সাঁটলিপি- মুদ্রনপ্রমাদ - তোমার সংগে আমার
জগৎ ব্যাপি পেলব পাপ
ও পংক্তি সকল
আঙরাখা যেখানে রাখা
মূল্যবৃদ্ধিময় ক্রমশ কলুই খেত
দ্রোহ ও দমন মাঝরাত খন্ডিত অধিবাস
তেপায়া ঝিনুক
এ তবে কাহাদের কারসাজি
সীমান্ত প্রহরী- ঘুম
লাশবিদ্ধ ভৌগলিক রেখা
তবু তোমার সংগে আমার মুদ্রনপ্রমাদ
জগৎ ব্যাপি বায়ানাক্কা- রীতি
ও তার চকিত স্খলন
দ্রোহ ও দমন খন্ডিত অধিবাস
দ্বিখন্ডিত আমি
যেন নিষিদ্ধ পয়ার-
লেখা যে হলোই হয়তো বা- যজ্ঞযাত্রাকালে
অ-মানুষ অ-মানুষ খেলা
যন্ত্রচালিত লাঙল দ্রুত-দীর্ঘ-হ্রস্ব প্রেম
আ মরি জখম
তুমি আমি
দ্রোহ ও দমন
রাষ্ট্রনীতি
অচলায়তন
জনবিচ্ছিন্ন নৃপতি হে রাষ্ট্রচারী
নিকটেই এক সমাধিফলক
আত্মপক্ষ সমর্থনের
অধিকারও ফেলেছো হারিয়ে
হয়তোবা - তুমি...
✓ মানুষের কথা
মানুষেরা কাটিয়ে দিয়েছে ঢের যুগ!
আজ এই চল্লিশোর্ধ বয়সে যখোন কপালে বলিরেখা চুল আর দাড়িতে ধরেছে পাক
যখন কবিতা লিখবার সময় গিয়েছে ফুরায়ে
জীবনানন্দ বিনয় শৈলেশ্বর মলয় রায় চৌধুরী
ফাল্গুনী রায় নিত্য মালাকারকেও অতিক্রম করে
সময় হয়েছে নতুন কিছু লিখবার
আমি ব্যর্থ প্রেমিকের মতো কলম তুলে নিতে চাই
কি লিখবো আমি-
আধুনিকতাবাদ? লিখে গেছেন বোদল্যের র্যাঁবো
ইয়েটস টি এস এলিয়ট
ধর্ম ও তার সীমাবদ্ধতা
ধর্ম ও তার অসীমতা
উদারতাবাদ
মানবতাবাদ?
কি লিখবো আমি এমন এই অবেলায়
নৌকা ভিড়িয়ে আমার লোকালয় থেকে দূরে!
সব কিছু লেখা হয়ে গেছে
মানুষ তার স্রষ্টা
থিজম এইথিজম
সবকিছু লেখা হয়ে গেছে।
অবিনাশ,
আমাকে এবং আমার দেশের কথা ভেবে, তুই
বলবি হয়তো বা
আমি যেন লিখি আমাকে নিয়ে
যেনো দেশকে নিয়ে লিখি কথামালা
হ্যাঁ, কপাল পোড়া তোর এই বন্ধু আর এই দেশ নিয়ে আমার সত্যিই লিখবার আছে এমন কিছু
যা লেখা হয় নি অতীত কোনোকালে
আমি তাই কলম তুলে নিতে চেয়েছিলাম
কেউ এবং কারা এসে আমার কলম ছিনিয়ে নিলো কেউ এবং কারা এসে আমার হাতটিও কেটে নিলো
বুঝতেই তারা চাইলো না আমি কবিতায়
লিখতে চেয়েছিলাম তাদেরই অধিকারের কথা
লিখতে চেয়েছিলাম ধর্ম নয় ঈশ্বরর নয়,
কেবলি মানুষের কথা।
বুঝি সে-ই ছিলো আমার প্রধানতম অপরাধ!
বুঝতেই চাইলো না মানুষ নিয়ে লেখা মানেই
ধর্ম নিয়ে লেখা
মানুষ নিয়ে লেখা মানেই ঈশ্বর নিয়ে লেখা
বুঝতেই চাইলো না- যেখানে মানুষ নেই
সেখানে প্রয়োজন নেই কোনো ধর্ম,
কোনো ঈশ্বর।
আমি কবিতায় মানুষের কথা বলতে চেয়েছিলাম
যে- মানুষ বিশ্বাসের কথা বলতে বলতে
একদিন নিজেই হয়ে ওঠে জাজ্বল্য বিশ্বাসঘাতক!
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন