কমলা শিউলি
সদা বাহার
তুলাইপাঞ্জি প্রদেশটি ছুটছে কুলুঙ্গির দিকে।
উড়তে উড়তে বলে যাচ্ছে, বেঁচেথাকাটি আসলে এক উৎসব। নরম আর সুগন্ধি।
আতপের দখিনা পেরিয়ে তাদের সাথে পৌঁছে যান বাতিস্তম্ভের ডানায়। আগুন এক উত্তম রাজপ্রাসাদ। সেই সুধায় হাল্কা নভোনীল, বিস্তারিত হোক তারিণীর তারাজগত।
গানাঞ্চলে ঈষৎ ইষ্টদেবতা মিলিয়ে দিন। পাঞ্চজন্য জ্বলে উঠুক স্বপ্নস্বম্ভবের চারুকলায়। পাঁচ বাই ছয়। অবচেতেনের লালিমা। কে বলে রেখাচিত্র দিয়ে আকাশের কারুকলা আঁকা যায় না।
এই যে দেখুন, কেমন ফুলে-ফসলে পেকে উঠছে ধানরুটির সদাশিউলি।
ঝরিয়ে ফেলুন বহুতলের কমলা অ্যাপ্রন। প্রিয়জনের মুখে তুলে দিন হিল্লোরের ডাকবাক্স, চিঠিদানায় চিকচিক সুফিশরত। প্রিয় হোক দিনদুনিয়ার আলোপাঠক।
অন্দর রঙ্গিণী
তুলাইপাঞ্জি প্রদেশটি ছুটছে কুলুঙ্গির দিকে।
উড়তে উড়তে বলে যাচ্ছে, বেঁচেথাকাটি আসলে এক উৎসব। নরম আর সুগন্ধি।
আতপের দখিনা পেরিয়ে তাদের সাথে পৌঁছে যান বাতিস্তম্ভের ডানায়। আগুন এক উত্তম রাজপ্রাসাদ। সেই সুধায় হাল্কা নভোনীল, বিস্তারিত হোক তারিণীর তারাজগত।
গানাঞ্চলে ঈষৎ ইষ্টদেবতা মিলিয়ে দিন। পাঞ্চজন্য জ্বলে উঠুক স্বপ্নস্বম্ভবের চারুকলায়। পাঁচ বাই ছয়। অবচেতেনের লালিমা। কে বলে রেখাচিত্র দিয়ে আকাশের কারুকলা আঁকা যায় না।
এই যে দেখুন, কেমন ফুলে-ফসলে পেকে উঠছে ধানরুটির সদাশিউলি।
ঝরিয়ে ফেলুন বহুতলের কমলা অ্যাপ্রন। প্রিয়জনের মুখে তুলে দিন হিল্লোরের ডাকবাক্স, চিঠিদানায় চিকচিক সুফিশরত। প্রিয় হোক দিনদুনিয়ার আলোপাঠক।
অন্দর রঙ্গিণী
বাহিরে জাফরানি
আজ চামরমনি ফুল ফোটার দিন। তার সাথে ফকিরমণিও। আউশের ঘাঘরা ছুঁয়ে, উড়ছে সুমিষ্ট কনক। সেই অঞ্জলি কি শুনতে পারছেন? মন দিয়ে শুনে নিন। তবেই না আপনার রান্নাঘরে বইবে জাফরানের প্রাসাদ।
ঠিক এইভাবে বসন্তবউের চারপাশে ওড়ে কৃষকের দমফাটা ঘাম, রক্তস্বেদ। আপনি যদি ওদের বুকে না নিতে পারেন তবে আর কে? সামান্য হাসি আর কয়েকফোঁটা কান্না। মিশিয়ে রাখুন শ্বাসবায়ুর প্রপাত।
অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না বেতস-ঝর্নার ঘনফল, বেজে ওঠে ক্ষুধাকাতর দশভুজা। এবার একটুখানি তৎসম পয়ার। ভয় পাবেন না। বিষম ঠেকবে না।
এ আপনার নিজস্ব মহাষ্টমী। বাড়িতে অতিথি এলে, ভরাপাতে কয়েক পাক।
ছড়িয়ে দিন নিরাময়ের গব্যঘৃত, কস্তূরী ...
আজ চামরমনি ফুল ফোটার দিন। তার সাথে ফকিরমণিও। আউশের ঘাঘরা ছুঁয়ে, উড়ছে সুমিষ্ট কনক। সেই অঞ্জলি কি শুনতে পারছেন? মন দিয়ে শুনে নিন। তবেই না আপনার রান্নাঘরে বইবে জাফরানের প্রাসাদ।
ঠিক এইভাবে বসন্তবউের চারপাশে ওড়ে কৃষকের দমফাটা ঘাম, রক্তস্বেদ। আপনি যদি ওদের বুকে না নিতে পারেন তবে আর কে? সামান্য হাসি আর কয়েকফোঁটা কান্না। মিশিয়ে রাখুন শ্বাসবায়ুর প্রপাত।
অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না বেতস-ঝর্নার ঘনফল, বেজে ওঠে ক্ষুধাকাতর দশভুজা। এবার একটুখানি তৎসম পয়ার। ভয় পাবেন না। বিষম ঠেকবে না।
এ আপনার নিজস্ব মহাষ্টমী। বাড়িতে অতিথি এলে, ভরাপাতে কয়েক পাক।
ছড়িয়ে দিন নিরাময়ের গব্যঘৃত, কস্তূরী ...
রত্নদীপা দে ঘোষ | দুটি কবিতা
Reviewed by Pd
on
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
Rating:
কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন