সুশান্ত কুমার রায় | তিস্তাপাড়ের ভাওয়াইয়া গান

Michil

আসামের গোয়ালপাড়া হলো ভাওয়াইয়া গানের আদিভূমি আর রংপুর হলো ভাওয়াইয়ার উর্বরভূমি বা চর্চাভূমি । তিস্তা-ধরলা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা অঞ্চলে ভাওয়াইয়া গানের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটেছে । অনেকে ভাওয়াইয়াকে গোয়ালপাড়িয়া গানও বলে থাকেন । অন্যদিকে আবার রংপুর অঞ্চলে রচিত ও গীত ভাওয়াইয়া গানকে রংপুরিয়া ভাওয়াইয়া গান বলে অভিহিত করে থাকেন । ইতিহাস থেকে জানা যায় আজকের আসামের গোয়ালপাড়া এক সময় রংপুর জেলার অর্ন্তভূক্ত ছিল । ইতিহাসবিদ ও লোকসংগীত গবেষক এবং ভারতের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. আনন্দ গোপাল ঘোষ এর মতে,“ রংপুরের আয়তনের কথা ভেবেই ইংরেজ কোম্পানী রংপুরকে বিভাজন করে উত্তরপূর্ব রংপুর জেলার সৃষ্টি করেছিলেন ১৮২২ সালে ।এই উত্তরপূর্ব রংপুরই পরে গোয়ালপাড়া নামে পরিচিতি পেয়েছিল । লোকসংগীত গবেষকদের মতে ভাওয়াইয়া গানের উৎপত্তি হিমালয়ের পাদদেশীয় তরাই অঞ্চল । ভাওয়াইয়া উৎপত্তিগত দিক থেকে তিনটি দেশের তিনটি অঞ্চলে প্রসারিত হয়েছে ”। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল বা রংপুর-দিনাজপুর, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল বা কোচবিহার-জলপাইগুড়ি ও আসাম এবং নেপালের সমতটের তরাই অঞ্চলের আপা ও মোরং উপঅঞ্চল । অন্যদিকে বিশিষ্ট লোকসংগীত ও ভাওয়াইয়া গবেষক হাবিবুর রহমানের মতে, বর্তমান বাংলাদেশের রংপুর, দিনাজপুর ও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও পশ্চিম দিনাজপুর এবং কোচবিহার ও আসামের গোয়ালপাড়া অঞ্চলের মাটি ও মানুষের গভীর থেকে উৎসারিত গান ভাওয়াইয়া । ভাওয়াইয়া গানের আদি উৎপত্তিস্থল হিমালয়ের পাদদেশীয় তরাই অঞ্চল(পর্বতের নিম্নদেশ বা উপত্যকা) জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার। এ অঞ্চলের ভৌগলিক পরিবেশের জন্যই এখানে এ জাতীয় সংগীতের উদ্ভব ও কেন্দ্রায়ন সম্ভব হয়েছে। ভাওয়াইয়া হিমালয়ের তরাই অঞ্চলের কোচবিহার জলপাইগুড়িতে উৎপত্তির পর পাদদেশীয় রংপুর, দিনাজপুর জেলায় প্রসারিত হয়ে চর্চাগত দিক থেকে মুখ্যতঃ রংপুর অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়ে একান্তভাবে এ অঞ্চলের নিজস্ব লোকসংগীতে পরিণত হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ লোক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ভাওয়াইয়া। ভাওয়াইয়ার সুরে জড়িয়ে আছে উত্তরাঞ্চল ও নিম্ন-অসমের মানুষের সমাজ, সংস্কৃতি ও নৃতাত্ত্বিক ঐতিহ্য। উত্তরবাংলার প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রায় একাকার হয়ে মিশে আছে লোকসংগীত ভাওয়াইয়ার ভাব-ভাবনা, বাণী ও বিষয় বৈচিত্র্য। ভাওয়াইয়া গানের প্রসঙ্গ আসলে যে বিষয় প্রসঙ্গগুলো সবার আগে আসে তা হলো মাহুত, হাতি, মহিষাল, মহিষ, বাথান, গাড়িয়াল, গরু, গরুরগাড়ি, গ্রাম্যবধু বা নাইওরি, গ্রাম্য আকাবাঁকা মঠোপথ, নিধূয়া পাথার। এ গান মূলতঃ নদী-নারী ও প্রকৃতি নির্ভর ।

ভাওয়াইয়া গানে জড়িয়ে আছে তিস্তা, তোর্ষা,ধরলা, গদাধর, ব্রহ্মপুত্র, ভাগীরথী, কালজানি ও সুবর্ণরেখা। তিস্তা, তোর্ষা, ব্রহ্মপুত্র, ভাগীরথী, সুবর্ণরেখা, পদ্মা, মেঘনা, যমুনার কলোকল্লোলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, লোকসংগীত ভাওয়াইয়ার মধুময় মুর্ছনা ও সুর সেই সীমানা অতিক্রম করে অনুরণিত, আন্দোলিত ও আলোড়িত হয়েছে বিশ্বময়। নদী ভাঙ্গন ও আর নদীপাড়ের মানুষের জীবনে নানা উত্থান পতন ঘটা অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। কেউ কেউ মনে করেন ভাওয়াইয়া গানে গলাভাঙ্গা উচ্চারণের যে বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে তা উত্তরাঞ্চলের নৈসর্গিক ও ভৌগলিক পরিবেশের কারণে ঘটে থাকে। নদীর উপর্যুপরি ভাঙনের ফলে নদীগুলো বার বার বাঁক নিয়ে আঁকাবাঁকা পথে খরস্রোত ধারায় প্রবাহিত হয়। নদীর এই ঘন ঘন ভাঙন ও বাঁক পরিবর্তনের প্রভাব এসে গাঙের পাড়ের মানুষের উপর পড়ে। তাদের জীবনেও চলে ভাঙা-গড়ার অনেক পরিবর্তন । আর এই প্রভাব পড়েছে নদী পাড়ের মানুষের গাওয়া ভাওয়াইয়া গানের কথা ও সুর বৈচিত্র্যে।

নদীমাতৃক দেশ আমাদের ৷ আমরা নদীর জলে তৃষ্ণা মেটাই। নদীর রূপ-সৌন্দর্যে বিমোহিত এবং স্নিগ্ধ-শীতল পরশ লাভে মুগ্ধ হই। নদীর কথা আসলে আসে নারীর কথা, আসে কাঁশবনের কথা, মাছের কথা, নৌকার কথা ও নাইওরির কথা। নদীতে নানা ধরনের দেশী মাছ পাওয়া যায়, নদী বিধৌত উর্বর পলি মাটিতে সোনার ফসল ফলে। তাই নদীর সুর ও ছন্দে লোকজীবনের জীবনচর্যার মধ্যে দিয়ে গীতিময় রূপজগৎ বর্ণিত হয়েছে ভাওয়াইয়ায়। তিস্তা-তোর্ষার উথাল-পাথাল ঢেউয়ের কথা ভাওয়াইয়া গানে স্থান পেয়েছে । নদ-নদী একদিকে জীবিকার উৎস হলেও অপরদিকে নদীপাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকায় কষ্ট ও অভিশাপরূপে বিরাজমান। লোকসঙ্গীত ভাওয়াইয়ায় নদ-নদীর এই অভিশাপের প্রভাব লক্ষণীয়। এছাড়া এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীত ভাওয়াইয়ার বিরহ-বেদনার কথামালায় শিল্পীর উদাস করা সুরের মুর্ছণায় নদীর দৃশ্যে উঠে এসেছে স্বপ্ন, আশা-নিরাশা ও বিরহ-বেদনার কথা।

ও মোর সাধু হে সাধু
অল্প বয়সে সাধু বাণিজ্যে যান
তিস্তা নদীর সাধু ভরা বান রে
সাধু দেওয়া দেখিয়া ছাড়েন উজান নাও রে।

ও মোর সাধুহে সাধু
দাড়ি মাঝি সাধু পরের বেটা
খািইতে নিতে সাধু না দেন খোটারে
সাধু মারবে সাধু তোমাক বৈঠার আগাল দিয়া…।।
 (কথা ও সুর- কছিম উদ্দিন)

তিস্তা নদীর ধৈ ধৈ বালা ও
দিদি হোগোলা কাশিয়ার বন
কাশিয়া বাড়ির নিরল ছেও আজ
আওলিলেক মোর মন দিদি ও…..।।

গাও ধুব্যার যাও
নদীর ঘাটোত ও
ও দিদি নিঝুম দুপুর বেলা
নদীর ঘাজিনাত ডোমনা ডুমুনি
রঙে করে খেলা দিদি ও…. ।।
 (কথা ও সুর- কামেশ্বর রায়)


ওকি নদীরে তিস্তা নদী
কোন দোষে তুই হলু মোর বৈরী
ভাঙ্গলু নদী মোর সুখের বাতি রে
ওকি নদীরে তিস্তা নদী।

ওকি নদীরে তিস্তা নদী
পারে পারে তোর এলুয়া কাশিয়া
কান্দে ডাউকি কোড়া নিকাশ ফেলেয়া
ওকি নদীরে কারো জোড়াইস ঘর
কারো ভাঙ্গিস পিড়িতি রে। 
( কথা ও সুর শসসের আলী প্রধান)

নয়া জোয়ার আইল নদীতে
হায়রে দুকূল উছলিয়ারে
নয়া জোয়ার আইল নদীতে।।

কত ছই বান্ধা নাও
সাইরে সাইরে নদীর কিনারায়
বাদাম তুলি বৈঠা মারি
উজান বাইয়া যায়…..।।
( কথা ও সুর-রবীন্দ্রনাথ মিশ্র)

তিস্তা বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। ভাওয়াইয়া গানে তিস্তার কথা বার বার এসেছে। বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্র থেকে বিকেল সাড়ে চারটায় তখনকার দিনে তিস্তাপাড়ের গান শিরোনামে ভাওয়াইয়া প্রচারিত হতো। তখনকার দিনে প্রচারিত তিস্তাপাড়ের গানে ভাওয়াইয়া গান শোনার জন্যই শুধু যে শ্রোতারা রেডিও খুলে রাখতো তা নয় তার অন্য একটি প্রধান কারণ হলো নমর উদ্দীনের দোতারার ডাং বা বাদন । ভাওয়াইয়ার নয় সুর ও বাণীতে নমর উদ্দিন ছিলেন অনবদ্য। দোতারা তাঁর হাতের স্পর্শ পাবার সাথে সাথে যেন জীবন্ত হয়ে উঠতো। দোতারার বাদনে ভাওয়াইয়া গানে ক্ষণিকের তরে হলেও সুরের মুছর্ণায় আবেশে আবেগে নিজেকে একাকার করে ফেলতেন।

আরে ও তিস্তা নদীরে
সুখের ঘর মোর ভাঙ্গিলু কোন দোষে
ঘর ভাঙ্গিয়া চর ফেলালু
করিলু দেশান্তরী রে।
(ও তোর)ভাঙ্গা গড়ার পাগলামিতে রে
কূল ভাঙ্গিয়া হইল বালু চর
কারবা খবর কাঁয় করে…।। 
( কথা ও সুর-রবীন্দ্রনাথ মিশ্র)

বন্ধুর বাড়ি মোর তিস্তা নদীর পাড়ে
হায় রে তিস্তা নদীর পাড়ে
ওরে ভাঙ্গিয়া নিল মোর বন্ধুর বাড়ি
ভাঙ্গিয়া নিল মোর বন্ধুর বাড়ি
সর্বনাশা ঝড়ে রে, সর্বনাশা ঝড়ে।
হায়র রে সর্বনাশা ঝড়ে।

বান বরিষায় ভরা নদী
ক্যামনে করিম দেখা
হায়রে ক্যামনে করিম দেখা,
ওরে ক্যামন করি যাইম বন্ধুর বাড়ি
ক্যামন করি যাইম বন্ধুর বাড়ি
বিধি নাই দেয় পাখা রে
বিধি নাই দেয় পাথা…।। 
( কথা ও সুর- ধনেশ্বর রায়)

ভুলিতে না যায় ভুলারে তিস্তা
তোর কূলের মায়া
(ও তোর) কূল হারাইয়া কান্দোং রে মুই
অকূলেতে বসিয়া।

বহুদিনের আপন জন
মিলবে কি সেই আগের মতোন
(ও তোর)কূলের শোভা
শীতল বটের ছায়া….।।
( কথা ও সুর-রবীন্দ্রনাথ মিশ্র)

(আজি) কী শোভা দেখিনু তিস্তা নদীরে
তোর পাড়ে আসিয়া
দুই নয়ন মোর জুড়িয়া গেলোরে, আরে
মন গেলো ভরিয়া তিস্তা রে।

তালে তালে ঢেউ খেলে
তোর ওই ভরা বুকে
ঘোলা পানি ছুটিয়া য়ায় রে, আরে তিস্তা রে
(ওইনা)পাকে আরো পাকে মোর তিস্তা রে….।।
 (কথা ও সুর- নীলকমল মিশ্র)

