তাপসকিরণ রায়

তাপসকিরণ রায়
 ক্ষতচিহ্ন  

আমার বিপ্লবের  তুমি বই লিখো,
এ ধূলি ঝড় ! চূর্ণ বাতাসের পিঠে
ধূলিসাৎ কথাগুলি মাটির ফসিলে রাখা আছে জেনো।
ধিক ! যারা চলে গেছে তুমি তাকে ব্যর্থতা বলেছ,
অথচ তাদের রক্ত এ মাটিতে মিশে আছে। 
এ যে শীষ সবুজ ধরেছে, আগামীর স্বর্ণঝর তোমার চোখেও জুড়েছে। 
যে বৃক্ষের তলে দাঁড়িয়ে তুমি প্রেম কথা বলো,
সেখানের রাঙাপথ কেন লাল হল জানো ?
একবার ভেবো--সেদিনের রক্তপথ আজের বিছানো কংক্রিট।
আজ নিশান্তে ঘুমিয়ে আছে স্বপ্নিল তরবারি,
আজ এই যে কবি তার জানালায় দাঁড়িয়ে
আপন ভাষায় অনর্গল তার স্বপ্ন রচতে পারে।
মা, ডাকের আপ্লুত ঝংকার, মনই তো জানে তার গভীর অনুরণন --
ভালবাসায় বসন্ত ফোটে, শূন্য কাঁটার গোলাপে রাঙে প্রেমিকাগাল ! 
রক্ত শুকিয়ে গেলে বিবর্ণ শ্যাম--তারপর একদিন মাটি হয় খাঁটি, 
আসলে সে লালমাটি বিপ্লবের ইতিহাস বলে।
সে শহীদের রক্তধার আজও তোমার উঠোন
দেখো শোণিত ঘ্রাণ, নিকানো ন্যাতার  তলে 
মা’রা যে আজও সন্তানের শরীরঘ্রাণ পায়।     
লাবণ্যের নীচে এখনো রক্তলবন ঘ্রাণ, রক্তখার।
আপন রক্তে ওঁরা লিখে গেছে মাতৃভাষ, তোমাদের বুকে মাখা
বুৰ্বক হাতিয়ারী ভাষার ক্ষতচিহ্ন !
লৌহ ফলকে একদা ছিল শহীদের ভাষা নিবেদন। 
আজের ফেব্রুয়ারি তোমাকে স্মরি, 
মাতৃভাষায় ডাক দিয়ে, যাঁরা আর এলো নাকো ঘরে ফিরে-- 
সেই বরকত, জব্বর, রফিকদের প্রতিকৃতি আজ নিজেরই হৃদয়ে ধরি।

তাপসকিরণ রায় তাপসকিরণ রায় Reviewed by Pd on ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.