■ তৃষ্ণা বসাক | বাংলা সাহিত্যে অন্নচিন্তা চমৎকারা

■ তৃষ্ণা বসাক | বাংলা সাহিত্যে অন্নচিন্তা চমৎকারা


অন্ন বাক্য অন্ন প্রাণ অন্নই চেতনা
অন্ন ধবনি অন্ন মন্ত্র অন্ন আরাধনা
অন্ন চিন্তা অন্ন গান অন্নই কবিতা
অন্ন অগ্নি বায়ু জল নক্ষত্র সবিতা
অন্ন আলো অন্ন জ্যোতি সর্বধর্মসার
অন্ন আদি অন্ন অন্ত অন্নই ওঙ্কার

(অন্নদেবতা/ বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)

অন্ন শব্দের মূলে রয়েছে অদ ধাতু যার অর্থ ভোজন করা। অর্থাৎ যা কিছু ভোজন করা যায় তাইই অন্ন। ব্যুৎপত্তিগত অর্থ মানলে, তাই, যেকোনো আহার্য বস্তুই অন্ন। আবার বঙ্গীয় শব্দকোষে অন্নের অন্যতম একটি অর্থ দেওয়া আছে- ‘যাহা ভূতেরা ভক্ষণ করে’। তবে প্রচলিত অর্থে ধান থেকে পাওয়া চাল ফুটিয়ে যে খাদ্য পাওয়া যায়, তাই অন্ন। কলিতে অন্নগত প্রাণ আর বাঙ্গালির তো আক্ষরিক অর্থেই অন্নময় জগত। তার শব্দভাণ্ডারেও অন্নকূট, অন্নক্ষেত্র, অন্নজল, অন্নজীবি, অন্নদা, অন্নদাতা, অন্নধবংস, অন্নপ্রাশনের ছড়াছড়ি। বাঙ্গালির সাহিত্যেও নানা রূপে এই অন্নের প্রকাশ। যা দেখে সত্যিই মনে হয় অন্নচিন্তা চমৎকারা।
স্বয়ং ভারতচন্দ্র বলেছেন
‘...
তুমি অন্ন দেহ যারেঃ অমৃত কি মিঠা তারে
সুধাতে কে করে সাধ এ সুধা ছাড়িয়া
পরশিয়া অন্ন-সুধাঃ ভরতের হর ক্ষুধাঃ
মা বিনা বালকে অন্ন কে দেয় ডাকিয়া।’

মেয়েসন্তানের ক্ষেত্রে মায়ের কাছে অনায়াসে পাওয়া অন্ন শাশুড়ির কাছে এসে,হয়ে যায় খোঁটা ।

‘যদি আহারের প্রতি বধূর কোন অবহেলা দেখিতেন তবে শাশুড়ি বলিতেন ‘নবাবের বাড়ির মেয়ে কিনা! গরিবের ঘরের অন্ন ওঁর মুখে রোচে না।’ (দেনাপাওনা/ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)। আবার এই রবীন্দ্রনাথই পরিহাস করে বলেছেন-

‘দেশে অন্নজলের হল ঘোর অনটন
চলে হুইস্কি সোডা আর মুরগি মটন’

যা অন্ন, তাই ভাত। শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘ভক্ত’ থেকে যার অর্থ অন্ন বা খাদ্য। ইংরেজি ‘মীল’ শব্দটির সঙ্গে এর সখ্য টের পাওয়া যায় যখন দেখি খালি পেটে খাওয়া ওষুধের নাম প্রাগভক্ত অর্থাৎ বিফোর মীল। খাওয়ার পরে যে ওষুধ খেতে হয় তার নাম অধোভক্ত বা পোস্ট মিল। যাই হোক, বর্তমান প্রচলিত অর্থে ভাত, অন্য কোন আহার্য নয়, স্রেফ রোজকার নুনভাত, ডালভাত, দুধভাত বা মাছভাতের ভাত। নিজের সন্তানকে দুধেভাতে রাখার আকুতি শুধু ঈশ্বর পাটুনীর নয়, সব বাঙ্গালির। সেই ভাতের অভাব কখনো হয়নি বাংলা প্রবাদ প্রবচনে বা সাহিত্যে। ঘুরিয়ে বলা যায়, আর যাই হোক, বাংলাসাহিত্য এখনো হাভাতে নয়!

- ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না

- মায়ের বোন মাসি
কাদায় ফেলে ঠাসি
বাপের বোন পিসি
ভাত কাপড় দিয়ে পুষি।

-‘এসো ভাত, অন্নব্রহ্ম
জেগে ওঠো দরিদ্র এ দেশে
... সাদা ভাত

আহা ভাত, রক্তবীজ সৈন্যের মুদ্রায় হাজারে হাজারে এস
লক্ষ কটি অজুত বিজুত ভাত ঢেকে ফেল তৃতীয় বিশ্বের এই কংকাল শরীর’
(কৃষ্ণা বসু)

দুখে ক্যাওড়ারা জানে ভাতের ওপর কিছু হয় না

‘ভাত? ভাতের উপর জিনিস নাই। পাঁচদিন দুধ খান, অরুচি ধরে যাবে। এককথা ওই ছানাক্ষীরঘিয়ে। কিন্তু ভাতে অরুচি নাই। মাংস খাবেন দুদিন। ভাত খাবেন নিত্যদিন। সকালে খাবেন, দুপুরে খাবেন, রাতে খাবেন। শুধু নিজে খেলে চলবেনি। মাগকেও খাওয়াতে হবে। ভাত থেকে ভাতার। ভাত জুটতে না পারলে মাগ পালিয়ে যাবে।’

(দুখে ক্যাওড়া, রামকুমার মুখোপাধ্যায়।)

আর আমাদের দেশের কত মানুষ তো স্রেফ ভাত খান তরিতরকারি ডাল মাছের আভরণহীন স্রেফ সাদা ভাত।
‘বড় বড় মেটে হাড়িতে ভাত সিদ্ধ হয়েছে, অথচ কোন দিকে কিছু দেখা গেল না। ওরা বড় কাঁসার উঁচু থালাতে এক রাশ ভাত ঢেলেছে এক একজনের জন্য। শুধু ভাত নুনই না কৈ! আশ্চর্য এই যে ওই নিটোল স্বাস্থ্য শুধু এই উপাদানহীন ভাত খেয়ে।’

(বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)

‘চোট্টি উঠল, ঘরে গেল। হরমুর মা ওকে থালা এগিয়ে দিল। ডাল আর ফেনা ভাত, এখন জঙ্গলে শিকার মেলে না। ওরা ডাল আর ফেনাভাত, তেঁতুলপাতার ঝোল, হাটে কেনা শুওরের মাংস এই সবই খায়। মিশনের লোকেরা খরা-আকালে খয়রাতি দিতে এলে বলে, এত কম পুষ্টির খাদ্য পেয়ে বেঁচে থাকার অভ্যাস আছে বলেই অনাহারে আদিবাসীরা মরে কম।’

(চোট্টি মুণ্ডা এবং তার তীর, মহাশ্বেতা দেবী)

কখনো ফেনা ভাতের সঙ্গে আলুসেদ্ধ আর কাঁচা লংকা-তা-ই অমৃত।

‘সুপ্রীতি ভাত খেতে ভালবাসেন, ফেনা ভাতের সঙ্গে একটু আলুসেদ্ধ কাঁচা লংকা হলেই তিনি তৃপ্তি পান। সেই সামান্য ভাতটুকুও তাকে দেওয়া যাবে না।’

(পূর্ব পশ্চিম, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)

তবে কথায় বলে কত ধানে কত চাল। ভাত খেতে গেলে চাল চাই আর ধান থেকে চাল হয়ে ওঠা তো এক সন্তান জন্মের মতই দীর্ঘ যত্ননির্ভর প্রক্রিয়া। বাংলা সাহিত্যে সে বর্ণনার অভাব নেই।

‘এরপর ধান থেকে চাল তৈরি করার পালা। কড়ায় জল দিয়ে ধান ঢেলে উনুনে জ্বাল দিয়ে দিয়ে ভেপে উঠলে ধান ঢেলে দিতে হয় মাটির তৈরি ম্যাচলায়। তাতে জল ভরে দিতে হয়। পরদিন ‘ভাপানো’ ধান ‘সিদ্ধ’ করতে হয়। ধান ফেটে ভাত বেরিয়ে পড়ে তবে উঠনের রোদে ঢেলে, মেলে দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। পাড়ার কোন মেয়ে ধান চাখতে জানলে গোটা চারেক ধান নিয়ে যেয়ে মাটিতে রগড়ে চাল বার করে দাঁতে ফেলে চিবিয়ে তাক করে দেখো। ‘চিঁড়ে-বেতে’ হলে আর একপিঠ রোদ পাইয়ে তুলে নাও। বেশিক্ষণ রাখলে সব চাল ফেটে যাবে। ভাত না খেয়ে খেতে হবে খুদের জাউ!’

(আব্দুল জব্বার)

ভাতের জল চড়িয়ে দেখা গেছে চাল বাড়ন্ত –এমন কত সংসারে হয়েছে।
‘ভাতের জল চড়াইয়াছিল, মা চাল ধুইতে গেল। চাল ধুইবার জন্য ধুচুনি হাতে করিয়া মাতা গালে হাত দিল। বলিল চাল কই? প্রফুল্লকে দেখাইল, আধ মুঠা চাউল আছে মাত্র তাহা একজনের আধপেটা হইবে না’

(দেবী চৌধুরানী, বংকিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)

কৃষ্ণদাস কবিরাজের শ্রীশ্রী চৈতন্যচরিতামৃততে আছে ঘি চপচপে শালিধানের ভাত খাওয়ার লোভনীয় বর্ণনা।

‘মধ্যে পাত ঘৃতসিক্ত শাল্যন্ন স্তূপ
চারিদিকে ব্যঞ্জন ডোঙ্গা আর মূগসূপ’

চালের যে কত রকমফের ছিল তার নানা উদাহরণ আছে মঙ্গলকাব্যে। ছোটদের ছড়ায় আছে দাদখানি চালের কথা।

‘দাদখানি চাল
মুসুরির ডাল
চিনিপাতা দই
ডিমভরা কই’

এই দাদখানি এসেছে দাউদ খান থেকে। এই চাল নাকি দাউদ খানের খুব প্রিয় ছিল। পাওয়া যেত দিনাজপুর অঞ্চলে। ধানের নাম তো নয়, যেন কবিতার নাম। দুর্গাভোগ, জামাইলাড়ু, পুণ্যবতী, লক্ষ্মী প্রিয়, কনকলতা।

‘রেশনের চালে আমার রুচি নেই। না হয় না খেয়েই থাকবো! কিন্তু যেদিন খাব, সেদিন দাদখানি বা রূপশালি বা দেরাদুনের চাল। অথবা বরিশালের বালাম’

( চানঘরে গান , বুদ্ধদেব গুহ)

‘শীতে নবান্ন বাঙালিদের বড় পুরনো, বড় সুন্দর পার্বণ। সেই কবে কোন অতীতে যখন অঘ্রাণ মাস দিয়ে আমাদের বছর শুরু হত তখন লোকেরা হেমন্তের প্রথম ফসলের আলোচাল আর তার সঙ্গে কাঁচা দুধে নতুন গুড়, আখ আর কলা মিশিয়ে নবান্ন করে কৃতজ্ঞ চিত্তে দেবতাকে ভোগ দেওয়া শুরু করেন। নবান্ন অনুষ্ঠান আর নবান্ন স্বাদগন্ধ আমাদের ছেলেবেলার শীতের একটা সবচেয়ে আনন্দময় স্মৃতি। গায়ে গঞ্জে এখন নবান্ন থাকলেও কলকাতার বেশির ভাগ বাড়ি থেকে তা উঠে গেছে।’

(মাছ আর বাঙালি, রাধাপ্রসাদ গুপ্ত)

‘ঘরে ঘরে নতুন সুগন্ধ, ধবধবে সাদা চাল শেষ রাতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল, এখন শিলনোড়ায় বাটা হচ্ছে, এতক্ষণ ধরে যে নারকেল কুরিয়ে স্তূপ করা হয়েছিল তাও বাটা হচ্ছে। গতরাতেই চাকা চাকা মিছরি ভেজানো হয়েছিল সেই মিছরির জলে ঐ চাল-বাটা, নারকেল –বাটা, ডাবের জল, গন্ধরাজ লেবুর রস মিশিয়ে কলসিতে কলসিতে স্ত্রীলোকেরা তৈরি করেছে নবান্ন।’

(অক্ষয় মালবেরি, মণীন্দ্র গুপ্ত)

সিধের প্রধান উপকরণও এই চাল।

‘রামহরি লেটের বাড়ি থেকে এসেছিল একটি ভালো সিধে- মিহি চাল, ময়দা, কিছু গাওয়া ঘি, কিছু দালদা, তেল, তরিতরকারি এবং একটা মাছ’

(আরোগ্য নিকেতন, তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়)

‘ধামা যুগলে থরে বিথরে সাজানো উৎকৃষ্ট বালাম চাউল, সুদৃশ্য মুগ ডাইল, সর্ষপ তৈল, গব্যঘৃত...’

(আয় মন বেড়াতে যাবি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়)

অম্ল পানীয়- অম্লানি- আমানি। জলে ভাত ভিজিয়ে রাখলে যে অম্ল জল হয় তার নাম কাঁজি। সাধারণ ভাবে রাতে ভিজোনো ভাতকে পান্তা ও সকালে ভিজোনো ভাতকে পষ্টি বলা হয়।

প্রবাদে আছে ‘একে মা রাঁধে না পান্তা আর পষ্টি।‘ গরমে আমানি শরীর ঠান্ডা করে।

এক শ্বাসে সাত হাঁড়ি আমানি উজাড়ে (চণ্ডীমঙ্গল)
পান্তা আমানি পাইলে এখনি সুখেতে আহার করি (মনসামঙ্গল)

তো পান্তা খাওয়ার বর্ণনাও কম নেই বাংলা গল্প-উপন্যাসে।

‘যাহারা বলে গুরুচরণের মৃত্যুকালে তাঁহার দ্বিতীয় পক্ষের সংসারটি অন্তঃপুরে বসিয়া তাস খেলিতেছিলেন, তাহারা বিশ্বনিন্দুক, তাঁহারা তিলকে তাল করিয়া তোলে, আসলে গৃহিণী তখন এক পায়ের উপ্র বসিয়া দ্বিতীয় পায়ের হাঁটু চিবুক পর্যন্ত উত্থিত করিয়া কাঁচা তেঁতুল, কাঁচা লংকা এবং চিংড়ি মাছের ঝাল চ্চচড়ি দিয়া অত্যন্ত মনোযোগের সহিত পান্তাভাত খাইতেছিলেন’

(রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

‘সেখানে দুই ভাইবোন পাঁচুকাকা আর সুবিপিসি দুই কাঁসি পান্তা নিয়ে বসেছে। পোড়ানো শুকনো লংকা, লেবুপাতা আর নুন দিয়ে তারা পান্তা মেখে তারিয়ে তারিয়ে খায়’

(অক্ষয় মালবেরি, মণীন্দ্র গুপ্ত)

আর ভাতের বিস্তার তো বিস্ময়কর। সে একইসঙ্গে রোগীর ও ভোগীর। কখনো রুগীর পথ্য গলা ভাত তো কখনো রাজসিক বিরিয়ানি। আর তা অননুকরণীয় পরশুরামের কলমে।

‘আমি বলে গিয়ে তিনটি বছর ডিসপেপসিয়ায় ভুগছি, কিছু হজম হয় না, সব বারণ, দিনে শুধু গলা ভাত আর শিঙ্গি মাছের ঝোল, রাত্তিরে বার্লি – আর তুমি আমাকে পোলাও কালিয়ার লোভ দেখাচ্ছ! কি ভয়ানক খুনে লোক!’

(রাজভোগ, পরশুরাম)

‘বিরিয়ানি রান্নার? এক নম্বর বাঁশমতী চাল- এখন তার দাম পাঁচ টাকা সের, খাঁটি গাওয়া ঘি, ডুমো ডুমো মাংস, বাদাম পেস্তা কিশমিশ এবং হরেক রকম মশলা, গোলাপ জলে খোয়া খোয়া ক্ষীর, মৃগনাভি সিকি রতি, দশ ফোঁটা অডিকলন, আলু একদম বাদ। চাল আর মাংস প্রায় সিদ্ধ হয়ে এলে তার ওপর দু-মুঠো পেঁয়াজ কুচি মুচমুচে করে ভেজে ছড়িয়ে দিই, তার পর দমে বসাই। খেতে যা হয় সে আর কি বলব!’

(রাজভোগ, পরশুরাম)

তো মাছ ভাত, দুধ ভাত, ডাল ভাত, নিদেন পক্ষে নুন ভাতও জোটে না যখন, বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় ধান, চাল? সে আকালের মর্মান্তিক ছবি এঁকেছেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অশনি সঙ্কেত উপন্যাসে।

‘বিষ্টুপুর, ভাতছালা, সুবর্ণপুর, খড়িদিঘী প্রভৃতি গ্রাম থেকে ধানচাল জড়ো হয়ে আগে আগে নরহরিপুরের প্রসিদ্ধ চালের ও ধানের হাট বোঝাই হয়ে যেত- সেই হাটের অত বড় চালাঘর খালি পড়ে আছে- এক কোণে বসে শুধু এক বুড়ি সামান্য কিছু চাল বিক্রি করছে।
গঙ্গাচরণ কাছে গিয়ে বলল – কি ধানের চাল?
-কেলে ধান ঠাকুর মশায়। নেবেন? খুব ভালো চাল কেলে ধানের। কথায় বলে-

ধানের মধ্যি কেলে, মানুষের মধ্যি ছেলে-

বুড়ির কবিত্বের দিকে অত মনোযোগ না দিয়ে গঙ্গাচরণ ওর ধামা থেকে চাল তুলে পরীক্ষা করে দেখতে লাগল। যেমন মোটা, তেমনি গুমো। মানুষের অখাদ্য। তবুও চাল বটে, খেয়ে মানুষের প্রাণ বাঁচতে পারে।

... মানুষ কি এবার সত্যিই না খেয়ে মরবে? কিসের কুলক্ষণ এসব? পরশুও তো চালের দাম এত ছিল না। দুদিনে ষোল টাকা থেকে উঠল চব্বিশ টাকা এক মণ চালের দর- তাও এই মোটা, গুমো মানুষের অখাদ্য আউশ চালের!’ মানুষের সৃষ্ট এই দুর্ভিক্ষ দেখেই বোধহয় কবি লিখেছেন-

‘সে অন্নে যে বিষ দেয় কিংবা তাকে কাড়ে
ধবংস করো ধবংস করো ধবংস করো তারে।’





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