তিস্তা নদীর সাথে জড়িয়ে আছে নদীপাড়ের মানুষের জীবন। নদীটি ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত। তিস্তাকে সিকিম ও উত্তরবঙ্গের জীবনরেখাও বলা হয়। সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর বাংলাদেশে প্রবেশ করে তিস্তা ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। তিস্তা নদী পূর্বে জলপাইগুড়ির দক্ষিণে তিনটি ধারায় প্রবাহিত হতো: পূর্বে করতোয়া, পশ্চিমে পুনর্ভবা ও মধ্যে আত্রাই। সম্ভবত এই ত্রিস্রোতা বা তিন প্রবাহ অর্থাৎ তিনটি ধারার অনুষঙ্গেই ত্রিস্রোতা নামটি এসেছে, যেটি কালক্রমে নাম ধারণ করে তিস্তা। তিস্তা নদীতে মাঝির পাল তোলা নৌকা উজান টানে কিংবা দাঁড় টেনে পারাপার করে নদীর দুই পাড়ের মানুষ। সময়ের আবর্তনে এখন সেই সব পাল তোলা নৌকা আর তেমন একটা দেখা যায় না। প্রতি বছর এই নদী যেমন স্বপ্ন ভাঙে হাজারো মানুষের, তেমনি নদীকে কেন্দ্র করে আছে নির্ভরতাও। বর্ষা মৌসুমে প্রবল বেগে বয়ে চলা তিস্তার রূপই অন্যরকম। বহুরূপী তিস্তার নৈস্বর্গিক রূপ-লাবণ্য মুগ্ধ করে । ভাওয়াইয়ার দেশে সুরের জোয়ার ওঠে দুকুল ছাপানোর আগে। শান্ত-সৌম্য তিস্তার নৈস্বর্গিক দৃশ্য কাছে টানে। পাল তোলা নৌকার হেলে-দুলে চলা, ডিঙ্গিতে পারাপার আর বেখেয়ালীপনায় মনের গান ভাওয়াইয়ায়- নদী নানারূপে রাঙ্গিয়ে তোলে প্রকৃতিকে।

ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলমিল করে
তিস্তা নদীর পানি
জল ভরিতে যায় সুন্দরী ও
উড়ায় শাড়ির অঞ্চল খানি,
কি হায়রে হায় কাঙ্খেতে কলসী
কন্যা ঘাটে যায়।

আউলা চুল বাতাসে উড়ায়
কাঞ্চা সোনার গাও
হেলিদুলি যায় সুন্দরী
গণি ফেলায় পাও….।। 
( কথা ও সুর-রবীন্দ্রনাথ মিশ্র)

দুয়োরের আগোত তিস্তা নদী
ঘরোত বসি দেখা যায়
নাও চলে না নদীত কলসী না তলায়
নাও চলে না নদীত

কলসী না তলায়
বৈশাখ মাসে দারুণ খরা
মধ্য নদীত দিলেরে চড়া…।।
( কথা ও সুর-রবীন্দ্রনাথ মিশ্র)

তিস্তা নদীর পাড়ে, পাড়ে রে
কন্যা পন্থ বাইয়া যাও
তোক দেখিয়া বালু চরে রে মোর
ঠেকিয়া গেইল নাও রে
কন্যা ধীরাও ধীরাও।

কাঞ্চা সোনার বরণ কন্যারে
(ও তোর) আউলা মাথার চুল
কোন রসিয়ায় রঙ ছোয়াইলে রে তোর
মন হইচে আকুল রে কন্যা ধীরাও ধীরাও…।।
( কথা ও সুর-রবীন্দ্রনাথ মিশ্র)

টান মারিচে বানের পানি
ঢেউয়ে দিলে হানা
দুই কূল ভাঙ্গিয়া নামায়
মানে না আর মানা রে
তিস্তা নদীর পাগলাই উটিচে ।

দুই কূল ভাঙ্গিয়ারে নদী
মাজোত ফেলাইল চর
এক রাইতে ভাঙ্গলে কতো
সোনার সংসার রে…।।
( কথা ও সুর-রবীন্দ্রনাথ মিশ্র)

ভুলিতে না যায় ভুলারে তিস্তা
তোর কূলের মায়া
(ও তোর) কূল হারাইয়া কান্দোং রে মুই
অকূলেতে বসিয়া।

বহুদিনের আপন জন
মিলবে কি সেই আগের মতোন
(ও তোর)কূলের শোভা
শীতল বটের ছায়া….।।
( কথা ও সুর-রবীন্দ্রনাথ মিশ্র)


একূ ওকূল তিস্তা নদীর
নজরে না চলেরে
নাও আছে কান্ডারী নাইরে ঘাটে।

জল ভরিয়া যায় সুন্দরী
আউলা চুল নাই বান্দে ঝারিরে
কলসীর গলা ধরি থমকে থমকে হাটে রে…।।
 ( কথা ও সুর-রবীন্দ্রনাথ মিশ্র)

ও পাগলা নদী রে
ওরে তিস্তা নদী
চোখের জল মোর সার করিলু
ভাঙ্গিলু ঘর বাড়ি।

চোখের জল মোর সার করিলু
ভাঙ্গিয়া ঘর বাড়ি।
ও পাগলা নদীরে
ওরে তিস্তা নদী।।

নদী বড় আশা রে ছিলো
বান্ধমো সুখের ঘর
একেক একেক ঢেউয়ে
ভাঙ্গিয়া নামাস মোর
বাড়ি ভিটের কাছাড়…।।




লেখক- লোকসংস্কৃতি গবেষক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* মন্তব্য করতে পেজটি রিফ্রেশ করুন .