মানবিকতা আর সততাই যেখানে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে ওঠার মূল মন্ত্র। যে পথ উত্তরণে মূলত কোনো শর্টকার্ট নেই। মূলধারার চড়াই উৎরাই পথেই যেখানে জীবন উদযাপনের স্বাদ। সেখানে মানুষ কোথায়?
তাহলে এত যে মানুষের বর্ণাঢ্য ঢল? নাগরিক - সমাজের আশুকল্যানে নানান রঙের সেবায়ত্ দের সকাল বিকাল কুচকাওয়াজ! এরা কারা? এদের লক্ষ্য কী? মানুষকে সেবা প্রদানে এত উচ্ছাস, এত প্রতিযোগিতা, এত ঘাড় টপকে হুড়োহুড়ি, এত সন্ত্রাস লুটপাট ভাবা যায়? ভাবা যায়, শুধু আপনাকে সুখে শান্তি নিরাপত্তায় রাখবে জন্যই তাদের জীবন আজ উৎসর্গ শুধু মেঠোপথ নয়, রাজপথ ও নয় টেলিভিশনের পর্দাতেও!
আধুনিক সভ্যতায় টেলিভিশনের উদ্ভাবনের অনেককাল পর হলেও, আমরা জানতেই পারতাম না "রাজনৈতিক বিশ্লেষক", "আইনি বিশ্লেষক" "অর্থনীতি বিশ্লেষক" "মানবধিকার বিশ্লেষক" ইত্যাদি গালভরা শব্দ ভাড়ের প্রকৃত সংজ্ঞা। আদতে যা ইচ্ছে তাই - যখন যেমন খুশি সাজি ভাই - ধরনের সব্বাই বিশ্লেষক। আর আমরা, আমরা আমজনতা পাক্কা আহম্মক। চব্বিশ ঘণ্টা আনন্দে এনি টাইম অলদা টাইম সেই সব নাটুকে স্ক্রিপ্ট গোগ্রাসে গিলতে থাকি চোখে চোখ রেখে।
আদতে এদের লক্ষ্য কী? এদের কর্মদিবসের ভূমিকা কী, এদের অতীত এদের বর্তমান এমনকি এদের ভবিষ্যত পন্থা আমরা মোটামুটি সব্বাই জানি। এবং আমরা জানি বলেই আমরা যাঁরা আজ অভিভাবক তারা প্রকৃতই বিকলাঙ্গ। অসুস্থ রাজনীতির খপ্পরে আমাদের অস্থি মজ্জা গচ্ছিত, আমাদের মেরুদন্ড বিকৃত। আমরা স্থবির - নানান রঙের মিশেলে জমাট কালো ধোঁয়ায়। তাই আমাদের কন্যা সন্তান, আমাদের পুত্র সন্তানের ভবিষ্যত সুরক্ষায়, সব সইয়ে - অন্যায়ের মইয়ে বইতে থাকি আর গাইতে থাকি উই শ্যাল অভার কাম।
আদতে উত্তরণের পথ কোথায়? ভোটের বাক্স! না।
উত্তরণের একমাত্র পথ শিক্ষা। ছাত্রসমাজ। যুবসমাজ। নৈতিক আন্দোলন। যে আন্দোলন থেকেই গড়ে উঠবে শিল্পের প্রতিষ্ঠান,কর্মের সংস্থান এবং অবশ্যই সু শাসনের প্রতিষ্ঠা। তবেই সমাজের সর্বস্তরের "ভুয়ো" প্রতিনিধিদের থেকে পরিত্রাণ।
জাগো ছাত্র যুবঐক্য, জাগো। গর্জে ওঠো। রুখে দাও মৌলবাদ, স্বৈরতান্ত্রিকতার সমূহ পৃষ্ঠপোষকতা। তোমরাই গণ জাগরণ এ উজ্জ্বল এক ভাস্বর শিখা।
- প্রিয়দীপ
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন