ঋত্বিক স্মরণে
মজ্জাহীন বাঙালীর বিপ্রতীপ আকাশ মেঘে মেঘে ছেয়ে এলে
শীত পৌষের ধ্রুবতারার মতো জ্বলে ওঠো হে ঋত্বিক।
জলা ঘাস ধানের সোনাবরণ শিষে রজতকান্তির নধর বিম্বে
বাংলার মাঠ-ঘাট প্রান্তরে, শিমুল পলাশ কাশ হোগলার বনে
স্বপ্ন দোদ্যুল জোনাক পোকার লুসিফারিন আলো
সহস্র ঝাড়লন্ঠন হয়ে জ্বলুক তোমার প্রভাস।
ধন্য মাতৃ গর্ভ, ধন্য বাঙালী জাতিক
লেলিন, চে-গুয়েভারার-এর আদর্শ বিপ্লবী সত্ত্বা হে ঋত্বিক,
আজও তোমার সৃষ্টি বিস্ময়ের অতীত।
আকণ্ঠ তিয়াসের শুষ্ক পিপাসে কোনো বঞ্চিত পথিকের শীর্ণদেহে
দিগন্তের বাঁকপথে ছায়ানট হয়ে দাঁড়িয়ে থেকো
নিদাঘ খরতাপে আকন্ঠ অবগাহন হয়ে ওঠো।
দিনান্তের সুনীল মোহাচ্ছন্ন প্রান্তরে যখন কালচে আঁধার ঘনিয়ে আসে,
তখন হাজারো লক্ষ অনাহূত প্রাণের নির্মল সত্ত্বার কলতান হয়ে
সমস্ত শীতের রাত জেগে গল্প বলো, এপার ওপারের গল্প, অখন্ড বাংলার গল্প।
শাষণে শোষণে পদানত দারিদ্রের আখড়ায়
ছিন্নমূল দলিলের খন্ডতীর সুবর্ণরেখায়
মৃত আত্মার ঝনঝনে বুকে নিরন্তর ছর টেনে
অলখ উহ্য আবহে কোমল গান্ধার বাজিয়ে
তুমি জিঁইয়ে রেখো তোমার বেদনাহত সত্ত্বারে।
উদাস ডানা মেলে অবিরাম হুতাশের জাজ্জ্বল্যয়ান স্পন্দন বুকে
তুমি বাংলার কোলে বাঁচিয়ে রেখো তোমার কালনায়ক বাঙালী আত্মারে।
দূর্গার ধলা ধবলিত বসন আঁচলে
দুর্বার পালে অমল উড্ডীন ধ্বজ বায়ে
সুদর্শন মননের বাংলা পট্ট উড়িয়ে যেও
হে বিঙ্গবিভূতি।
আলো জল হাওয়া - বুড়ো মন শিশু চাওয়া।
বর্ণপরিচয়ের সকাল - শতকিয়ার সাঁঝ বিকাল।
আধপেটা খেয়ে হাসি মুখে চাওয়া।
সবহারিয়ে সবহারাদের পাওয়া।
হরবোলা কচি মুখ
আধফোটা কচি শিশু বুক,
তোমাতে থাকুক সব বেঁচে।
সব কৃতি হোক কৃর্তিময়
বাংলা স্বদেশের গর্ভজ হে ঋত্বিক
তোমার আপন ঋত্বিকের হোক জয়।
মজ্জাহীন বাঙালীর বিপ্রতীপ আকাশ মেঘে মেঘে ছেয়ে এলে
শীত পৌষের ধ্রুবতারার মতো জ্বলে ওঠো হে ঋত্বিক।
জলা ঘাস ধানের সোনাবরণ শিষে রজতকান্তির নধর বিম্বে
বাংলার মাঠ-ঘাট প্রান্তরে, শিমুল পলাশ কাশ হোগলার বনে
স্বপ্ন দোদ্যুল জোনাক পোকার লুসিফারিন আলো
সহস্র ঝাড়লন্ঠন হয়ে জ্বলুক তোমার প্রভাস।
ধন্য মাতৃ গর্ভ, ধন্য বাঙালী জাতিক
লেলিন, চে-গুয়েভারার-এর আদর্শ বিপ্লবী সত্ত্বা হে ঋত্বিক,
আজও তোমার সৃষ্টি বিস্ময়ের অতীত।
আকণ্ঠ তিয়াসের শুষ্ক পিপাসে কোনো বঞ্চিত পথিকের শীর্ণদেহে
দিগন্তের বাঁকপথে ছায়ানট হয়ে দাঁড়িয়ে থেকো
নিদাঘ খরতাপে আকন্ঠ অবগাহন হয়ে ওঠো।
দিনান্তের সুনীল মোহাচ্ছন্ন প্রান্তরে যখন কালচে আঁধার ঘনিয়ে আসে,
তখন হাজারো লক্ষ অনাহূত প্রাণের নির্মল সত্ত্বার কলতান হয়ে
সমস্ত শীতের রাত জেগে গল্প বলো, এপার ওপারের গল্প, অখন্ড বাংলার গল্প।
শাষণে শোষণে পদানত দারিদ্রের আখড়ায়
ছিন্নমূল দলিলের খন্ডতীর সুবর্ণরেখায়
মৃত আত্মার ঝনঝনে বুকে নিরন্তর ছর টেনে
অলখ উহ্য আবহে কোমল গান্ধার বাজিয়ে
তুমি জিঁইয়ে রেখো তোমার বেদনাহত সত্ত্বারে।
উদাস ডানা মেলে অবিরাম হুতাশের জাজ্জ্বল্যয়ান স্পন্দন বুকে
তুমি বাংলার কোলে বাঁচিয়ে রেখো তোমার কালনায়ক বাঙালী আত্মারে।
দূর্গার ধলা ধবলিত বসন আঁচলে
দুর্বার পালে অমল উড্ডীন ধ্বজ বায়ে
সুদর্শন মননের বাংলা পট্ট উড়িয়ে যেও
হে বিঙ্গবিভূতি।
আলো জল হাওয়া - বুড়ো মন শিশু চাওয়া।
বর্ণপরিচয়ের সকাল - শতকিয়ার সাঁঝ বিকাল।
আধপেটা খেয়ে হাসি মুখে চাওয়া।
সবহারিয়ে সবহারাদের পাওয়া।
হরবোলা কচি মুখ
আধফোটা কচি শিশু বুক,
তোমাতে থাকুক সব বেঁচে।
সব কৃতি হোক কৃর্তিময়
বাংলা স্বদেশের গর্ভজ হে ঋত্বিক
তোমার আপন ঋত্বিকের হোক জয়।
তন্তু ঘোষ
Reviewed by Pd
on
মার্চ ০৩, ২০১৭
Rating:
Reviewed by Pd
on
মার্চ ০৩, ২০১৭
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন