কারিকোপ্তা কিন্নরী
ক্ষিপ্রগতির নয় এমন কিছু একা একা এবং কাঁচুমাচু আপনাকে জোগাড় করে রাখতে হবে।
অস্তরেখার খোয়াব দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে দু’দিন। খেয়াল রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন আয়েশের মোরব্বা উড়ে এসে জুড়ে না বসে।
বারকোসের ডালপালায় আদিজগতের মেথিপনা। ফোঁড়ন হিসেবে ব্যবহার করুন মেধাময় হেমন্ত। দিকবিদিকের ঘুরপাক দিন ছড়িয়ে। দ্রাঘিমার তন্দ্রায় বিকেল হেঁটে গেলে, কোয়েলসমস্তটি একপাত্রে রাখুন। সলমা আর চুমকি। শ্রুতি আর কিংবদন্তী।
যদি সম্ভব হয়, শেষ মুহূর্তে ক’খানা রঙিনকুয়াশার পাক, যদি সম্ভব হয়
প্যারাসুটের মতো ঝকঝকে তাপ অথবা মাঝবয়েসি একটি আতরের পালকি
পাঁচ ফোঁড়ন সবজি ছয়
আলোকবর্ষ বরাবর বেদবাক্যের সম্ভাবনাগুলি, পিলুরাগে চিত্রবিচিত্র করুন।
হিরণ্ময় শোভায় বসে আছে ছবিফ্রেম, তাকে পরিয়ে দিন অনন্ত বরাভয়।
হালকা আঁচে তাপমুক্ত করুন অরণিলাল কুমারী মহুল।
মুক্ত করুন পারাবত। আকুলি ভরা চয়নপুস্পকটি। গতিপথের রথ দিন বদলে।
ওপর থেকে কাননের বাচনভঙ্গীটি দিন ঢেলে। একটি অসম্ভব অবাস্তব।
অলৌকিক কাঁধ বরাবর। চারুচিহ্নের প্রাচীর।
খাঁজগুলিকে অতিক্রম করুন, একটার পর একটা। দেখবেন, সরুচাকলির তোরঙ। অনবরত সুখজাগানিয়া এক আয়ত সংবেদ। বেদত্রয়ীর চন্দ্রালোক, জানবেন আপনার রন্ধনে গড়া শ্রেষ্ঠ সম্মোহন।
নারকোল দিয়ে কাঁকরোল পুর
অন্দরের চাঁপাতুলসী। পুরাকীর্তিতে রাখুন খোদাই করে।
তেরোজনের নোটনদল। জেনে নিন, আজকের ধুলোখেলায় কতজন পায়রা। বকমগুলিকে আলাদা পাত্রে। অজস্র রহস্য। এলোমেলো মনসবদার। ইত্যকার নিত্যসমূহকে অবহেলা করবেন না।
খড়ের তলোয়ারে শাণিত হোক অভ্যর্থনা। জাফরির গাছপালায় ঝুমঝুম জিওন।
বামপাশে একটি পরিণতিকে বেছে নিন, আঁকা করুন গুঁড়ি গুঁড়ি রাগদীপক। ময়ূরের নাব্যতা, মিশিয়ে দিন ময়ূরীতলার পেখম-সংগ্রহ।
তারপর বৈঠকের এক কিনারা। সাজিয়ে রাখুন মিথ্যেগ্রীষ্ম, সত্যি-প্রতিশ্রুতি
আবহমান স্তিমিত হলে, জানবেন তৈরি হয়েছে বন্ধুবেলার সংহিতা, অজস্রমুখী
আলুপটল সাধের বিউগল
সৌরতারার আইভরি। তাকে দিন আকার আয়ুঅর্চনার।
এবার গোল করে কাটুন পরাশরের উপস্থিতি। মাত্রাহীন চাকচিক্য বর্জন করুন।
বদলে ফুটিয়ে তুলুন ধ্যানলন্ঠনের বাউল। ঘোর লাগুক একতারার ঝাঁপিতে। স্বর্ণমুদ্রা নয়।
ধুলোমুদ্রার তৈলচিত্রে গুছিয়ে রাখুন ভিক্ষাগ্রহণের একাংশ। সোমদত্তার প্রিয়স্বর দিন বুলিয়ে।
বলয়ের পটভূমিতে শুকিয়ে নিন গলনাঙ্কের গুঁড়ো-হিং, স্বাদে-গন্ধে মুক্তোর মতো অলৌকিক।
মুনস্টোনের আভায় লবঙ্গের নভেল, আপনার হাতে পোখরাজের উচ্ছ্বাস। শুনতে পারছেন?
উদাত্ত ক্ষুধা-সঙ্গীতের আবহ, তাহলে এবার সাজিয়ে দিন একান্ত বরজ।
ক্ষুধা আর ক্ষুধার্তের চির-অমর অমনিবাস।
ম ম মৌরলা
আজকের রান্নায় দরকার আকাঙ্খার পেটচুক্তি। কয়েকটি বাড়িবদলের ডাক।
আলাপচারিতায় ভেতরে ঘুমিয়ে আছেন মাঙ্গলিক ভু-খণ্ড। প্রথমে ঘুম ভাঙান তাঁর।
মাটির কেদারায় অজস্র পলিসুখ। সাজিয়ে দিন পেতলের ঝর্ণা। নারিকেলের মতো করে কুড়িয়ে নিন বিধাতার রাজ্য এবং ভিখারির প্রাসাদ। না, অতীতের কেকাগুলিকে একদম মেশাবেন না।
মাটির কেদারায় অজস্র পলিসুখ। সাজিয়ে দিন পেতলের ঝর্ণা। নারিকেলের মতো করে কুড়িয়ে নিন বিধাতার রাজ্য এবং ভিখারির প্রাসাদ। না, অতীতের কেকাগুলিকে একদম মেশাবেন না।
বরং চর্যাপদের গ্রন্থনা আর দিবালোকের মহাপরম।
প্রতি পরতে তাপমাত্রার কুহু, ফারেনহাইটের রুমাল দিকে ঢেকে রাখুন সেলসিয়াস।
একে অন্যকে চিনিয়ে দিন রান্নার মখমল, আরাধনায় আলোকিত হোক ক্ষুধাবন্দর।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন