পাশ ফিরে শুলাম । আর দশ পাঁচটা দিনের মতো। কম্বলের ওমে মুখ গুঁজে উষ্ণতা হাতড়ালাম কিছুক্ষণ । একনাগাড়ে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর ঘড়ির খচখচ শব্দ। সব কিছুই অন্যদিনের মতো অবিকল !
শুধু বন্ধ সার্সিতে হেমন্ত পূর্ণিমার চাঁদ যেটুকু স্নিগ্ধতা আঁকার চেষ্টা করছিলো সেটুকু ম্লান হয়ে গেছে আবছা একটা অবয়বে। আড়াই পাক দিয়ে গলির নেড়িটা নেতিয়ে গেছে অনেকক্ষণ। আবছায়া দাঁড়িয়ে আছে আদুল গায়ে ছোট্ট এক মেয়ে। দুপায়ের মাঝে টপটপ জমছে শিশির ,পলাশ রঙা।
উঠে গিয়ে দেখে এলাম। আমার দুলালি টেডিটাকে জড়িয়ে শুয়ে আছে ,অঘোরে। দেয়ালার আলপনায় মাখামাখি নরম তুলতলে গাল। আমি আবার পাশ ফিরে শুলাম।
খবরে দেখায় কারা যেন কচি চামড়ায় নকশি কাঁথা সেলাই করেছে। ভেজা পাতা তুলে কে যেন বলেছিলো "বাবা! আমার খুব ব্যাথা করছে" ।
রিমোটের কারসাজিতে বদলে যায় চ্যানেল। আমি সোফায় হেলান দিয়ে বসি। গলা বাড়িয়ে আড়চোখে দেখে নিই আমার চারবছরের মেয়ে হোমওয়ার্ক শেষ করে রামধনু আঁকছে । দুএকটা প্রজাপতি ডানায় রঙিন ছোপ ! ডিনার টেবিলে কাঁটা চামচ অহেতুক মাথা ঠোকে লাওপালার প্লেটে । ব্ল্যাঙ্কেটের তলায় গাঢ় হয় রাত। দীর্ঘ শ্বাসের লয় কেটে পাশ ফিরে শুই । অন্যরাতের মতো।
প্রতিদিন চোখে পড়ে কুকুরের কামড়ে খোবলানো শরীর। আঙুলের চাপে রগড়ানো কচি লেবুপাতা। পোকা কাটা নয়নতারা কুঁড়ি। পায়ের তলায় পিষে যায় গোলাপের চারা । পথে নামা মিছিলের দিকে পিছন ফিরে , ফিরে আসে লক্কা পায়রা । পানকৌড়ি । কাক । বক । রোদে পোড়া বিকেল।
মাথা গুনে মিলিয়ে নিই আমার খোঁয়াড়ের হিসেব। দেখে নিই ডায়েরির খাঁজে রাখা অপরাজিতার পাপড়ি। ময়ূরের পালক। ফ্যানের ব্লেডে কেটে যায় সময়।দেওয়ালে ঝুলে থাকা ছবির পোশাক খসে পড়ে । আবার নীল আলোর তলায় টিকটিকি সোহাগ । আকাশ ছোঁয়া আবেদনে সেই চেনা মেজাজ । শীতঘুমে যাওয়ার আগে খোলস ছেড়েছে দাঁড়াস ! মুখে এখনো লেগে আছে ব্যাঙের শেষ চিৎকার।
আর আমি.......
অভ্যেসবশতঃ পাশ ফিরে শুই ! শান্তিতে ঘুমাবো বলে।
শুধু বন্ধ সার্সিতে হেমন্ত পূর্ণিমার চাঁদ যেটুকু স্নিগ্ধতা আঁকার চেষ্টা করছিলো সেটুকু ম্লান হয়ে গেছে আবছা একটা অবয়বে। আড়াই পাক দিয়ে গলির নেড়িটা নেতিয়ে গেছে অনেকক্ষণ। আবছায়া দাঁড়িয়ে আছে আদুল গায়ে ছোট্ট এক মেয়ে। দুপায়ের মাঝে টপটপ জমছে শিশির ,পলাশ রঙা।
উঠে গিয়ে দেখে এলাম। আমার দুলালি টেডিটাকে জড়িয়ে শুয়ে আছে ,অঘোরে। দেয়ালার আলপনায় মাখামাখি নরম তুলতলে গাল। আমি আবার পাশ ফিরে শুলাম।
খবরে দেখায় কারা যেন কচি চামড়ায় নকশি কাঁথা সেলাই করেছে। ভেজা পাতা তুলে কে যেন বলেছিলো "বাবা! আমার খুব ব্যাথা করছে" ।
রিমোটের কারসাজিতে বদলে যায় চ্যানেল। আমি সোফায় হেলান দিয়ে বসি। গলা বাড়িয়ে আড়চোখে দেখে নিই আমার চারবছরের মেয়ে হোমওয়ার্ক শেষ করে রামধনু আঁকছে । দুএকটা প্রজাপতি ডানায় রঙিন ছোপ ! ডিনার টেবিলে কাঁটা চামচ অহেতুক মাথা ঠোকে লাওপালার প্লেটে । ব্ল্যাঙ্কেটের তলায় গাঢ় হয় রাত। দীর্ঘ শ্বাসের লয় কেটে পাশ ফিরে শুই । অন্যরাতের মতো।
প্রতিদিন চোখে পড়ে কুকুরের কামড়ে খোবলানো শরীর। আঙুলের চাপে রগড়ানো কচি লেবুপাতা। পোকা কাটা নয়নতারা কুঁড়ি। পায়ের তলায় পিষে যায় গোলাপের চারা । পথে নামা মিছিলের দিকে পিছন ফিরে , ফিরে আসে লক্কা পায়রা । পানকৌড়ি । কাক । বক । রোদে পোড়া বিকেল।
মাথা গুনে মিলিয়ে নিই আমার খোঁয়াড়ের হিসেব। দেখে নিই ডায়েরির খাঁজে রাখা অপরাজিতার পাপড়ি। ময়ূরের পালক। ফ্যানের ব্লেডে কেটে যায় সময়।দেওয়ালে ঝুলে থাকা ছবির পোশাক খসে পড়ে । আবার নীল আলোর তলায় টিকটিকি সোহাগ । আকাশ ছোঁয়া আবেদনে সেই চেনা মেজাজ । শীতঘুমে যাওয়ার আগে খোলস ছেড়েছে দাঁড়াস ! মুখে এখনো লেগে আছে ব্যাঙের শেষ চিৎকার।
আর আমি.......
অভ্যেসবশতঃ পাশ ফিরে শুই ! শান্তিতে ঘুমাবো বলে।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন