-স্বপ্ন
রাতের শরীর উন্মুক্ত করে এক চিল দৃষ্টিকে নগ্ন করেছে যে অন্ধকার,
একদিন তুমি তার নাম দিয়েছিলে স্বপ্ন ...
সেই থেকে ওই ক্ষণজন্মার কপাল থেকে
আমি রগড়ে মুছে দিয়েছিলাম বিধাতার যতিচিহ্ন,
বেপরোয়া হতে শিখিয়েছিলাম -
খিড়কির ফাঁক দিয়ে গলে পড়া উচ্ছ্বল রোদেলা দুপুরগুলোকে।
গুছিয়ে রাখতে শিখেছিলাম,
নিষিদ্ধ পল্লীর মত অনুচ্চারিত রাতগুলোকে সোচ্চার সতীত্বের আসনে ...
তারপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে!
এখন খিড়কির গোপনাঙ্গে বড় ধুলো, রাতের নিশ্বাসও জমাট তরল।
তবুও,
সুড়ঙ্গের জঠরে কিছু বন্ধ দরজার তালা খসে পড়লে, আজও
চোখের বারান্দায় এসে দাঁড়ায় গুঁড়ো গুঁড়ো বায়োস্কোপ...
চোখ বুজি আর অপলক দেখি, দেখতেই থাকি -
ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে যে ভোর,
তার প্রাক অধ্যায়ের গাঢ় চুম্বন শুষে নিতে নিতে
তুমি কানে কানে বলছো,
'নদীর রাত, একটা গহীন ঢেউ দিয়ে যাও দেখি'...
তারপর?
তারপর, কলম আর থামে না ...
বালিশের পশমে এক শীতভাঙা উষ্ণতার উপন্যাস
লিখেই চলে, লিখেই চলে...
সুমনা পাল ভট্টাচার্য
Reviewed by Pd
on
নভেম্বর ৩০, ২০১৮
Rating:
Reviewed by Pd
on
নভেম্বর ৩০, ২০১৮
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন