অন্যমনস্ক এক স্তব্ধতা ; মধ্যে সহজ সত্য বিস্তৃত লম্বা একটা দরজা খোলা বারান্দা ! এখানে পশ্চিমি বাতাস মাঝে মধ্যে বিষাদ গেয়ে চলে কমনরুমের চাঁদ দেখে মন্ত্রঃপুত ডোবার জলে ; প্রণয় নিবেদনে !
অলৌকিক অক্ষরগুলো মনের সাজঘরে ট্যাটু আঁকে ......এই প্রিয়জন অসুখ স্পষ্টতঃ নিছক স্বপ্নাভ তরুণ ৷ অতএব ওদিকে জ্বলছে বিন্দু বিসর্গের কাব্য ! ধ্যানস্থ ছিল আমার সবটুকুই ; শুধুমাত্র হাত ফেরোত সমৃতিগুলো দুনিয়ার আয়ুরেখা মুছে দিয়ে নিজেই বৈরাগ্য নিয়েছে !
ঘাস ফড়িং ও অন্য প্রজাতির পতঙ্গরা এভাবেই ভুলেছে প্রত্যন্তের আচার আচোরণ ; অথচ শস্যবীজ ফেঁটে নিঃশব্দের রাত ছায়াময় শরীর নিয়ে চলে আসে ভূত এবং দয়াময় দেবতার মধ্যেখানে ! এটা দিয়েই প্রথম লেখা হল নির্বাসিত সমৃতির মহাকাব্য গুলো , ...... গলছে ভেতরের ব্যক্তিগত দৃশ্যগুলো ; একা একা বিও বাসনা ! তবুও হাওয়ার মধ্যে ভাসে তপস্যার বৈদিক প্রহর !
কিছু কি চেয়েছি চোখ পেতে ; অন্য ঘরের প্রাচীন নাটক নানাবিধ আঁকার নিয়ে জেগে বসে আছে অনন্ত নির্ঘুম , ..... সেই যে একটানা লম্বা রাস্তায় ক্ষমাপ্রার্থীরা মুখ নিচু করে উলঙ্গ দাঁড়িয়েছে ; অভিন্ন একপ্রকার ! সেই থেকে অন্তহীন জটিল নিরবতায় আমিও মরেছি একা ও একক !
এখান দিয়ে এগিয়ে চলে এলে শ্মশানও গত জন্মের আঁধার পেতে বসে , ..... ! দু'বেলাই ঘিরেছে আনাত্মীয় অন্ধকার ; প্রেম এবং আকণ্ঠ সর্বনাশ কথা হারিয়ে বোবা একপ্রকার ! আত্মবীজ এই নষ্ট জ্যোৎস্নায় আমাকে পোড়ায় কবিতার ঘরে ; তবু মরি না মরার আগে বিচ্ছেদ গৌরবে !
এই অপ্রমেও সন্ধিক্ষণ বরাবরই অলৌকিক ! হয়তো ছায়াশূন্য এক বিকলাঙ্গ শরীর বাতাসে নেচে ওঠে ; গোপনাঙ্গ কানাপুকুরে ডোবে বৃষ্টির আদর পেতে !
এই দর্পণে বেমালুম আমার প্রতিবারের মৃত্যুগুলো একান্নবর্তী এভাবেই স্বপ্নহীন থাকে , ..... শেষ একবার প্রতিহত স্বপ্ন থেকে বেঁচে উঠি আর একটা মৃত্যু পাব বলে !
এই রাত নিশ্ছিদ্র নিরব ; তবু এখানে আমিও পুনশ্চ নপুংশক !
যদি মরি ; নিছক মৃত্যুর স্বপ্ন দেখে , সেটাই এক অপরিবর্তীত বায়োটেকনোলজির অন্য সম্ভাবনায় প্রদর্শন যোগ্য হবে !!
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন