ভারতবর্ষে এই প্রথম একটি রাজনৈতিক শক্তি বিশ্বাস করতে শুরু করে দিয়েছে ক্ষমতার স্বার্থে যে কোন আইন প্রণয়নের একটাই শর্ত। নির্বাচনের হিসাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন। সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে যে কোন আইন প্রণয়ন করা যেমন সম্ভব। সম্ভব যে কোন আইন এবং সংবিধানকে কাঁচকলা দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাওয়া। তা সে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করাই হোক আর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ প্রণয়নই হোক। এবং সাম্প্রতিক যে তিন কৃষি আইন নিয়ে কৃষক বিদ্রোহ শুরু হয়েছে, সেই আইনও সংবিধান অনুযায়ী সিদ্ধ নয়। কারণ কৃষি রাজ্য তালিকা ভুক্ত বিষয়। রাজ্য তালিকাভুক্ত কোন বিষয়ে কেন্দ্র সরকার নিজে থেকে কোন আইন প্রণয়ন করতে পারে না। সেটি সংবিধানের বিধান। নতুন এই কৃষি আইনকে সেই কারণেই সূক্ষ্ম কৌশলে ট্রেড এণ্ড কমার্স আইন বলে চালানো হচ্ছে। বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের আইন প্রণয়নের অধিকার বর্তমান। সংবিধানের কোন কোন ধারায় এই সকল আইনগুলির সাংবিধানিক বৈধতা থাকার কথা নয়, সেসব সংবিধান বিশেষজ্ঞদের আলোচনার বিষয়। আমাদের আলোচনা অন্য বিষয়ে। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনই যদি সংবিধানকে কাঁচকলা দেখানোর অধিকার নিশ্চিত করে, তবে রাষ্ট্র ও দেশের নাগরিকের পক্ষে সে খুবই ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আমাদের আলোচনা সেই বিষয়েই।
এখন নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতাও বেআইনি ভাবে পাওয়া সম্ভব। যেমন ইভিএম কারচুপি। বুথ জ্যাম। বা আগেকার দিনের মতো ছাপ্পা ভোট। যেকোন ভাবেই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সম্ভব। এমনকি পড়শী দেশের সাথে যুদ্ধের ধুয়ো তুলে কিংবা দেশের নিরাপত্তার নানা রকম অজুহাত দেখিয়ে জনগণের ভাবাবেগকে হাইজ্যাক করেও নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সম্ভব। ফলে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতাই দেশের সকল জনগণের সমর্থনের প্রমাণ নয়। কিন্তু গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতিতে মাত্র এক তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর সমর্থনেও আইন সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরেই যদি নানাবিধ কৌশলে সংবিধানের বিধিকে লঙ্ঘন করে বা এড়িয়ে গিয়ে নানাবিধ আইন তৈরী হতে থাকে, তবে সেটি দেশ ও দশ উভয়ের জন্যেই অশনিসংকেত ও গভীর বিপদজনক।
ঠিক সেই রকমই একটি বিপদ ঘনিয়ে আসছে এবারে অনলাইন সংবাদ পরিবেশনা ও অনলাইন ভিত্তিক সোশ্যাল সাইটগুলিতে বাকস্বাধীনতার বৃহত্তর গণ্ডীতে।
সরকার থেকে প্রচার করা হচ্ছে, ফেক নিউজ প্রতিরোধই এই আইন নিয়ে আসার আসল কারণ। অথচ বিগত সাত বছর বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তিই কোটি কোটি অর্থ ব্যায় করে সংগঠিত শক্তিতে গোটা দেশ জুড়ে নানান ধরণের ফেক নিউজ প্রচার করে আসছে। এবং এই বিষয়ে বিশ্ব জুড়ে তাদের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে তাদের নির্বাচনী কৌশলই হলো জনগণের ভিতরে ভেদাভেদ বিদ্বেষের পাঁচলি তুলে পারস্পরিক হানাহানির বাতাবরণ সৃষ্টি করা। আর এই কাজে ফেক নিউজ তৈরীর কারখানার কার্যকারিতা অপরিসীম। শুধু অনলাইন কেন, জাতীয় নিউজ চ্যানেলগুলিতেও রাতদিন এই ফেক নিউজ পরিবেশনের এক অভিনব সংস্কৃতি চালু হয়ে গিয়েছে। পালঘাটের সাধু হত্যায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর মিথ্যা দোষারোপের কার্যক্রম কিংবা নিজামুদ্দিন থেকে করোনা ছড়িয়ে ভারতবর্ষের হিন্দুদের সংহার করার ইসলামী চক্রান্তের মিথ্যা অযুহাত, এই সবই কিন্তু মেইনস্ট্রীম নিউজ চ্যানেলেরই কারসাজি। এইরকম অজস্র উদহরণ সৃষ্টি করা হয়েছে বিগত সাত বছরে। অনেকেরই স্মরণে রয়েছে নোট বাতিলের সময় নতুন দুই হাজার টাকার নোটে তথাকথিত চিপ থাকার মিথ্যা রটনা কারা কিভাবে প্রচার করেছিল। না, তাদের এই মিথ্যা খবর প্রচারের বিরুদ্ধে কোন আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশে নতুন এই আইন নিয়ে আসা হচ্ছে না।
সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তিকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। যদিও সংগঠিত শক্তিতে সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলন সম্বন্ধে নানাবিধ ফেক নিউজ রাতদিন ধরে প্রচার করা হচ্ছেই টিভির পর্দা জুড়ে। এবং কৃষক আন্দোলনের আসল সংবাদচিত্র গুলি মেইনস্ট্রীম নিউজ চ্যানেল ও মিডিয়ায় বেমালুম চেপে যাওয়া হচ্ছে। যাতে দেশের বৃহত্তর জনসাধারণকে অন্ধকারে রাখা যায়। কিন্তু এত করেও অনলাইন ভিত্তিক অসংগঠিত সংবাদ পরিবেশকদের নিরন্তর প্রয়াস ও পরিশ্রমে দেশ বিদেশ জুড়ে কৃষক আন্দোলনের আসল চিত্রও ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষ ইনটারনেটের মাধ্যমে কৃষক আন্দোলনের বিভিন্ন দিক সম্বন্ধে অবহিত হতে পারছে। জানতে পারছে আসল সত্যগুলি। যে খবরগুলি মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার বিশেষ উদ্যোগে চেপে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, সেই খবরগুলিই ইনটারনেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের হাতের মুঠোয়। ফলে দেশব্যাপী জন-অসন্তোষ দানা বাঁধছে ধীরে ধীরে। আর এটাকেই ভয় পাচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি। এই ভয় থেকেই নতুন একটি আইন আনার তোড়জোর। যে আইনের বলে সরকার বা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির স্বার্থ বিরোধী যেকোন সংবাদ পরিবেশনের কন্ঠরোধ করা সহজ ও সম্ভব হয়।
ফলে আজও যারা অকুতোভয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে সত্যকে তুলে ধরছেন দুনিয়ার চোখের সামনে। আর বেশিদিন নাই। তাঁদেরও কন্ঠরোধ করা হবে। সাংবাদিক মনদীপ পুনিয়া কিংবা দিশা রভির মতো পরিবেশ আন্দোলনকারী সহ যে কোন অনলাইন সংবাদ পরিবেশককে গারদের অন্তরালে ঠেলে দেওয়া আরও সহজ হবে নতুন আইনের বলে। সকলকেই যে গারদে ঢোকানো হবে তাও হয়তো নয়। কিন্তু যেখানেই দেখা যাবে সরকার ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির স্বার্থ বিরোধী কোন পোস্ট তৎক্ষনাত সেই পোস্ট ও পোস্টের মালিককে অনলাইনে ব্যান করে দেওয়া হবে। ঠিক এমনই একটা অবস্থা সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই অনলাইন ভিত্তিক স্বাধীন সংবাদ প্রচারের উপরে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতেই উঠে পড়ে লেগেছে বর্তমান সরকার।
সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তিকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। যদিও সংগঠিত শক্তিতে সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলন সম্বন্ধে নানাবিধ ফেক নিউজ রাতদিন ধরে প্রচার করা হচ্ছেই টিভির পর্দা জুড়ে। এবং কৃষক আন্দোলনের আসল সংবাদচিত্র গুলি মেইনস্ট্রীম নিউজ চ্যানেল ও মিডিয়ায় বেমালুম চেপে যাওয়া হচ্ছে। যাতে দেশের বৃহত্তর জনসাধারণকে অন্ধকারে রাখা যায়। কিন্তু এত করেও অনলাইন ভিত্তিক অসংগঠিত সংবাদ পরিবেশকদের নিরন্তর প্রয়াস ও পরিশ্রমে দেশ বিদেশ জুড়ে কৃষক আন্দোলনের আসল চিত্রও ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষ ইনটারনেটের মাধ্যমে কৃষক আন্দোলনের বিভিন্ন দিক সম্বন্ধে অবহিত হতে পারছে। জানতে পারছে আসল সত্যগুলি। যে খবরগুলি মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার বিশেষ উদ্যোগে চেপে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, সেই খবরগুলিই ইনটারনেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের হাতের মুঠোয়। ফলে দেশব্যাপী জন-অসন্তোষ দানা বাঁধছে ধীরে ধীরে। আর এটাকেই ভয় পাচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি। এই ভয় থেকেই নতুন একটি আইন আনার তোড়জোর। যে আইনের বলে সরকার বা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির স্বার্থ বিরোধী যেকোন সংবাদ পরিবেশনের কন্ঠরোধ করা সহজ ও সম্ভব হয়।
ফলে আজও যারা অকুতোভয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে সত্যকে তুলে ধরছেন দুনিয়ার চোখের সামনে। আর বেশিদিন নাই। তাঁদেরও কন্ঠরোধ করা হবে। সাংবাদিক মনদীপ পুনিয়া কিংবা দিশা রভির মতো পরিবেশ আন্দোলনকারী সহ যে কোন অনলাইন সংবাদ পরিবেশককে গারদের অন্তরালে ঠেলে দেওয়া আরও সহজ হবে নতুন আইনের বলে। সকলকেই যে গারদে ঢোকানো হবে তাও হয়তো নয়। কিন্তু যেখানেই দেখা যাবে সরকার ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির স্বার্থ বিরোধী কোন পোস্ট তৎক্ষনাত সেই পোস্ট ও পোস্টের মালিককে অনলাইনে ব্যান করে দেওয়া হবে। ঠিক এমনই একটা অবস্থা সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই অনলাইন ভিত্তিক স্বাধীন সংবাদ প্রচারের উপরে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতেই উঠে পড়ে লেগেছে বর্তমান সরকার।
সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার এইরকম প্রয়াস ভারতীয় গণতন্ত্রে এর আগে মাত্র একবারই দেখা গিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর রাজত্বকালে সেই জরুরী অবস্থা জারির সময়। কিন্তু দেশে এখন কোন জরুরী অবস্থা জারি নাই। অথচ অঘোষিত এক চাপা কিন্তু অমোঘ জরুরী অবস্থা চলছে বিগত সাত বছর।
অধিকাংশই মুখে কুলুপ এঁটে ঘরে দরজা দিয়ে আত্মরক্ষায় ব্যস্ত। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ -এর বিরোধীতায় দেশব্যাপী আন্দোলনে সামিল হওয়া অনেকেরই ঠিকানা এখন গারদের অন্তরালে। বিশেষত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নেতৃত্বস্থানীয়দের ভিতরে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীদের ভিতরেই এই দমন পীড়ন নেমে এসেছে বিশেষ করে। বিগত সাত বছরে সত্যের পক্ষ নেওয়া অনেককেই হত্যা করা হয়েছে। বাকিদের ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে। দেশেব্যাপী জনগণের অভাব অভিযোগ নিয়ে কোন আলোচনার পরিসর নাই। আলোচনা তুলতে গেলেই ভয় ধরানোর কার্যক্রম। ফলে ভীত সন্ত্রস্ত মানুষসহ বাকিদেরকেও এবারে একেবারে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য আনা হচ্ছে নতুন আইন। ফেক নিউজ প্রতিহত করার মিথ্যা ছলে আসল সত্য ঘটনাগুলিকে পুরোপুরি চেপে দেওয়ার এ এক অভিনব উদ্যোগ। ভারতবর্ষের রাজনীতিতে এক নতুন পর্বের উন্মোচন হতে চলেছে।
বস্তুত ভয়ের বাতাবরণ গড়ে তোলার এক নিঃশ্ছিদ্র আয়োজন। বিগত সাত বছর ধরেই দিনে দিনে একটু একটু করে আজ পরিস্থিতি বেশ ঘোরালো। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি এই কথাটুকু দেশব্যাপী মানুষকে বুঝিয়ে দিতে পেরেছে যে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির স্বার্থবিরোধী অবস্থান নিলে সেটাই দেশদ্রোহীতা। দেশপ্রেম আর ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির বশংবদ হয়ে থাকা যে সমার্থক। সেটা বুঝে গিয়েছে জনসাধারণ। কিন্তু কৃষক আন্দোলন সেই অবস্থায় প্রায় জন ঢেলে দিয়েছে। কৃষকদের দাবি যত জোরালো হয়ে উঠছে। সেই দাবি ইনটারনেট জুড়ে যত বেশি ছড়িয়ে পড়ছে, ততই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির পায়ের তলার জমি আলগা হয়ে পড়তে চলেছে। এখন সেই আলগা জমির মাটিকে দৃঢ় ভাবে শক্ত করে ধরে রাখার তৎপরতা বৃদ্ধি করতে উঠে পড়ে লেগেছে সরকার। অনলাইন পোস্টিং এর উপরে সরকারী খবরদারীর আইন নিয়ে আসা, সেই তৎপরতারই একটি পদক্ষেপ। সরকারের আশা শুধু কৃষক বিদ্রোহ নয়, পরবর্তী সরকার বিরোধী যাবতীয় আন্দোলনকেই এই রকমের নিত্য নতুন আইন প্রণয়নের পথেই প্রতিহত করা সম্ভব হবে। আর মেইনস্ট্রীম মিডিয়া জুড়ে সরকারের হয়ে প্রচারকার্যের সহায়তা তো রয়েছেই। এবং দেশব্যাপী ফেক নিউজ তৈরীর কারখানা গুলিও এই কাজে ক্ষমতার ঔদ্ধত্যকে নিশ্চিন্তে থাকতে সাহায্য করবে সন্দেহ নাই।
৬ই মার্চ’ ২০২১
বস্তুত ভয়ের বাতাবরণ গড়ে তোলার এক নিঃশ্ছিদ্র আয়োজন। বিগত সাত বছর ধরেই দিনে দিনে একটু একটু করে আজ পরিস্থিতি বেশ ঘোরালো। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি এই কথাটুকু দেশব্যাপী মানুষকে বুঝিয়ে দিতে পেরেছে যে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির স্বার্থবিরোধী অবস্থান নিলে সেটাই দেশদ্রোহীতা। দেশপ্রেম আর ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির বশংবদ হয়ে থাকা যে সমার্থক। সেটা বুঝে গিয়েছে জনসাধারণ। কিন্তু কৃষক আন্দোলন সেই অবস্থায় প্রায় জন ঢেলে দিয়েছে। কৃষকদের দাবি যত জোরালো হয়ে উঠছে। সেই দাবি ইনটারনেট জুড়ে যত বেশি ছড়িয়ে পড়ছে, ততই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির পায়ের তলার জমি আলগা হয়ে পড়তে চলেছে। এখন সেই আলগা জমির মাটিকে দৃঢ় ভাবে শক্ত করে ধরে রাখার তৎপরতা বৃদ্ধি করতে উঠে পড়ে লেগেছে সরকার। অনলাইন পোস্টিং এর উপরে সরকারী খবরদারীর আইন নিয়ে আসা, সেই তৎপরতারই একটি পদক্ষেপ। সরকারের আশা শুধু কৃষক বিদ্রোহ নয়, পরবর্তী সরকার বিরোধী যাবতীয় আন্দোলনকেই এই রকমের নিত্য নতুন আইন প্রণয়নের পথেই প্রতিহত করা সম্ভব হবে। আর মেইনস্ট্রীম মিডিয়া জুড়ে সরকারের হয়ে প্রচারকার্যের সহায়তা তো রয়েছেই। এবং দেশব্যাপী ফেক নিউজ তৈরীর কারখানা গুলিও এই কাজে ক্ষমতার ঔদ্ধত্যকে নিশ্চিন্তে থাকতে সাহায্য করবে সন্দেহ নাই।
৬ই মার্চ’ ২০২১
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন