বারবার এই শব্দটা ভেসে আসছে, অথচ চারপাশের ঘরবাড়ি, পথ-ঘাট ছুঁয়ে এতো আলোর অভিবাদন। রং-বেরঙের মোমবাতি, ফুলঝুরির আগুনের মায়া স্পর্শ করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পতঙ্গের তীব্র আকর্ষিত মোহ। তবু কেন যে সামান্য একটা আওয়াজ টেনে নিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ দূরে আরও দূরে... হয়তো কোনো এক সময়কালের মায়াজালে। অথচ, দ্যাখো হুইসেল বাজাতে বাজাতে ট্রেনটা কিন্তু বেশ অনেকটা পথই এগিয়ে গিয়েছে তার গন্তব্যস্থলের দিকে। কিন্তু সে যদি এগিয়েই যায়,তবে তার ফেলে যাওয়া আওয়াজ কেনই বা এভাবে আমাকে পিছিয়ে নিয়ে যায় আমার নিজস্ব লক্ষ্যপথ থেকে অনেক পিছনে ?
ক্রমশ পিছিয়ে চলে এসেছি কোনো এক মুহূর্তকালের সন্ধিক্ষণে! আসলে, এই রেলগাড়ি বা ট্রেন যাই বা বলে ডাকি না কেন সে কোথায় যেন সেই দূর রাঙাপথ ছুঁয়ে ঢেউ খেলে যাওয়া কাশফুল, নদীর চরের হাতধরে অপু আর দুর্গার হাতছানি, আবার কখনো ঋত্বিক ঘটকের “ কোমল গান্ধার” এসে ভিড় করে আমার সান্ধ্য ধানেশ্রীর ‘ ধৈবত ‘কে ছুঁয়ে। অথচ দ্যাখো , এই জল কত শান্ত , এই হেমন্তের শিশির স্নাতা মেঠো বালিকাও কত সুকোমল। মনে পড়ে যায় বিখ্যাত সেই চার লাইনঃ-
Behold her , single in the field,
Yon solitary Highland Lass !
Reaping and singing by herself;
Stop here , or gently pass !
এইমাত্র খবর পেলাম দূরভাষ যন্ত্র মারফ্ত , আমার মা আকাশপ্রদীপ জ্বালিয়েছেন , আমিও সাজিয়েছি তাকে , এবং ঘরে ঘরে হয়তো সবাই! পূর্বপুরুষদের উদ্দ্যেশে !
এই রোবোটিক যুগেও কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও সবারই সময় আজও মনে হয় ফেলে আসা দিনকেই ছুঁয়ে থাকতে চায় ।
নীপবীথি ভৌমিক
Reviewed by Pd
on
অক্টোবর ২৬, ২০১৭
Rating:
Reviewed by Pd
on
অক্টোবর ২৬, ২০১৭
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন