণ্যচারী মানুষেরও বিজ্ঞান ছিল জানিস। তাদের উদ্ভাবন অবাক করেছে আমাদের। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সেই আদিম মানুষও ভেবেছে উন্নততর জীবনের কথা। নিজেদের সামর্থের সীমানা তারাও অতিক্রম করতে চেয়েছে। পেরেছে কখনো। কখনোও চেষ্টা করে ক্ষান্ত থাকতে হয়েছে। আর আমরা এখন ঠিক সেটাই করছি। সৌভিক, মস্তিষ্ক থাকলে নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার ইচ্ছে তো আসবেই। এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে শুধু বিজ্ঞানের অগ্রগতি কি আমাদের সার্বিক পরিচয়! আমরা তো মানুষ বল। বিজ্ঞান আমাদের ভাবনার উন্মেষের প্রকাশ। আর মনুষ্যত্ব! তার কি হবে সৌভিক?" চুপ করে অনির্বাণ। মৌনতায় হাজার কথা বলি আমি আর অনির্বাণ। নীলুদা ব্যস্ত গুগুলে সার্চ করতে। আবার কথা বলা শুরু করে অনির্বাণ। " বুঝলি, নবারুণের সেই লাইনটা কয়দিন ধরেই আমার ভাবনার প্রতিটি স্তরে বাসা বেঁধেছে।"
আমি কিছু বলতে চাইছিলাম। আমাকে বলবার অবকাশ না দিয়ে অনির্বাণ বলে, " এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না।" ধরে এসেছে অনির্বাণের গলা। বুঝতে পেরেছি আমি। অনির্বাণ শিল্পী। সংবেদনশীল। আমার বন্ধুর দুই চোখ জলে ভেসেছে বুঝেছি আমি। অনির্বাণকে দেখতে চেয়ে চেয়ে ঘাড় ঘোরাই আমি।
" এদিক সেদিক কি দেখছিস বল তো! কে আছে ঘরে?" বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করে নীলুদা।
আমি বলি " অনির্বাণ।"
" মানে!"
" না না, সরি। তুমি আর আমি ছাড়া কেউ নেই এখানে।"
" তাহলে! ওয়েট থ্রি মিনিটস মোর!" বলে নীলুদা।
উত্তেজনার পারদ ঊর্ধ্বগামী। লাইভ দেখা যাবে উৎক্ষেপণ। শয়ে শয়ে মানুষ হাজির হয়েছে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের আশেপাশে। নীলুদা নিষ্পলক । অনির্বাণ নিঃশব্দে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে। প্রবাহমান সময়ের ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি আমি।
" হোয়াট এ সাকসেস!" বলে নীলুদা।
" ছেড়ে দাও। নিয়েছ তো সবই। অন্তত জীবনটুকু থাক।" মহিলা কণ্ঠ শুনতে পেলাম আমি। ক্যানভাসের সেই মহিলা দুইজনের সমবেত আর্তি।
হো হো হো। জান্তব উল্লাস। সঙ্গে ঢাকের শব্দ কানে আসছে আমার।
টানটান হয়ে বসেছে নীলুদা। থ্রি, টু, ওয়ান। আকাশ ফুঁড়ে ছুটে চলেছে চন্দ্রযান। ভীষণ শব্দ। উল্লাস। করতালি। আলিঙ্গন। উই শ্যাল ওভারকম।
মহিলা দুইজনের কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি না আমি। ওরা হয়তো এখনো জীবন ভিক্ষা চাইছে। হয়তো বা শেষ হয়েছে সব কিছু। জানি না আমি।
উঠে দাঁড়িয়েছে নীলুদা। তালি দিয়ে বলে " চক দে ইন্ডিয়া!"
আমার দেশের বিজ্ঞানীদের প্রতি শ্রদ্ধাবনত আমিও। এগিয়ে চলুক বিজ্ঞান।
হু হু করে ছুটে চলেছে চন্দ্রযান। পৃথিবীর মানুষের সাফল্যের সংকেত পৌঁছে দিতে লম্বা দৌড় দিয়েছে চন্দ্রযান - তিন।
নীলুদা আনন্দে বিহ্বল ।
বিজয় উল্লাস চলছে মহা সমারোহে। আনন্দের বুদবুদ ভেসে আসে আমার মনে। আমার দেশের সাফল্য। গর্বিত আমি। মুহূর্তে মনের পালা বদল। " শুধুই বিজ্ঞান? মনুষ্যত্বের কি হবে সৌভিক?" ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা করে অনির্বাণ। ভাবনায় জাঁকিয়ে আসে ক্যানভাস। উলঙ্গ মহিলা দুইজন আগুনের দিকে ছুটে চলেছে উন্মাদের মত। দুই চোখ মুদে আসে আমার যন্ত্রণায়। মাংস পোড়া গন্ধ বয়ে নিয়ে আসে বাতাস। পৈশাচিক উল্লাসে অনুরণিত চারপাশ। উচ্চকিত ঢাকের শব্দ। অনির্বাণের ক্ষীণ কণ্ঠ শুনতে পাই আমি, "এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না।"
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন